হ্যা ভাই,আমি ডেইলি ষ্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের মাহফুজ কেন মফিজ-১ মুভির রিভিউ লিখতেই বসছি।আমি কখনো মুভি রিভিউ লিখি নাই।কিন্তু চলমান রিয়েলিস্টক যে মুভিটা চলছে,সাহস করে তার রিভিউ লেখার চেষ্টা করছি।আশা করি ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।
কাহিনী সংক্ষেপঃএই কাহিনীর প্রেক্ষাপট সেই অনেএএএক দিন আগে, ২০০৭-০৮ সালে।সে সময় অন্য অনেকের মত গোয়েন্দা সংস্থার চাপে মাহফুজ আনাম যাচাই না করে আমাদের পুত-পবিত্র রাজনৈতিক নেতাদের নামে দুর্নীতির সংবাদ তার পত্রিকা ডেইলি ষ্টারে ছাপিয়েছিলেন।কিন্তু নিজেকে ট্রাজিক হিরো প্রমান করতে মাহফুজ আনাম গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সেটা স্বীকার করার পর থেকেই কাহিনী শুরু হয়। ঠিক পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ডেইলি স্টার-এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে বিচার চান। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে কয়েকজন সংসদ সদস্য ‘ডেইলি স্টার’ বন্ধ করাসহ মাহ্ফুজ আনামের পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেন।এরপর থেকেই মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়র শুরু হয়।এভাবে যখন কাহিনী এগোতে থাকে তখন দৃশ্যপটে আসেন মাহ্ফুজ আনামের বন্ধু শেখ রেহানার স্বামী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক ।তিনি মাহ্ফুজ আনামের পক্ষে কিছু কথা বললে মামলা দায়ের ও সমালোচনা কিছুটা কমে আসে।তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও কিছুটা ব্যাকফুটে আসেন।তিনি নিজের ফেসবুক পেজে আরেকটি স্ট্যাটাসে বলেন মামলাগুলো দেওয়ানী মামলা, ফৌজদারী মামলা নয় ।এগুলো স্বাধীন গনমাধ্যমের উপর আঘাত নয়। কাহিনী এখানে কিছুটা ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও ২ দিন আগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মাহ্ফুজ আনামের তীব্র সমালোচনা করেন।এভাবেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মাহফুজ কেন মফিজ মুভির ১ম পর্ব শেষ হয়।
কাহিনী সমালোচনাঃ ছবির কাহিনীর জন্য আমি দশে নয় দেবো।তবে কিছু জায়গায় খাপছাড়া মনে হয়েছে।যেমন মাহ্ফুজ আনামের বন্ধু অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকএর এত তাড়াতাড়ি দৃশ্যপটে আসা ঠিক হয় নাই। এতে সাসপেন্সে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে।আবার সত্তর হাজার কোটি টাকার উপরে মানহানী মামলা আমার কাছে বাংলা ছিনেমার গাজাখুড়ি গল্পের মত মনে হয়েছে। যা দিয়ে পদ্মা সেতু,মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার করার পরেও কিছু টাকা বেচে যাবে। এছাড়া মানহানী মামলা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়া করতে পারে না,অথচ তাকে সমন জারীও করা হয়েছে।এটাও কেমন যেন খাপছাড়া।কারন মানহানী মামলা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ করলে আদালত সমনতো দুরের কথা ,আমলে নেয়ারই কথা না।তবে কাহিনীর প্রয়োজনে এসব এড়িয়ে গেলে ভালো একটা মুভি দেখেছি বলে স্বীকার করতে বাধ্য হবেন।
তবে আমার যে জিনিশটা আশ্চর্য লেগেছে,অন্য পত্রিকাওয়ালাদের নীরব ভুমিকা। তারা যে মাহফুজ আনামের পক্ষে যাবেন না,এটা ঠিক আছে।কারন তারা ছাগলে বাধা রশি। তবে বিপক্ষে যে যান নাই,এটাই বিস্ময়।তারা প্রতিদিন সম্পাদকীয়-উপ সম্পাদকীয় লিখে কাহিনী আরো জমাতে পারতেন। এতে বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি প্রথম আলো-ডেইলি স্টার বন্ধ হয়ে গেলে তাদের পত্রিকার সার্কুলার বেড়ে যেতে পারে।এনাদের নেতৃত্ব দিতে পারেন নইম নিজাম গং। আশা করি সামনের পর্বে এনাদের একটিভলি দেখতে পাব।
সামনের পর্বে কি হবে?
মাহফুজ আনাম কি মাফ পাবেন?নাকি তার পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাবে এবং তিনি জেলে যাবেন?এর সাথে সাইড নায়ক প্রথম আলোর মতিউর রহমানও ফেসে যাবেন? নাকি ম্যাড়ম্যাড়ে কোন সমাপ্তি হবে?
যাই হোক না কেন আমরা পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি। চোখ রাখুন নিয়মিত পত্রিকা-টিভিতে।
যাওয়ার আগে পরবর্তি পর্বের ট্রেলার দেখতে দেখতে যাই।,
১/১১-র ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি নাসিমের
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১