somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরম পিতৃতান্ত্রিকতা নির্ভর সমাজ ব্যাবস্থা আর একজন রমিছার সংগ্রামময় জীবনের বয়ান

০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার নাম রমিছা। ভাল নাম রমিছা বেগম। আমার জন্ম বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১২ নং রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনশী গ্রামে ১৯৮১ সালের মার্চ মাসে। ৪ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে আমি তৃতীয়। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা ছাত্তার ডাকুয়া দিনমজুরী করার পাশাপাশি যখন এলাকায় কাজ থাকতোনা তখন কলা গাছের থোর (কলা গাছের ভিতরের কান্ড), শাকপাতা তুলে বিক্রি করতেন। মা আকলিমা বেগম অন্যের বাড়ীতে কাজ করতেন। ঐ সময় আমাদের খুব কষ্টে দিন যাইতো। দুইবেলা খাবার পেট ভরে খাইতে পারতামনা,সকালবেলা মা মানুষের বাড়ী থেকে ভাতের ফ্যান নিয়ে আসতো আর তা দিয়ে আমরা সকালের নাস্তা করতাম। আমাদের বাড়িতে রান্নাটা হতো শুধু দুপুরে। দুপুরের খাবারের পর যা বাকি থাকতো তার সাথে মা মানুষের বাড়ীতে কাজ করে যে খাবার পাইতো তা মিলমিশ করে রাতের খাবারের ব্যবস্থা হতো। এক বছর নতুন কাপড় দিলে পরের বছর আমার বাবা আর কাপড় দিতে পারে নাই। মানুষের বাড়ী থেকে মা পুরান কাপড় চেয়ে নিয়ে আসতো, ঐ কাপড় জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার করতাম আমরা। এতো কষ্টের মধ্যেও মা-বাবা চাইতো আমরা যেন লেখাপড়া করি, কিন্তু পরিবারে ভাইবোনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পঞ্চম শ্রেনী পাশের পর বাবা-মা আর আমার লেখাপড়া খরচ দিতে পারেনি ফলে লেখাপড়া করার ইচ্ছা থাকলেও হাই স্কুলে ভর্তি হতে পারিনি আমি।

