রাজপুত এক জন এনটারটেইনার। দুনিয়ার প্রায় সবাই এন্টারটেইনড্ হতে চায়। আর চাওয়ালা থেকে সিইও সবাই মুভি, স্পোর্টস্ বা বিনোদন জগৎটাকে সহজেই বুঝে যায়। তাই রাজপুতদেরকে রাজার পুত থেকে শুরু করে শালারপুত সবাই চেনে। তাঁর মরাটা এ জন্যে বেশি মানুষের কাছে গেছে। এটাই স্বাভাবিক।
.
এছাড়া বিভিন্ন পেশায় যারা স্টার, তাদেরকে সাধারনত ঐ পেশাজীবিরাই চিনে থাকে। দেশ সেরা ডেন্টিষ্টকে চিকিৎসকদের বাইরে কেবল দাঁতের রুগীরাই চিনবে যদি না তিনি পেপসোডেন্ট এর এড্ না করেন।
.
বড়সড় গণ ক্রাইসিসে কেউ কিছু করলে তাকেও সবাই চিনবে। এখন যেমন কেউ করোনার ওষুধ নিয়ে হাজির হলে তাকে সবাই চিনে যাবে।
.
তো, লিভিং ঈগল সাইফুল আজম যদি স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্দীদশা থেকে বের হতে পারতেন। নিজের ছাত্র মতিউরের সাথে আরেকটা বিমান নিয়ে পালাতেন তাহলে তাঁকেও সবাই চিনতো।
.
তাঁর পেশা যেহেতু টেকনিক্যাল, গণ মানুষের আগ্রহ বা বুঝের বাইরে লিভিং ঈগল জিনিসটা কি। তাই মৃত্যুর সময়েও তিনি অপরিচিত। এখন, তাঁর মৃত্যুতে নিজের শ্রদ্ধা জানানো থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ক্যাচাল পারা যে 'তুমিও কেন তারে নিয়ে শোকিত নও, তুমি কেন ওরে নিয়ে শোকিত' এক ধরনের বাতুলতা।
.
মূল কথা হচ্ছে, প্রতিদিন ঘটা অসংখ্য ঘটনা থকে সবাই মিলে বাছাই করে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটাকে নিয়ে এক সাথে পোষ্ট দিবে না। তাহলে এত কোটি কোটি আলাদা আইডি না খুলে পুরা দেশের হয়ে ফেসবুকে একটা আইডিই চলতো। সেটা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতো। আর সারাদিন বাতাবি লেবুর পোষ্ট আসতো। ধন্যবাদ।
.
#Afnan_Abdullah
06162020
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৭