somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন ও এলোমেলো ভাবনাগুলো

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চাপটার ওয়ান
মাকে নিয়ে অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম কিছু লিখবো। কিন্তু মা’কে নিয়ে উচ্ছ্বাসভরা খুব বেশি ঘটনা আমার মনে নেই। আশ্চর্য্য শোনায়... কিন্তু সত্যি।

আমি ছিলাম আমার বাবা-মার অনেকটা শেষ বয়সের ছেলে। আমার বড় ভাইয়ের সাথে আমার বয়সের ব্যবধান প্রায় ১৫ বছর। স্বভাবতই আমাকে নিয়ে তাদের কোনো আহ্লাদিপনা ছিলোনা। মাঝেমধ্যে যদিও একটু-আধটু দেখাতে চাইতেন সেটাও লোকে বুড়া বয়সের ভীমরতি বলে তাঁদের থামিয়ে দিতেন আর আমাকে তাদের আহ্লাদের সুযোগে কিছু একটা আদায় করে নেওয়া থেকে বঞ্চিত করতেন। এমনকি আমাদের ঘরের ভিতরে যে একটু আধটু সুযোগ পেতাম একটু আহ্লাদি পাওয়ার, তারও উপায় ছিলোনা - আমার বড় ভাইবোনেরা তুমুল হাসিঠাট্টা করে আর আমাকে “আব্বা-আম্মা’র কোলে বসে থেকে পড়া ফাঁকি দেস, না?” বলে তিরষ্কার করতেন।

প্রাইমারী স্কুলে থাকতে বন্ধুদের মায়েরা তাদেরকে স্কুলে নিয়ে আসতেন, আর আমার মা যে আসবেন তার উপায় ছিলোনা। কারণ আমার ভাই-বোনেরা কলেজে-ভার্সিটিতে যাওয়ার পথে মাঝপথে আমাকে নামিয়ে দিতেন আর বাকিটা পথ নিজে নিজেই হেঁটে আসতাম – আসতে আসতে দেখতাম বন্ধুরা তাদের মায়েদের হাত ধরে বা রিক্সায় করে আসতো। মাঝেমাঝে ২-১ জন বন্ধুর মা রিক্সায় তুলে নিতেন – তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চিন্তা করতাম “ইস, এটা যদি আমার মা হত!”। আর অন্য মায়েরা যখন তাদের বাচ্চাদের টিফিন নিয়ে নিজের হাতে খাইয়ে দিতেন তখন আমি মায়ের দেয়া ২-৩ টাকা দিয়ে যা ইচ্ছা খেতাম – অন্তত এই দিক দিয়ে একটা ব্যাপারে সবসময় খুশি ছিলাম যে অন্য বন্ধুরা তাদের মায়েদের কারণে আচার-আইস্ক্রিম খেতে না পারলেও আমি পারতাম। একদিনের একটা ঘটনা আমার এখনো মনে আছে – আচার বা আইস্ক্রিম কি যেন খেতে গিয়ে শার্টে মাখামাখি করে ফেলায় কয়কজন মহিলা হাসাহাসি করছিলেন আর বলছিলেন – “তোমার নানু কি তোমাকে স্কুলে নিয়ে আসতে পারেনা?” ছোটবেলায়ই সেই ঘটনা মনে দাগ কেটে যায় – কিন্তু বেশ কয়েকদিন স্কুলে নিয়ে আসা আর টিফিন পিরিয়ডে মায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করায় বাসার অন্য সবার হাসাহাসি দেখার পরে আর এই জিনিসটা নিয়ে অভিযোগ তুলতাম না।

আমার মা ছিলেনও অনেক ব্যাকডেটেড – অন্য বন্ধুরা যখন অনেক সুন্দর সুন্দর জামা-কাপড় আর জুতা পরত, টম এন্ড জেরি বা সুপারম্যান-ব্যাটম্যানদের কাপড় পরে ঘুরে বেড়াতো তখন আমার মা আমাকে যুগের সাথে তাল মেলানো কাপড়-চোপড় প্রোভাইড করতে পারতেননা। এটা নিয়ে কলেজে ফার্স্ট ইয়ার পর্যন্ত আমার মধ্যে একটা ইনফেরিয়রিটি কমপ্লেক্স কাজ করত।

বন্ধুরা প্রতি শনিবারই স্কুলে এসে ছুটির দিনে কোথায় কোথায় ঘুরতে গেলো- কি কি করলো – এসব নিয়ে আলোচনা করত। প্রায় সবারই আলোচনার কিছু জিনিস থাকত, প্রায় প্রতি শুক্রবারই তাদের কোথাও না কোথাও বেড়াতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিলো। আমার যতদূর মনে পড়ে আমার প্রথম শিশুপার্কে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয় আমার মেঝবোনের বাচ্চা হওয়ার পরে – তাও মোটামুটি ক্লাস ৪-এ থাকাকালীন।