পঞ্চম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় গায়েপায়ে লম্বা হয়ে যাওয়ায় ঐ সময় থেকে আমার বিয়ের সম্বন্ধ আসতে থাকে। বাবা যখন লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছিলেন না তখন আমার অমতে ঘটা করে একদিন দিয়ে দিলেন বিয়ে। শ্বশুর বাড়ী হল রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে। আমার শ্বশুড়েরও জায়গা জমি কিছু ছিলনা, আমার স্বামী ছিল বাবা মায়ের বড় সন্তান, তারা ৫ ভাই ১ বোন। শ্বশুড়ের পাশাপাশি স্বামীও দিনমজুরী করে যা আয় করতো তা দিয়ে সংসার চলতো। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় আমাদের প্রথম সন্তান লাকী জন্মগ্রহন করে, সন্তান জন্মদানের সময় আমার বেশ সমস্যা হয় এবং ঐ সময় আমাকে আর আমার মেয়েকে বাঁচাতে শ্বশুড় বাড়ীর লোক অনেক টাকা ঋণী হয়ে যায়। আমার বাপ-ভাই আশ্বাস দিয়েছিল ঋণের কিছু টাকা তারা পরিশোধ করবে কিন্তু আমার বাবা এবং ভাইদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় ওয়াদা মোতাবেক ঐ টাকা পরে তারা শোধ করতে পারেনি। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ গন্ডগোল হয়, শ্বশুর বাড়ির লোকেরা আমাকে আর তাদের ঘরে রাখতে চায় না। আমাকে বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। উপায় না দেখে আমার বাবা গ্রাম্য শালিস ডাকতে চায়। কিন্তু তারা সেসময় আমার বাবাকে শালিসে না বসতে দিয়ে সবকিছু মিটমাট করে নেয় এই শর্তে যে বাবার বাড়ীর সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক থাকবেনা। বাবা সেই শর্তে রাজী হন এবং বাবার বাড়ির সাথে আমার সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় শুধু আমার সংসারটা টেকানোর স্বার্থে। কিন্তু বাপ-মায়ের মন তো! আমাকে একবার দেখবার জন্য তাদের ভেতরটা ছটপট করত। এর মাঝে আমার মেঝ মেয়ে লামিয়া জন্ম নেয়। তার জন্মের পর মা-বাবা আমাদের দেখতে আসলে আমার বাবা-মায়ের সাথে শ্বশুড় বাড়ীর লোক খুব খারাপ ব্যবহার করে, পাশাপাশি পরপর দুই মেয়ের জন্ম হওয়ায় স্বামীও আমার সাথে বাজে ব্যবহার করতে শুরু কর। কাজের কথা বলে বাহিরে গিয়ে মাসের পর মাস পরে থাকা শুরু করে সে। আমরা বেঁচে আছি না মরে গেছি এই নিয়ে কোন খোঁজ-খবর করেনা।
এভাবে দুই আড়াই বছর পার হবার পর ছোট মেয়ে ইতির জন্ম হয়। ইতির জন্মের পর স্বামী আমার সাথে সংসার করবেনা সে আর একটা বিয়ে করবে এই নিয়ে আমার সাথে প্রতিদিন ঝগড়া-ঝাটি করা শুরু করে। কথা নাই বার্তা নাই ঘরে ফিরে যদি দেখছে আমি ঘরে নাই এই নিয়ে আজেবাজে গালিগালাজ করতো, মারধোর করতো। মেয়ে তিনটার মুখের দিকে চেয়ে সব সহ্য করে নিতাম আমি। একবার কাজ করতে সে বরিশাল যায়, দুই মাসেও কোন খবর পাত্তা পাওয়া যায়না হঠাৎ একদিন আর একটা বউ নিয়ে বাড়ীতে হাজির হয়। একটা নারী স্বামীর সব তুচ্ছ-তাছিল্য সহ্য করতে পারে কিন্তু সতীনের সংসার সহ্য করা তার দ্বারা সম্ভব নয়। নতুন বউ আনার পর এই নিয়ে স্বামীর সাথে আমার বেশ ঝগড়া হয়, ঝগড়ার এক পর্যায় আমাকে বেশ মারধোর করে, সেই দিন সিন্ধান্ত নেই না খেয়ে থাকবো কিন্তু এই স্বামীর সংসার আর করবোনা। বাপ-ভাইদের খবর দেই তারা গিয়ে এলাকার মাতুব্বরদের কাছে বিচার চায়, এই নিয়ে এলাকায় শালিস বসলে স্বামী সিন্ধান্ত জানায় সে আমাকে তালাক দিবে কিন্তু নতুন যাকে বিয়ে করে আনছে তাকে ছাড়বেনা। আমি যখন সতীনের সংসার করবোনা তাই ঐ বিচারে সিন্ধান্ত হয় সে আমাকে তালাক দেবে এবং আমার বড় দুই মেয়ের লালন-পালন সে করবে। ছোট মেয়ের লালন-পালনের দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হবে। চার বছর বয়সী আমার ছোট মেয়েটাকে নিয়ে আমি স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ী চলে আসি।

বাবার বাড়ীতে এসে কিছুদিন পর আমরা মা-বেটি আমার বাপ-ভাইদের ঘাড়ে বোঝা হয়ে যাই। বোঝা হলেও আমার কিছু করার ছিলনা বাপ, ভাই, ভাবীদের গালাগাল সহ্য করে মাঝেমধ্যে মানুষের বাড়ীতে কাজ করে এক বছর পার করি। যখন এলাকায় ভালো কোন কাজের সুযোগ পেলাম না তখন চিন্তা করলাম মেয়েসহ ঢাকা গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরী করব। কিন্তু পরিবার থেকে ঢাকা গিয়ে কাজ করতে দিতে রাজী হয়না। তাদের কথা ঢাকায় আমাদের পরিচিত কেউ নাই, বিপদে আপদে সাহায্য করার কাউকে পাব না পাশাপাশি পরিচিত লোক না থাকায় ঢাকা গিয়ে যে কাজ পাব এর কোন নিশ্চয়তা নেই, কাজ করতে হলে বেতন কম পাই আর বেশি পাই এখানে থেকেই করতে হবে। অতঃপর ঢাকা যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে দেই। এরমধ্যে মেঝ বোন বুলুর এক বান্ধবী ময়না সে বাসষ্ট্যান্ডের পাশে জাহানারা ক্লিনিকে চাকরী করে। সে জানায় তাদের ঐখানে আয়া পোষ্টে লোক নিবে। আমি যদি চাকরী করতে চাই তাহলে যেন ক্লিনিকের মালিকের সাথে যোগাযোগ করি। খবর পেয়ে বোন বুলুকে সঙ্গে নিয়ে আমি মালিকের সাথে দেখা করি। মালিক প্রথমে আমাকে কাজ দিতে চায়নি। আমার জীবনের গল্প শোনার পর আমাকে চাকরী করতে সুযোগ দেয়। কিন্তু বিপত্তি হয় এখানে এক সপ্তাহে দিনে ডিউটি করতে হয় আর এক সপ্তাহে রাতে ডিউটি করতে হয়। ভাইদের সাথে কাজের ধরন নিয়ে আলোচনা করলে প্রথমে ভাইরা এখানে কাজে পাঠাতে আপত্তি করে কিন্তু ময়না আপা যখন তাদের বুঝায়ে বলে এখানে কাজ করতে কোন সমস্যা নাই, রাতে নার্স সহ ৫/৬ জন নারী কর্মী থাকে। তাছাড়া রোগীর আত্মীয় স্বজনদের রাতে থাকার কোন পার্মিশন নাই। নারীদের কাজ করার ক্ষেত্রে ক্লিনিকটি নিরাপদ এইসব কথা শোনার পর ভাই-রা আমাকে কাজে যেতে দেয়।

