গত ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩''তে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে বিশ্ব হিজাব দিবস। এখন থেকে প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস হিসেবে উতযাপন করা হবে।
নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাজমা খান ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে এ দিবসটি পালনের জন্য মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকল নারীদের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশি এই নারীর আহবানে সাড়া দিয়ে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে বিভিন্ন ধর্মের নারীরা এ দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে।
এদেরই একজন যুক্তরাজ্যের নরউইচের বাসিন্দা এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জেসি রোডস (২১)। তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই হিজাব পরিধান করার ব্যাপরটি ভেবে আসছি। কিন্তু অমুসলিম হওয়ায় ঠিক তা করে উঠতে পারছিলাম না।
‘এখন যখন একজন বন্ধু হিজাব দিবসের ডাক দিয়ে সে সুযোগ করে দেন, তখন তা লুফে নিতে সমস্য কোথায়’ যোগ করেন জেসি।
তিনি বলেন, হিজাব পরিধান করার জন্য যে মুসলিম হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। হিজাব মূলতঃ শালীনতার জন্য পরিধান করা হয়। তাই তিনি এটা পরিধান করায় কোন সমস্যা দেখেন না।
রোডসের মতো শত শত অমুসলিম নারী আজ হিজাব পরিধান করে দিবসটি পালন করছেন।
এ দিবসটি পালনের ডাক দিয়েছেন যে নারী তিনি মাত্র ১১ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তিনি যখন হিজাব মাথায় স্কুলে যেতেন, তখন তাকে অনেক অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হতো।নাজমা বলেন, মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় তাকে ব্যাটম্যান এবং নিনজা বলে ডাকা হত। আর ৯/১১-র পর তাকে ডাকা হত ওসামা বিন লাদেন এবং সন্ত্রাসী বলে।
তিনি আরও বলেন, হিজাবকে সাধারণত এখানে নারীর প্রতি নিপীড়ন এবং বৈষম্যের প্রতীক হিসাবে দেখা হয় এবং এজন্য তাকেও অনেক বৈষম্যের শিকার হতে হয়।আর এই বৈষম্যের অবসান ঘটানোর উদ্দেশে নিয়েই তিনি তার অমুসলিম বোনদেরকেও হিজাব পরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বাস্তবেই এটা কি কোনো নিপীড়ন কি না তা পরখ করার আহবান জানিয়ে আজকের এই বিশ্ব হিজাব দিবসের ডাক দিয়েছিলেন ।
নিউজ কাটিং এর জন্য ঢো মারুন এইখানে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




