আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না বিপক্ষে? আপনার সিদ্ধান্তই নির্ধারন করে দিবে- বাংলাদেশের ভবিষ্যত
(স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের লাশ)
“শোষন-অত্যাচার” আর কিছু না
শিক্ষিত জনগনের দেশপ্রেমমূলক রাজনীতিতে উদাসিনতার ফল ।
গরীব দেশের “রাজনীতিবিদদের-মন” পুটি মাছের আর “শিক্ষিত জনগনের-মন” কাচকি মাছের । তো কি আর করা , পুজিপতিরা আরামসে পুটি আর কাচকি মাছের ভাগা দিয়ে তাদের বেচাকেনা করে আর দেশ যেই গরীব সে গরীবি থেকে যায়। কেবলমাত্র মৃত্যুকে বুড়া আঙ্গুল দেখানো বড় মনের মানুষি পারে এই বেচাকেনা বন্ধ করে দেশ কে উন্নত করতে ।
মানবজাতী একটাই পরিবার। সবাই আমার মা-বাবা ভাই-বোন সন্তানতুল্য। সার্বোজনীন পরিবার-চেতনা জনগনের মন-মগজে গেথে দিতে এগিয়ে আসেন এক মানুষ রতন । সে শুধু দিতেই আসে , নিতে না । সমুদ্রের মত উদার আর বিশাল সে ।
বর্তমান বিশ্বে মানবতাবাদী প্রকৃত রাজনীতিবিদ বিরল । গনতন্ত্রের ছদ্মবেশে বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ আসলে ধনিক শ্রেনির কায়েমি স্বার্থ হাসিলের প্রতিনিধি , এরা মেরুদণ্ডহীন ব্যক্তিত্ব নিয়ে সব সময় চাটুকার শ্রেনী দ্বারা আবৃত্ত থাকে । এদেরি সহযোগিতায় , দরিদ্র কে মেরে ধনি আরো ধনের লালসায় উম্মত্ত । এদেরি কারনে , সমগ্র বিশ্ব ব্যাপি দেশে দেশে আজ ধনি-দরিদ্রের সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পরেছে এবং দিনে দিনে সামাজিক সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে । চরম এই রাজনৈতিক দুর্দশাগ্রস্থ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও এদের কবল থেকে মুক্ত নয়। তবে বাংলাদেশ কে সৌভাগ্যবানো বলতে হবে , কারন তার আছে বিশ্বমানের একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ , নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে এ জাতি কে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে বাচিয়ে চলেছেন । তিনি মানুষ রতন , তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা । সব হারিয়েও দেশের সব মানুষ কে যিনি আপন করে নিয়েছেন , জনগন কে তার মহা সমুদ্রসম হৃদয়ের বিশালতায় ঠাই দিয়েছেন । পরম মাতৃ স্নেহে , শেয়াল – শুকুনের গ্রাস থেকে অসহায় জনগন কে বার বার রক্ষা করেছেন , নিজের জীবন কে তুচ্ছ করে হায়েনার হিংস্র থাবা থেকে জনগন কে বাচিয়ে চলেছেন । অভাগা দেশের এক মাত্র আশার আলো এই একটি মাত্র মানুষ , স্বাধিনতা আর গনতন্রের পক্ষে - যুদ্ধাপরাধীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিপীরিত মানুষের জন্য স্বয়ং স্রষ্টার আশির্বাদ ।এই পরম আশির্বাদ কে অসহযোগিতার পরিনামে এই দেশের জন্যে অপেক্ষা করছে আরো অভিশাপ । যা আমরা কেউ কামনা করিনা ।জনতার নেত্রী শেখ হাসিনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল , আমরা মনে প্রানে কামনা করি , কারন তার মঙ্গলেই দেশের মঙ্গল , তাকে অকাতরে সহযোগিতায় দেশের নিশ্চিত উন্নতি ।
২০১৩ সালের রাজাকার বিরোধী যুদ্ধের নেত্রিত্বে- জননেত্রী শেখ হাসিনা
সিরাজউদ্দৌলাও এই দেশের জন্যে আশীর্বাদ স্বরূপ ছিল , অথচ তার উপর বিদেশী প্রভুর নির্মম অত্যাচার আমরা দ্বিধা বিভক্ত জনগন দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে দেখেছি , ফলাফল- দুশো বছর বিদেশী প্রভু ও তাদের দেশীও কুকুর দ্বারা নিজেদেরি নিজেরা শোষন করিয়েছি । যেই অবিনশ্বর নেতা জাতিকে কাংখিত স্বাধিনতার স্বাদ পাইয়ে দিল , সেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকারী স্বাধিনতা বিরোধীদের ব্যাপারেও আমরা উদাসীন থেকে গেছি , ফলাফল- আরো বিশটা বছর ওদের দ্বারা শোষিত হয়েছি। যে জাতি তার বন্ধুকে দূরে ঠেলে শত্রুকে বুকে টেনে নেয়, তার দুর্দশা সহজেই দূর হবার নয়।
( স্বাধীনতা , মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলাম বিরোধী শক্তি )
গনতন্ত্র তো দূরের জিনিষ , স্বাধিনতা রক্ষার দায়িত্ব আমরাই বার বার ঐ মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধিনতা বিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছি। এজন্যে স্বাধিনতার বিয়াল্লিশ বছর পরও আজও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জঙ্গী শক্তির মার খেয়ে আমাদের টিকে থাকতে হচ্ছে । ঐ ৭১ এর মতই এখনও রাজাকারদের ধর্মীও উস্কানীতে নিজ ভাইয়ের গলায় ছুরি চালাচ্ছি , ধর্ম গেলোরে গেলো বলে নিজেদেরি দেশীয় সম্পদ ধ্বংস করছি ।স্বাধিনতা-মুক্তিযুদ্ধের নেত্রিত্বকে সরিয়ে দিয়ে রাজাকারদের হাতে দেশের শাসনভার তুলে দিয়েছি , মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে এখন যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবীতে রাজপথে নেমে এসেছি , অথচ এমন গন-জাগরন যদি যুদ্ধাপরাধী বিচারের আগে থাকতো , তাহলে কিন্তু রাষ্ট্রও সর্বোচ্চ রায় দিতে বাধ্য থাকতো – কারন বর্তমান সরকার স্বাধিনতা মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের শক্তি , রাজাকারের বিচা্র তারাই শুরু করেছে ।যা বিরোধী দলের কাছে আশা করা আর শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেয়া একি ব্যাপার ।
(১৯৭১ এর রাজাকারবাহিনী ২০১৩ সালেও ধ্বংস তান্ডবলীলা চালাচ্ছে)
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ৭১ এ কি চেতনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম , আমরা কি ভুলে গেছি সেই দিনের কথা, যখন ধর্মের দোহাই দিয়ে ওরা আমাদের শোষন করতো , হত্যা-ধর্ষন করতো ! মুসলমান , হিন্দু , বৌদ্ধ , খ্রিষ্টান , নাস্তিক সবাই শুধুমাত্র বাঙ্গালীর পরিচয়ে ওদের বিরুদ্ধে কি ঝাপিয়ে পরিনি? ৭৫ এ আমাদের জাতির পিতাকে ওরা হত্যা করে আমাদের শোষনের রাস্তা শুধু পরিষ্কার করেছিল । ওদের উদ্দেশ্য বিফল হয় নাই , যেখানে যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির প্রশ্নে সমস্ত বাঙ্গালীর এক হওয়ার কথা সেখানে এখনও আমরা ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাই ভাইয়ের মাথা ফাটিয়ে ফেলছি আর দূরে আমাদের বলদামী দেখে ওরা কুটিল হাসি হেসে যাচ্ছে ।মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষে আমরা যদি এক না হতে পারি ,ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্ত আর দু লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিনতা আমরা হারাবো , এটা নিশ্চিত ।
কেবলমাত্র স্বাধিনতার পক্ষের শক্তির হাত ধরেই গনতন্ত্র মুক্তি পায় ।আজ স্বাধিনতার বিয়াল্লিশ বছর পরও এই দেশে গনতন্ত্র মুক্তি পায়নি কেনো জানেন? স্বাধিনতার প্রশ্নে আমরা নিজেরাই দ্বিধা বিভক্ত , আমরাই স্বাধিনতার বিরুদ্ধ শক্তিকে ভোট দিয়ে আমাদের অত্যাচার করতে গদিতে বসাই । তারপর ওরাও আরো আরামসে স্বাধিনতার শক্তিকে নির্মুল করতে মরন কামড় বসায় , যেমনটি আওয়ামিলীগকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১এ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল ।