কিন্তু তারপরেও অসুখ হলে আমার ঐ ব্যাকডেটেড বয়ষ্কা মা’ই ছুটাছুটি শুরু করে দিতেন, সারারাত শিয়রে বসে থেকে আধো ঘুম আধো জাগরণে চেয়ে থাকতেন আমার দিকে, একটু নড়াচড়া টের পেলেই মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন – সত্যি বলতে কি তখন মনে হত আল্লাহ তাআলা আমার জন্যে মা হিসেবে যাকে পাঠিয়েছেন তার চেয়ে বেশি ভালো মা আর কেউ হতেই পারেনা। কখনো যদি রাতে ভয় পেয়ে মা’য়ের দরজায় টোকাটুকি করে “মা”, “মা” বলে ডাকতাম তখন আমার যে মা সারাদিন সংসারের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে একটু ঘুমাচ্ছিলেন তিনিই আশ্চর্য্যজনকভাবে উঠে আমাকে তার পাশে শুইয়ে ঘুম পাড়াতেন, আশেপাশে অন্যে ভাইবোনেরা যখন ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্যে বকাবকি শুরু করত তখন মা সবাইকে চোখ রাঙ্গিয়ে নিবৃত্ত করতেন আর পরম মমতায় আমাকে আগলে রাখতেন। সকালে উঠেই আবার বলতেন – “খবরদার এরকম আর করবিনা” – মায়ের সে কথাগুলা নিছক কথার কথা ছিলো তা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগতনা তখন। আর মা যে কতটা আপন ছিলো আমার তা টের পেলাম হারানোর পরে। ভালো একটা রেজাল্ট, ভালো একটা কিছু করার পরে অথবা খুব টেনশন বা মাঝেমাঝে দুনিয়াবী কাজকর্মের নিপীড়নে যখন খুব অসহায় লাগে তখন মায়ের সেই অভাবটা বেশ প্রবলভাবেই টের পাই। কক্ষনোই মনে হয় না “আমার মা তো আমাকে এটা দেয়নি –ওটা দিতে পারেনি, থাক-না থাকা এক কথা তাই নো হার্ড ফিলিংস।” দশ বছর আগে মায়ের মুখটা যখন শেষবারের মত দেখেছিলাম তখন আফসোস করেছিলাম এবং এখনো ভাবি– “ইস, কতই না অত্যাচার করেছি এই মমতাময়ীর প্রতি সারাটাজীবন, আমায় ক্ষমা করো মা।

চাপটার টু
বাংলাদেশে ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করার পর থেকেই আমার অভিজ্ঞতা খুব বেশি ভালো নয়। মামা-চাচার জোর ছিলোনা বলে প্রায় ১ বছর কোনো প্রকার চাকরিই জোগাড় করতে পারছিলামনা। আবার সরকারি চাকরিগুলোতে নিশ্চিতভাবেই খুব ভালো পরীক্ষা দেয়া সত্তেও কোনো প্রকার সাড়াই মেলেনি কখনো। অন্যদিকে সারাজীবন ধরে ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তাম বলে আশপাশের যে বন্ধুরা ঈর্ষা করতো, তাদের অভিভাবকেরা বাহ বাহ দিতো – নিয়তির এমন আচরণে তারাও পিঠে ছুরি চালাতে লাগলো নির্দয়ভাবে... প্রতিনিয়ত খাওয়া-ঘুম সহ প্রাত্যাহিক জীবনাচরণগুলো অসহ্য হয়ে পড়েছিলো। আবার চাকরি পাওয়ার পরে একই রকম হতাশা ভর করেছিলো – দুর্নীতি আর অসচ্ছ উপায় অবলম্বন করে এক্কাদোক্কা খেলায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকি।

জার্মানিতে যখন পড়াশোনা করার সুযোগ পেলাম, তার পর থেকেই বাংলাদেশের সব কিছু যেনো আমার গলায় একেবারে কাঁটার মত বিঁধছিলো। দিন গুণছিলাম অধীর আগ্রহে কবে এ দেশ ছাড়বো। মিউনিখে যখন এলাম – এতদিন যা স্বপ্ন দেখছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশি বেশি পেয়ে একেবারে গদগদ হয়ে পড়লাম। যা দেখি- যা করি সবই ভালো লাগে। এখানে ৭-১০ মিনিট পরপর একেকটা বাস-ট্রেন-ট্রাম। একই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্যে রয়েছে একাধিক পরিবহন ব্যবস্থা। তড়িৎগতির ইন্টারনেট - বিদ্যুৎ-পানির কোনো সমস্যাই নেই।

বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরই আসল ঘোরটা কাটতে শুরু করে আমার। প্রতিনিয়ত দেশের কথা খুব মনে পড়ে, দেশে থাকার সময়ে অনেক ভালোলাগা মূহূর্তগুলোর কথা- কুয়েটে পড়ার সময়ে কিছু বন্ধুর সাথে মজার মূহূর্তগুলো, ঝগড়ার মূহূর্তগুলো আবার ঝগড়া শেষে ২ ঘন্টা পরেই কাঁধে হাত দিয়ে চা খেতে যাওয়া, সিনিয়রদের কাছ থেকে কারণে অকারণে তাদের ব্যবহৃত জিনিস আব্দারির ছলে আত্মসাৎ করা, জুনিয়রদের সাথে কথা পেঁচিয়ে মজা করা- বড়ভাইয়ের মত ঝাড়ি দিয়ে আবার পরক্ষণে তাদের কাঁধে হাত দিয়ে গফুরের দোকানে বিড়ি খাওয়ানো, ক্লাসে কিছু স্যারদের পাগলামী নিয়ে মজা করা, হলের ছাদে বসে গানের আড্ডা বা মাঝেমাঝে ২-৩জন শুয়ে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে জীবন সম্বন্ধীয় উচ্চমার্গীয় আলোচনা করা, সারারাত আড্ডা বা গেমিং শেষে ভোরে কস্তুরীতে খিচূড়ি খাওয়া। মনে পড়ে জামিল, শাহিদ আর আমার রুমমেট সোহাগের কথা- আমি অসুস্থ হওয়ার পরে আমার সেবায় নিজের ঘুম হারাম করে পাশে বসে থাকার কথা- শুধু যে আমার জন্যেই করে তা না – হলে বা বাইরেই যে কেউ অসুস্থ হলেই এরা উপস্থিত থাকবেই- কারো রক্তের প্রয়োজন হলেই রক্তও যোগাড় করে – কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতার তোয়াক্কা না করেই। আরো মনে পড়ে দেশে নিজের পরিবারের প্রতিনিয়ত অগণিত মানসিক (আর্থিকতো অবশ্যই) সাপোর্টের কথা। মনে পড়ে - সেই রিকসাওয়ালা মামার কথা যিনি প্যাডেল চালাতে চালাতেই আমার বয়সী নিজের ছেলেটাকে ইঞ্জিনিয়ার বানানোর স্বপ্নের কথা বলেন, সেই দোকানদারের কথা যিনি খাওয়ার পরে টাকা না নিয়ে বলেন “আপনের বয়সী আমার একটা ছেলে ছিলো সে মারা গেছে ২ বছর আগে, সে থাকলে কি তারে আমি খাওয়াইতাম্না?”। বাবার পেনশনের টাকা তুলতে গিয়ে দেখা বিদ্যুৎ অফিসে দেখা সেই লোকটার কথা যিনি সবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিলেও আমাকে বলেন – “তুমি বাবা পড়াশোনা করো ভালভাবে, তোমার বাবার পেনশনের টাকা কেউ আটকাতে পারবেনা আমি থাকতে।” ঢাকায় থাকতে দেখা রাস্তার পাশে পিঠা বানানো সেই খালার কথা – যিনি পিঠা ভালো লাগেনাই বলাতে বললেন - “মামা একটু বসেন, ঐগুলা ঠান্ডা, ভালো করে বানাই দিই একটা।” আরো আরো অনেক ঘটনাই আজো স্মৃতিতে অটল – জার্মানীর এই শহুরে ব্যস্ততায় আমার দেশের ঐ মানুষগুলোর মত এতটা নিঃস্বার্থ আর দশ সেকেন্ডেই হৃদয়ের কাছাকাছি আসতে পারা মানুষগুলোর অভাব প্রতিনিয়ত অনুভব করি।

অবশেষে...
দেশের বাইরে থেকেও আমরা যারা দেশ নিয়ে দিনের ১টা ঘন্টা হইলেও নস্টালজিক হয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করি - তারা আসলে একেকজনে খুব একা।

দেশে থাকা বন্ধুদের সাথে যখন কথা বলি তখন তাদের একটাই কথা - "তুইতো খুব আরামেই আছোস- লাখ লাখ টাকা কামাস, দুইপাশে দুই সফেদ রমণী আর বোতল হাতে নিয়ে উইকেন্ড কাটাস, কোনো যানজট নাই, বিদ্যুত-পানির সমস্যা নাই, হাইস্পীড ইন্টারনেট, ছিনতাইকারীর দুঃশ্চিন্তা নাই, গভীর রাতে ঘর থেকে বেরোলেও বাসায় ফেরা নিয়ে টেনশন নাই... ব্লা ব্লা ব্লা।" আমরা যখন দেশে ফিরে আসবো বা দেশের জন্যে মন খুব পোড়ে বলি - তখন বন্ধুসহ দেশে থাকা পরিচিতরা বলে "এসব ফালতু/ক্ষণিকের আবেগ", বিদেশেও আশেপাশের লোকেরা বলে - "যাওনা, টের পাইবা।" সবখানেই কমন আরেকটা কথা শুনতে হয়- "এগুলা লোক দেখানো আবেগ।" আমরা যখন উইকেন্ডে ফ্লোরপার্টিগুলা এটেন্ড করিনা তখন বিদেশিরা বলে "তুমি অসামাজিক/তুমি কি আমাদেরকে পছন্দ করোনা?"। পার্টিতে এটেন্ড করলেও মদের বোতল এগিয়ে দেয়া বন্ধুকে যখন বলি "আমার ধর্মে নিষেধ আছে" তখন তারা খুব অবাক হয়-ভাবে খুব কনজার্ভেটিভ মুসলিম। আবার বাংলাদেশ নিয়ে যখন কথা হয় তখন অনেক ভালো ভালো কথা শুনাই। কিন্তু আগ্রহীরা গুগলে সার্চ দিয়ে এসে বাংলাদেশের ধর্মান্ধদের বাড়াবাড়িগুলা দেখে বলে "তোমাদের দেশে এমন কেন হচ্ছে?", তখন তাদের ২ ঘন্টা ধরে বোঝাতে হয় আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করছেনা এসব ঘটনা- আমরা আসলে মিলেমিশেই ঈদ,পূজা সেলিব্রেট করি। "তোমাদের দেশের বেশিরভাগই যদি পরধর্মসহিষ্ণু হয় তাহলে সরকার বা পুলিশের সামনে দিয়ে দিনের পর দিন এসব হচ্ছে কি করে?" - এই প্রশ্নের উত্তরে মাথা হেঁট করতে হয়। আবার ফেসবুক-ব্লগেই যখন বন্ধুলিস্টে থাকাদের বলি ধর্মান্ধতা পরিহার করতে, সহিষ্ণুতা দেখাতে অথবা অমুসলিমদের প্রতি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি - তখন তাদের কাছে "নাস্তিক" উপাধি পেতে হয়। তখন তাদের কাছে প্রমাণ করতে হয় আমরা প্র্যাকটিসিং মুসলিম- নিয়মিত নামায পড়ি, মদ-জুয়া-নারীসংসর্গ পরিহার করি। আমরা যখন দেশে ঘটে যাওয়া শাহবাগ আন্দোলনের প্রতিমূহূর্ত আপডেট জানতে দেশের পেপার-টিভিচ্যানেল-ফেসবুক পেজ খোলা রাখি - তখন এখানকার লোকেরা টিটকারি মারে "এসব ফালতু কাজে সময় ব্যয় না করলে হয়না?" আবার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে যখন কিছু বলতে যাই তখন দেশের মানুষই বলে - "আপনিতো অন্যদেশে বসে আরামেই আছেন, জামাত-শিবির-সরকারতো আপনারে ধরবেনা, আপনার মুখে এসব কথা মানায়না।" পরিবার থেকে শুনি - "তুই নিজে কিছু লেখালেখি করে আমাদেরকে বিপদে ফালাইসনা, নিজেতো নিরাপদেই আছোস।" আরো অনেকগুলো কষ্ট- যেগুলা বর্ণনা করতে গেলে পুরা দিন শেষ হয়ে যাবে, এসব কিছু নিয়েই তাই অনেক কষ্ট নিয়ে চুপ করে থাকি, মনে মনে অনেক বেশী নিঃসংগ অনুভব করি - না পারি সইতে না পারি বলতে।

তবুও দেশ নিয়ে ভাবি, বিশেষ করে আমার বাসাটা, আমার বাসার পাশের সমুদ্র সৈকতটার কথা, কর্ণফুলী নদীর কথা, পাহাড়টার কথা, কাজীর দেউড়ী-জিইসি মোড়ের কথা... ভাবতে ভাবতে দীর্ঘশ্বাস নিই আর বোবার ভান করে প্রতিনিয়ত টেনে টেনে গড়িয়ে নিই জীবনটাকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:২৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×