মাতৃভাষার সন্মানেতে ঝড়লো কত প্রাণ
রেখে গেল ভান্ডারেতে শব্দ অফুরান,
তাঁদের দয়ায় আজকে মোরা শব্দ নিয়ে খেলি
সাহিত্যেরই অঙ্গনেতে ফেলছি পদধুলি।
শব্দ দিয়ে বানাই ছড়া, ছন্দে মালা গাঁথি
কাব্য নিয়ে হাস্যরসে উঠি সবাই মাতি,
সৃষ্টিসুখের উন্মাদনায় উচ্ছাসে উঠে কাঁপি
তাইতো আমি বসব এবার খুলে কথার ঝাঁপি।
শব্দ দিয়ে কাব্য গড়া নয়তো সহজ কাজ
লিখতে গিয়ে ভাবছি বুঝি মাথায় পড়ে বাজ,
মনের ভিতর উথালপাথাল ভাবনা এলো কতো
অবশেষে কবিতাটি হল মনের মতো,
ছন্দবৃত্তের বাইরে এসে গদ্যভাব মিলিয়ে ঠিক
পদ্যখানি আমার হলো যেন আধুনিক।
খুশীমনে যেইনা আমি কবিতাটি ছাপি
লাগলো ভালো অনেকেরই আমার কথার ঝাঁপি,
মনের সুখে কেউ উঠল হেসে, কেউবা ফোঁসে রুদ্ররোষে
র্ভৎসনা আর তিরস্কারে লজ্জা দিল বারেবারে।
আমি তখন,
পা পিছলে গভীর জলে-সমুদ্দুরের অতল তলে
কোত্থেকে ভাই কিযে হল, চোখদুটি তাই ছলছল
ভাবছি বসে,
কাব্য করা নয়তো সোজা, অপবাদের বিরাট বোঝা
চেপে বসবে অমনি ঘাড়ে, লজ্জা পাবে বারেবারে।
হৃদয় যতোই হোকনা ব্যকুল, ছন্দে ভরুক মন
আশংকাতে বুকের ভিতর ডংকা বাজবেই অনুক্ষণ,
নাইবা থাকুক হাতে সময়, ছন্দ শব্দ ভালকরে দেখ মিলিয়ে
নইলে অপবাদের ঢেঁকি তোমায় দেবেই গিলিয়ে।
বাংলাভাষার শব্দগুলো নয়তো তোমার একার
রুদ্ররোষে কেউ ফোঁসার আগে তাই দরকার মিলিয়ে দেখার,
নইলে এসে চেপে ধরবে টুঁটি
সাধ্য কি আর এ জন্মে আমার ছন্দের পাপড়ি মেলে ফুটি!
স্বাধীন দেশের লোকযে মোরা মেধা মননে
সংকীর্ণতাই কেনই হারাই, কেনইবা পুড়ি আত্মদহনে,
খুলতে হবে অন্ধকারের বন্ধ কপাট, দুর হোক যত শব্দবিভ্রাট।