গনতন্ত্র তো আর মামার বাড়ির মোয়া না যে চাইলাম আর পায়াগেলাম । কয়েকশো বছর লেগে যায় গনতন্ত্র মুক্তি পেতে । একটা জাতি কত দ্রুত গনতন্ত্রের স্বাদ তথা একটা শোষন মুক্ত সমাজ পাবে সেটা নির্ভর করে- স্বাধিনতার প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যের ওপর , যেখানে আমাদের দেশের প্রধান বিরোধী দলী মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধিনতার বিরুদ্ধে ।স্বাধিনতা পক্ষের শক্তি আওয়ামিলীগ সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে তখন এই দেশেরই একটা বিরাট অংশ অর্থাৎ বিরোধী দল এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ঐ যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে রাজাকার জামাতের পক্ষে অবস্থান নিল ।যারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের এই দেশে আমাদের সামনেই শহীদমিনার ধ্বংস করে , জাতীয় পতাকা আগুন দিয়ে পুরায় ,রাজাকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ব্লগার কে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে , মসজিদের জায়নামাজে আগুন দেয় , জাতীয় মসজিদের ইমাম কে লাঞ্চিত করে , হরতালে কোরানে হাফেজ কে হত্যা করে , নবীজী (স) এর জাতীয়তাবাদী মদিনা সনদ প্রত্যাখান করে , নবীজী (স)- সকল নবী রসুল - সাহাবীগন ও পবিত্র কোরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুতসা রটায় , ইসলামের নামে ধান্দাবাজী ব্যবসা করে মুসলমান ঠকায় , অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় লিফটম্যান কে হত্যা করে , মিথ্যা কথা ছড়িয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ ছড়ায় , রাজাকারের মুক্তির দাবীতে হরতাল ডাকে আর সেই হরতাল অমান্যকারী নিরীহ বাস যাত্রীদের মেরে ধ্বংস তান্ডব লীলা চালায় । এদের এমন ঔদ্ধত্ব দেখে বিস্বয়ে হতবাক হতে হয় ! ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, দু লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে চরম কষ্টের স্বাধিনতার এই অর্জন !আমাদের নিরাবতা , ধর্মের নামে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যাওয়া কি ওদের আরো প্রস্রয় দিচ্ছেনা?
(শাহবাগে রাজাকারবিরোধী শান্তিপ্রিয় মুসলীম জনতা)
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি ।এখনি যদি আমরা এদের নির্মুল করতে না পারি তাহলে আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে এরা কিন্তু বেশী সময় নেবে না । ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, দু লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বদলা নিতে , স্বাধিনতা-ভাষা-ধর্ম-জাতি-দেশ-মানবতা সর্বপরি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রতিজ্ঞায়- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সাথে একাত্ম হয়ে- আসুন যে যেখানে আছি সেখান থেকেই- এদের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পরি , জাতিকে অভিশাপ মুক্ত করি ।
(রাজাকার বিরোধী যুদ্ধে উত্তাল আমার বাংলাদেশ)
নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে
গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে
আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।
প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।
ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাম গাছ (জামুন কা পেড়)
মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান
গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
অনির্বাণ শিখা
রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।
আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=
©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....
মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।
ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন