খেলাধুলাকে অন্য সব কিছু থেকে পৃথক রাখার আবেদন হয়তো তুমি খারিজ করে দেবে এই রুল জারি করে- কোন কিছুই ইন্যোসেন্ট নয়, সবকিছুর সাথেই পলিটিক্স জড়িত। সেক্ষেত্রে আমি এই রিট করব- তুমি যদি সবকিছুর সঙ্গে পলিটিক্সের সম্পৃক্ততাকে স্বীকার করে নাও, আবার অন্য কেউ সবকিছুর সঙ্গে ধর্মীয় চেতনার সম্পৃক্ততা স্বীকার করতে চাইলে তুমি যখন তার বিরোধিতা কর, তখন তোমার আচরণকে একটি আত্মবিরোধী প্রহসন বলা হবে না কেন ?
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচগুলোর সময় একদল মানুষ পাকিস্তানের খেলোয়াড়দেরকে খুব জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন। গত ম্যাচ চলাকালেও আমার এক বন্ধু ফেসবুকে লিখেছিল, “উই হেভ টু পুশ দিজ ফাকি ব্যাটসম্যান হার্ড।” শেহজাদ আউট হওয়ার পর তাকেও কুৎসিত ভাষায় গালাগাল করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন হল- কেন ?
আমাদেরকে কি জোর করে কেউ খেলাচ্ছে ? আমরা না খেললে কি কেউ আমাদেরকে মারবে ? না। আমরা স্বেচ্ছায় একটি ম্যাচে অংশগ্রহণে সম্মত হয়েছি। খেলাধুলা হল নির্মলতম আনন্দের উৎসগুলোর অন্যতম। বলা হয় বিশ্বজগত নাকি স্রষ্টার খেলা মাত্র। সেই আনন্দের অংশীদারই যদি হলাম, শুধু তাত্ত্বিকভাবেই কেন হলাম ? আর যদি প্র্যাকটিক্যাল্যি বিশেষ কারো সাথে সেই আনন্দের অংশীদার না হতে পারি, তবে সেটাকে খেলা নাম দিয়ে খেলার মত সুন্দর একটি বিষয়কে পঙ্কিল করার মত সংকীর্ণতা দেখাই কেন ? আমরা অনেকেই ভুলে যাই দর্শকভরা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা খেলতে যাই, যুদ্ধ করতে নয়। পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার মানসিকতা না থাকলে না খেললাম। মুখে বলব খেলা, আর মনে ভাবব যুদ্ধ, এই মানসিকতা কি পরিহার্য নয় ?
জারি করা রুলের মধ্য দিয়ে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় রিটটি দায়ের করা হল।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