এখানে বেতন খুবই কম। চার বছর আগে প্রথম যখন কাজে যোগ দেই তখন বেতন ছিল ১০০০ টাকা এখন বেতন হইছে ১৫০০ টাকা। তবে ওভার টাইম এবং রোগীদের কাছ থেকে বকশিশ বাবদ ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা আয় করা যায়। আয়া হিসেবে আমাদের কাজ রোগীদের তথ্য তালাফি করা (রোগীদের খোঁজ খবর রাখা, রোগী কি বলে সেটা শোনা), ক্লিনিক পরিষ্কার করা, পাশাপাশি নার্সদের কাজে সহযোগিতা করা। প্রথম যখন কাজে যাই তখন কাজ ঠিকমতো করতে পারতামনা। নার্সরা স্টেথিস্কোপ নিয়ে আসতে বললে নিয়ে যেতাম ব্লাড প্রেসার মাপার যন্ত্র, হাইট স্কেল ওয়েট স্কেল কোনটারে কয় সেটা চিনতামনা। গায়ের শক্তি দিয়ে ফ্লোর মোছার পর মালিক এসে কইতো ফ্লোর মোছা হয় নাই। দুই তিনদিন পুরানোরা কিভাবে কাজ করে সেটা দেখার পর সব কিছু আয়ত্বে চলে আসে। চাকরীতে যখন প্রথম কাজে ঢুকি তখন মা জীবিত ছিল মেয়েটাকে মা-ই দেখাশুনা করতো। আমার অবর্তমানে ঘর পরিষ্কার করা, রান্নাবান্না করা সবই মা করে রাখতো। মা, বাপ, ভাই বোন সহায়তা করছে বিধায় আমাকে কোন কষ্ট সহ্য করতে হয়নি। বর্তমানে মেয়ে বড় হয়েছে সেই অনেক কিছু সামলে নিতে পারে।

