"ভিকটিমলেস্ ক্রাইম" বলে একটা খটমট জিনিস দিয়ে কিছু সামাজিক অপরাধকে ব্যাক্তি স্বাধীনতা হিসেবে দেখা হয়। এর মধ্যে আছে ড্রাগ নেয়া, জুয়া খেলা, পেইড বা আনপেইড প্রস্টিটিউশান (আনপেইড বলতে আমোদ ফুর্তির জন্যে সম্মতি নিয়ে ট্যুরে, বাসায় বা আগানে-বাগানে যাওয়া।)। এমনই একটা ভিকটিম লেস্ ক্রাইম হলো আত্মহত্যা।
.
এই থিওরিতে মানুষকে একটা আইসোলেটেড ইউনিট হিসেবে ধরা হয়। এতে তার পরিবার, বৌ বাচ্চা, বন্ধু বান্ধব এবং এদের প্রতি তার যেকোন দায়বদ্ধতা বাদ পড়ে। তার টাকা থাকলে ড্রাগে বা জুয়া খেলে উড়াবে, গা গতর থাকলে আমোদ ফূর্তি করবে। এক পর্যায়ে সব আউলা ঝাউলা মনে হলে ঘরের ফাঙখার সাথে ঝুলে মরে যাবে। এখানে ভিকটিমই ক্রিমিনাল, তাই অভিযোগ করার কেউ নাই। এজন্যে বিচার আচারও নাই।
.
বাস্তবতা হলো, মানুষ এমন একক প্রাণী না। এক জন এক জন করে সব মানব মিলেই একটা রেইস। কারো বাচ্চা কাচ্চা সুইসাইড করলে তাদের যা ক্ষতি হবে, কেউ সেই বাচ্চাকে খুন করলেও তাদের একই পরিনতি হবে। তারা দেখবে তাদের বাচ্চাটা খুনই হয়েছে। সাথে যোগ হবে সুইসাইডে প্ররোচনা দিলো কিনা এমন সামাজিক জিজ্ঞাসা।
.
তাই ভিকটিমলেস্ ক্রাইম বলতে জগতে আসলে কিছু নাই। এই কেতাবি নামের অপরাধে, ভিকটিম শুধু ক্রিমিনাল নিজে হয় না। তাকে ঘিরে থাকা সব গুলো মানুষই ফল ভোগ করে।
.
আরে ইনকউিবেটর এ কৃত্তিম ভাবে জন্ম নেয়া মুরগীটাওতো ডিম পাড়ার দায়িত্ব নেয়। আর দশ মাস ধরে মার পেটের মধ্যে থেকে লাথি উষ্ঠা মেরে বের হয়ে, বাপ মার হোটেলে খেতে খেতে পোস্ট মারে "মাই লাইফ মাই রুলস্।" আমি সীসা টানলে কার বাপের কি!
.
আমার মনে হয়, সুইসাইডের পর, সবাই যখন হায় হায় করে উঠে, তার কাছের লোকদের দোষ খুঁজতে শুরু করে, প্রচুর নাম পরিচিতি ছড়ায়, সেটা তখন আরেক ডিপ্রেশানের রোগীকে প্রলুব্ধ করতে পারে একই পথ মাড়ানোর। তাই এসব মৃত্যুর প্রত্যেকটা জানাজায়- আত্মহত্যাও যে একটা হত্যা তা জোরে জোরে বলে দেয়া উচিৎ। খুব জোরে শুনিয়ে দেয়া উচিৎ এটা অনেক বড় বেকুবি, নিজের কাছের মানুষের উপর বিরাট অত্যাচার।
.
যেহেতু জানাজার কথা বলছি, তাই ধর্মে কি পরিমান আযাব আছে তাও বলে দিতে হবে। মোট কথা কোন ভাবেই ব্যপারটাকে নায়োকোচিত, হৃদয় মোচড়িয়ে ভালোবাসা জানানোর মত কাজ বলে দেখানো যাবে না। সমবেদনা জানাতে হবে তার কাছের লোকদের। কে জানে হয়তো সেই জানাজা থেকেই আরেক ডিপ্রেসড্ বান্দা তার মত পাল্টাতে পারে।
.
#Afnan_Abdullah
06142020
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫১