পহেলা অক্টোবর
সকালবেলা হাতিরঝিল বাস কাউন্টারে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এক থুত্থুরে বৃদ্ধা, জনে জনে ভিক্ষা চাইছে। তাকে দেখে বহু বছর আগের এক প্রতিবেশীর কথা মনে পড়ে গেলো। তিনি অনেক দিন গত হয়েছেন।
পকেটে দুটি নোট, একটি একশ টাকার, অারেকটি দশ টাকার। একশ টাকা দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না!
দশ টাকা দেয়া যায়? আমি কলেজে পড়ি, প্রতিটি পয়সা মূল্যবান। তাছাড়া, একশ টাকা হলো ব্যাকআপ, দশ টাকা হলো ফেরত আসার ভাড়া। কাউন্টারে দশ টাকা দিয়ে দুটি পাঁচ টাকা নেবো? বৃদ্ধা আস্তে আস্তে দূরে চলে যাচ্ছে...ব্যাগে একটা কয়েন থাকার কথা...।
কিন্তু বাস এসে গেলো।
কাজটা ঠিক হয়নি। চাইলেই দশ টাকা দেয়া যেতো। বাসে যেতে যেতে বৃদ্ধার চেহারাটা মনে পড়ছে। ঠিক করলাম, বাস থেকে নেমে হাঁটা পথটুকু রিকশা দিয়ে যাবো। একজন রিকশাওয়ালার উপকার হবে।
রিকশাওয়ালা ফুল স্পিডে প্যাডেল চাপছেন। এখন একটু ভালো লাগছে। রিকশায় ওঠার আগে, একটা ময়লা, হাড় বের হওয়া কুকুরকে বনরুটি কিনে দিয়েছি। শেষবারের মতো ক্ষুধার্ত জীবটিকে দেখার জন্য পিছনে তাকালাম।
একটা বাচ্চা টোকাই, রুটিটা কেড়ে নিয়েছে।
-প্রান্ত / রামপুরা,ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