৬২'র চীন ভারত যুদ্ধের সময় জন এফ কেনেডির ভয় ছিলো পাকিস্তানও না একই সময়ে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের উপর চড়াও হয়। তাদের ঠান্ডা রাখতে আমেরিকা বুঝিয়েছিল যে- 'চীন কমিউনিস্ট দেশ। ভারতের পর তারা পাকিস্তানের দিকেও নজর দিতে পারে। তাই সাধু সাবধান।' এই সাধু সাবধান বাণীটা অমিয়।
.
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্র দাবি করা ১০,০০০ ছাত্র আর জনতাকে ট্যাঙ্কের তলায় পিষে ফেলেছিলো এই চায়নিজ কমিউনিস্ট সরকার। এই সময়ে উইঘুরদের দশাও সবার জানা। '৭১ এর পাকি আর্মির বর্বরতার পেছনে তাদের সব চেয়ে বড় ভরসার নাম ছিলো এই চায়নিজ আর্মি। এই একই আর্মির অভয়ে ভর করে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে কার্যত দেশের পর্যটন এলাকা কক্সবাজার বার্মিজরা দখল করে বসে আছে।
.
দূর প্রতিবেশী হিসেবে আসল, নকল, ভেজাল এমন ইত্যকার মালামালের বাণিজ্যের জন্যে চীন দারুন দেশ। সেই দূর থেকে যখন তারা নড়ে চড়ে উঠবে, প্রতিবেশী দেশ দখল নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী হয়ে যাবে তখন নিশ্চিতই ঘটনাটা এত রোমাঞ্চকর হবে না। নিজ দেশের বর্ডার রক্ষার যুদ্ধে মাড়ির সব দাঁত হারিয়ে ফেলা রক্তাত্ব যোদ্ধার মুখ পোষ্ট দিয়ে হাহা হিহি করার জন্যে ফেসবুকও না থাকতে পারে তখন।
.
নিজের দেশে আরেক দেশের আর্মি ঢুকে পড়ার পরিনতি কতটা ভয়ঙ্কর সেটা বাংলাদেশের মানুষ না বুঝার কথা না। না হলে এত বছর ধরে ৭১ নিয়ে এত এত বকর বকর করে কি লাভ হলো! দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে পরাজিত বার্লিনে মেয়েদের পরিস্থিতি নিয়ে বানানো 'এ ওম্যন ইন বার্লিন' মুভিটাও একটু দেখতে পারেন যদি নার্ভ সইতে পারে। যে কোন দেশের যোদ্ধা যারা বর্ডারে মরে তারা ভেতরের মানুষদের জন্যে শক্ত খোলস হিসেবে থাকে। যাতে ভেতরের মানুষ বৌ পোলাপাইন নিয়ে 'রাঙদে বাসন্তি' দেখতে পারে। আমাদের সেই খোলস পেরিয়ে চীনের উপহার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ব্রীড হচ্ছে। এই বাস্তবতায়, ভারতের প্রতিরোধ নিয়ে হাসাহাসি কেমন যেন বেহায়াপনা, কেমন যেন নির্বুদ্ধিতা মনে হয়। এই সঙ্কট বাড়লে আমাদের কি পরিকল্পনা তা নিয়ে তেমন কোন কথাবার্তা দেখছিনা। কে ভাবছে কে জানে?
.
#Afnan_Abdullah
06172020
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৭