somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কয়েকটি ধাঁধা। দেখুন..........তো পারেন কিনা! পর্ব-১৫ (একটু কঠিন)

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





ধাঁধা-১৬১


কালিদাস পণ্ডিতকে তার পত্নী বললেন বাজারে যেতে। বাজারে যাবার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। স্ত্রী চটি জোড়া এনে রাখলেন পায়ের কাছে। চটিতে পা গলাতে গলাতে কালিদাসের মুখে এলো এই ছড়াঃ

জন্ম তার জলে নয়,
জন্ম তার খালে
হস্ত নাই, পদ নাই
দুই চরণে চলে।

ছড়া বলা শেষ করে হাসি মুখে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন সে জিনিষটা কি হতে পারে। কালিদাস পত্নী মুখ ঝামটা দিয়েআঁচলে বাঁধা চাবির তোড়া পিঠের দিকে ছুড়ে দিয়ে বললেন, “ মিনসের ঢং দেখে আর বাঁচি না”! আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন হস্ত-পদবিহীন বস্তুটা কী হতে পারে।


ধাঁধা-১৬২


রতনের দোকান থেকে একজন অপরিচিত লোক ১০০ টাকার নোট দিয়ে ৩৭.৫০ টাকার বিস্কুট আর কলা কিনেছে। লোকটা এমন ভাবে দামাদামী করছিল যে সকাল থেকে বেচাঁ কেনা নেই বলে কেনা দামেই রতনকে সব দিতে হল। রতনের কাছে ভাংতি ছিল না বলে পাশের দোকানের মজনুর কাছ থেকে টাকাটা ভাঙিয়ে এনে অপরিচিত লোকটাকে বিস্কুট,কলা আর বাকী ৬২.৫০ টাকা দিয়ে বিদায় করেছে। বসে বসে যখন হিসাব কষছে সকাল সকাল কত লাভ হল ঠিক তখনই মজনু এসে উপস্থিত। বলে কি ১০০ টাকার যে নোটটা সে একটু আগে ভাঙিয়ে এনেছে সেটা জাল। রতন টাকাটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল ঘটনা সত্য। কি আর করা। মজনুকে আরেকটা ১০০টাকার নোট দিয়ে জাল নোটটা রাগে দুঃখে ছিড়তে বসল আর ভাবতে লাগল সব মিলিয়ে ঠিক কত টাকা লস হল তার। বিস্কুট গেল, কলা গেল, মজনুকেও ১০০ টাকা দিতে হল। আপনারা কি ওকে একটু সাহায্য করতে পারেন।


ধাঁধা-১৬৩


নিজের গালে নিজে চড় মারি কখন?

বি.দ্র. "নিজের প্রতি বিরক্ত হয়ে"-এই উত্তর দিলে, উত্তর ভুল হবে।


ধাঁধা-১৬৪


বাজারের থলি হাতে ঘর থেকে বের হবার মুখে স্ত্রীর ডাকে ফিরে তাকালেন কালিদাস পণ্ডিত। ক্ষণপূর্বে পণ্ডিতের সওয়ালের জবাবে দিয়েছিলেন মুখ ঝামটা। এক্ষণে পণ্ডিতের সাথে তার পত্নী করলেন কিছুটা রহস্যপূর্ণ আচরণ। বাজার থেকে অন্যান্য সদাইয়ের সাথে আরো যা আনতে হবে তা কালিদাসকে জানালেন। জানালেন বটে, তবে তা সরাসরি নয়, ছড়ায়-ছন্দে, কালিদাসীয় কায়দায়। তিনি বললেন,

কাঁসারীর সারী ছাড়া
পাঁঠা ছাড়া পা,
লবঙ্গের বঙ্গ ছাড়া
কিনে এনো তা’।

পণ্ডিত মুচকি হেসে ঘাড় নেড়ে বাজারের দিকে রওনা হলেন। মনে মনে খুশিও হলেন স্ত্রীর পাণ্ডিত্যে।


ধাঁধা-১৬৫


কোন জিনিস কাটলে আলাদা হয় না।


ধাঁধা-১৬৬


পণ্ডিত যাচ্ছেন একমনে ঘাসের গালিচা বিছানো ছায়া ঢাকা ঢাকা পথ দিয়ে। ফসল ভরা মাঠের পাশেই চারণ ক্ষেত্রে গরু, মহিষ, ছাগলের পাল চরছে। আপন মনে পথ চলতে চলতে কালিদাস আউড়ালেনঃ

কালিদাস পণ্ডিতে কয়
পথে যেতে যেতে,
নেই তাই খাচ্ছো,
থাকলে কোথায় পেতে?

কি দেখে ও কী ভেবে তার মনে এই ছড়ার উদয় হয়েছিল, তা কী কেউ বলতে পারেন?

[ধাঁধাগুলো সত্যই কালিদাসের কিনা তা আমি নিশ্চিত নই। এই পণ্ডিত সম্পর্কে কারো জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করলে খুশি হবো।]


ধাঁধা-১৬৭


করিম সাহেব তার উকিল জলিল সাহেবের সাথে জেলখানায় কথা বলছেন। তারা জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জজ সাহেব জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় তারা খুবই আপসেট হয়ে পড়েছেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে একজন সেন্ট্রি এসে করিম সাহেবকে যেতে বলায় তিনি জেল থেকে বের হয়ে বাসায় চলে গেলেন। সেন্ট্রিটি করিম সাহেবকে যেতে দিল কেন?


ধাঁধা-১৬৮


শিকড় ছাড়া গাছটি
ফল ধরে ১২ টি
পাকলে হয় একটি।

বলুন তো জিনিস টা কি?


ধাঁধা-১৬৯


একটা মেয়ে একটা বাচ্চাকে গোসল করাচ্ছিল। তাকে প্রশ্ন করা হলো, "এই বাচ্চা ছেলেটি তোমার কে হয়?" মেয়েটার উত্তর, "এর বাপ যার শ্বশুর, তার বাপ আমার শ্বশুর।" বলতে হবে এদের দুজনের সম্পর্ক কি?


ধাঁধা-১৭০


আমি রড দিয়ে এমন একটি খাঁচা বানালাম যার কোনো দরজা নেই, জানালা নেই বা এমন কোনো ফাঁক নেই যা দিয়ে আপনি বের হয়ে আসতে পারবেন। আপনার সাথে এমন কোনো কিছু নেই যা দিয়ে রড কাটতে পারবেন। এখন বলেন, এই খাঁচা থেকে কিভাবে বের হবেন ?




আগের পর্ব




৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×