আজকে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ফাইনালে কোটি মানুষের দোয়ায় অবশ্যই বাংলাদেশ জিতবে ইনশাল্লাহ।কিন্তু বাংলাদেশ জেতার পর অতিরিক্ত আনন্দে যে কাজগুলো অবশ্যই ভুলেও করবেন না।
১)সাধারন মানুষের উপর রঙ মারবেন না।এত মানুষ অত্যন্ত বিরক্ত হয়,এমনকি অনেক মানুষ বদদোয়া করে,বাংলাদেশ যেন আর না জেতে।(আমার সামনেই এর আগে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিলো)।নিজেরা রঙ মারামারি সীমিত পরিসরে করতে পারেন।তবে না করাই ভালো।এটা আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায় না।
২)জেতার আনন্দে বাইক বা গাড়ী বেপরোয়া চালাবেন না। মনে রাখবেন আনন্দে একটি দুর্ঘটনা,সারাজীবন নিরানন্দের কারন হতে পারে।
৩)জেতার পর সাধারন মানুষ ও রোগীদের অসুবিধা করে হাই ভলিউমে গান বাজাবেন না। অন্যের সমস্যা না হলে দেশাত্নবোধক গান বা অন্য বাংলা গান বাজিয়ে নাচানাচি করতে পারেন।তবে ভুলেও হিন্দি/ইংরেজী গান বাজাবেন না।
৪)আপনি সশরীরে ষ্টেডিয়ামে খেলা দেখতে গেলে,উগ্র জাতীয়তাবাদী হয়ে ইন্ডিয়ান সাপোর্টারদের হয়রানি বা দেশের মান ইজ্জত নষ্ট হয় এমন কিছু করবে না।(সুধির বাবু/বশির চাচা কান্ড যেন আর না হয়)।মনে রাখবেন আপনিও দেশের একজন প্রতিনিধি।
৫)কোনো ফিল্ডারের হাত থেকে ক্যাচ পড়ে গেলে অথবা ব্যাটসম্যান বোকার মত আউট হলে অথবা বোলার নো দিলে, ইচ্ছে করে এরকম করেছে, ভেবে ফেসবুকে গুজব ছড়াবেন না। মনে রাখবেন বাংলাদেশের খেলোয়াররা জান-প্রান দিয়েই খেলে।তাদের ভুল হলে,তারা আমাদের থেকেও বেশী কষ্ট পায়।তারা ম্যাচ ফিক্সিং করে না না না।
৬)জিতে গেলে অনেকের দারু পার্টির পরিকল্পনা আছে।এটা মোটেই ঠিক হবে না।মাতাল হয়ে রাস্তায় উলটা পালটা কাজ করলে,আমাদের বিজয় ছোটো হয়ে যাবে।তবে এই শ্রেনী হেরে গেলে,দু;খে একই কাজ করবে। তার থেকে আসুন খিচুড়ি-বিরানি পার্টি করি।এতেই অনেক আনন্দ হবে।
৭)উগ্র জাতীয়তাবাদী হয়ে ফেসবুকে ঘৃনা ছড়াবেন না।মনে রাখবেন ঘৃনা শুধু ঘৃনাই আনে। ঘৃনাযুক্ত পোষ্ট অথবা ট্রল জাতিকে ছোটো করে। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির খণ্ডিত মস্তক হাতে হুঙ্কার দিচ্ছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ, এরকম ট্রল ইন্ডিয়ান পত্রিকা রিপোর্ট করেছে।এবার টাইগার ভক্তের কাণ্ডে তোলপাড় ভারত
মনে রাখবেন,বাংলাদেশ ভারতের সাথে জিতলেই ভারতের জিইয়ে রাখা বিদ্যমান সমস্যা ভারত সুড়সুড় করে সমাধান করে ফেলবে না। সুতরাং এই খেলায় বাংলাদেশ জিতলে শুধু মাত্র ক্রিকেটে একটা মাত্র জয়ই হবে।আর কিছু না। আর আমরা ক্রিকেটে এখন অনেক বেশিই ম্যাচুয়রড।আমাদের আচরনও ম্যাচুরেটি প্রমান করতে হবে।
সবশেষে বস মাশরফি বিন মর্তুজার এই কথাগুলো মনে রেখেই খেলা দেখা উচিৎ। আমি নিজের মনের কথা বলেছি। আমি মনে করি দিনের শেষে খেলাটা একটা বিনোদন। তাও তো ক্রিকেট হল স্পোর্টসের একটা অংশ। পুরো খেলা নয়।----------সবচেয়ে বড় হিরো আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁদের জন্যই তো আজ স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা রয়েছি। আমি ওদের অসম্ভব সম্মান করি। আমি সম্মান করি বৈজ্ঞানিকদের। ওঁদের এক-একটা আবিষ্কার জাতিকে কত বছর আগে নিয়ে যায়। আমি সম্মান করি ডাক্তারদের। যাঁরা মানুষের জীবন বাঁচান। এর চেয়ে মহত্ কাজ আর কী হতে পারে। আমাদের নিয়ে যত নাচানাচিই হোক, আমরা কি কারও জীবন বাঁচাতে পারছি? সমর্থকদের এত দিন কিছু দিতে পারিনি, এখন না হয় ধার চুকোই: মাশরফি
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২