শালার google, ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ডুডল দিলনা, আর ২২শে ফেব্রুয়ারি কোন এক Heinrich Rudolf Hertz এর জন্মদিনে ডুডল দিল! আমরা কি ডুডলের জন্য একশটিও ইমেইল আবেদন করিনি? অবশ্যই করেছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাংলাদেশের বলেই কি আমাদের আবেদন গৃহীত হয়নি? এটা কি আমাদের প্রাপ্য ছিলনা?
আমাদেরকে বলা হয় ৩য় বিশ্বের দেশ, আরো স্পষ্টভাবে ৩য় বিশ্বের গরীব দেশ। আমাদের আবেদন গৃহীত হয়না। আমাদের কথাকে, আমাদের কাজকে অবহেলা করা হয়। আমরা আর কত অবহেলিত হব? আর কত মুখ বুজে সহ্য করব? আমাদের চোখের সামনে আর কত ফেলানী লাশ হয়ে কাঁটা তারে ঝুলবে? আর কত হাবিবুরকে উলঙ্গ করা হবে? আর কত গৃহবধূ সীমান্তে ভিনদেশী সৈন্য দ্বারা ধর্ষিত হবে? আমরা তরুণরা কি পারিনা আধুনিক জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে তাদের এই অবিচারের দাঁত-ভাঙ্গা জবাব দিতে? অন্যের চড়া সূদে দেয়া ঋণে দেশ না চালিয়ে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করতে? আমরা কি পারিনা অন্যের গোলামী হতে বেরিয়ে আসতে? একটি সুখী সমৃদ্ধশালী স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে?
আমরা অবশ্যই পারি, আমাদের তরুণেরা ইতিমধ্যেই সাইবার যুদ্ধের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে আমরা চাইলে সব পারি। শুধু আমাদেরকে নিস্তব্ধ ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে। জাগিয়ে তুলতে হবে আমাদের তরুণ সমাজকে। আর আমরা কেনই বা পারবনা, আমাদের আছে বাহান্ন'র ২১, আছে '৭১, আছে '৯০। আমরা অবশ্যই পারবো। আমাদেরকে যে পারতেই হবে।
আমাদের একটাই দোষ, আমরা খুব সহজেই ভুলে যাই। আমাদের প্রতি করা অন্যায়-অবিচারের প্রতিবিধান না করেই আমরা থেমে যায়। আমাদের ভুললে চলবেনা। অবশেষে ব্ল্যাক-হ্যাট হ্যাকারস এর দেয়া ইউটিউব বক্তৃতার শেষ বাক্য দিয়ে শেষ করলাম, "আমরা ভুলবনা, আমরা ভুলবনা,আমরা ভুলবনা।"

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