সত্যি কথা বলতে কি, আমি যে পেশায় আছি এই পেশায় রাতে কাজ করতে হয়, রাতে কাজ করাটা সমাজের লোক ভালোভাবে নেয়না বিধায় কম বয়সী মেয়েরা এখানে কাজ করতে আসেনা। যাদের কোন পিছুটান নাই বিশেষ করে বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, যাদের বয়স একটু বেশি আমাদের এখানে তারাই এই পেশায় কাজ করতে আসে। সমাজে যারা অলোচনা-সমালোচনা করে তারাও ধরে নেয় এই সমস্ত নারীরা একদম নিরুপায় হয়ে এই পেশাগুলোতে যুক্ত হয়েছে তাই তাদের নিয়ে কোন আলোচনা পর্যালোচনা হয়না। কিন্তু কম বয়সী একটা মেয়ে যখনই এই পেশায় কাজ করতে আসবে তখনই বলা শুরু হবে “অমুকের মেয়ে অথবা বউ একদম খারাপ হয়ে গেছে, ঘরের লাং (স্বামী অথবা ছেলে বন্ধু) এ মন ভরেনা এখন রাতে কাজের নাম করে বাইরের লাংয়েদের কাছে যায়”। মানুষের ধারনা হাসপাতাল-ক্লিনিক মানে রোগ জীবানু আর কাটা ছেঁড়ার আড্ডা খানা। ঐখানে যারা কাজ করে তারা কোন স্বাভাবিক মানুষ না। হাসপাতাল ক্লিনিকে কাজ করলে পর্দার বেখেলাপ হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগী আসে, হাসপাতাল ক্লিনিকে কাজ করলে নারী-পুরুষ সব ধরনের রোগীদের সাথে কথা বলতে হয়, ধর্মীয়ভাবে একজন নারী যদি বেগানা পুরুষের সাথে কথা কয় সেটা মহাপাপ। যার কারনে পূর্বে অন্যের বাড়ীতে কাজ করে খেলেও অফিস-আদালত, হাসপাতাল, ক্লিনিকে মেয়েদের কাজ করতে আসতো দিতোনা। আমার নানী পুরুষ ডাক্তার হাত-পা টিপে রোগ নির্নয় করে দেখে জীবনে কোনদিন ডাক্তারখানায় যায়নি। রোগ হলে কষ্ট পাইছে, ঘাস লতাপাতা খইিছে তারপরও ডাক্তার দেখাতে রাজী হয়নি। যত দিন যাচ্ছে মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়ছে, বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষের বাহিরে যাবার হার বাড়ছে বাহিরে গিয়ে অনেক কিছু শিখে আসছে। আগের দিনের যে মানুষগুলোকে সমাজের মানুষ ভক্তি শ্রদ্ধা করতো, যাদের কথা মানতো তারাই তো এতো কিছু জানতোনা, না জেনে এমন একট কথা বলে দিতো সেটাকেই সমাজের মানুষ সত্য বলে ধরে নিত। বর্তমানে ঐ মানুষগুলোও আজ নেই এবং মানুষের কথায় প্রভাবিত হয় সেদিনও নেই। যার কারনে যত দিন যাচ্ছে সমাজের চেহারা ততই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আগে একটা ছেলে একটা মেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বললে এই নিয়ে কত কথা হতো, বিচার-শালিস পর্যন্ত হতো কিন্তু এখন হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ে গিয়ে পড়লেও সেটাকে কিছু মনে করেনা। যতদিন যাবে নারীদের কাজ করার গতিশীলতা তত বাড়বে। এখন মানুষ কথাকে ভয় পায়না।

জীবন যুদ্ধে আমি নিজেকে সফল বা অসফল কোনটাই বলব না কারন, আমি যা রোজগার করি সেটা দিয়ে আমাদের মা বেটির কোন রকম খরচ চলে। পছন্দের কিছু মনে চাইলে সচরাচর তার ব্যবস্থা করতে পারিনা। নিজে এবং মেয়ের জন্য ভালো কাপড়-চোপড় কিনতে পারিনা। মেয়েটা বড় হচ্ছে ওর চাহিদা বাড়ছে কিন্তু সেটা পূরন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়না। সংসার খরচের পর হাতে কোন সঞ্চয় থাকেনা। বাবা এ্যাক্সিডেন্ট করে পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে আছে তাকে কোন সাহায্য করতে পারিনা, যে ভাইরা আমাকে এতো সহায়তা করে সে ভাইদের তো কিছু দিতে পারিইনা তাদের ছেলেমেয়েদের হাতে যে কিছু কিনে দিব সে উপায়ও নেই। আবার অসফলও বলবনা কারন, শুধু মাত্র আমার দুটো হাত আর সাহসের উপর ভর করে আমি আমার লম্পট স্বামীর সংসার ছেড়ে এসেছি। অন্যায় জুলুমের সাথে আপোষ না করে বাবার বাড়ি চলে এসে যেমনই হোক একটা কাজ জুটাতে পেরেছি। এই কাজটা না থাকলে নিজে ঘর তোলার সাহস পেতামনা, বাড়ী থাকতে পারছি বলে অনেক সংস্থা থেকে সাহায্য পাই, মাস দেড়েক হলো ব্র্যাক থেকে একটা গরু ও একটা ছাগল সহায়তা পাইছি। সব মিলে আমার সন্তানটার মুখে দুটা ভাত তুলে দিতে পারছি এই ঢের আমার জন্য।


গল্পটা ছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনশী গ্রামের একজন রমিছার জীবন যুদ্ধের হুবহু বয়ান। এটা নিছক একজন রমিছার জীবনের গল্প নয় বরং বাংলাদেশের অবহেলিত, নিপীড়িত শ-য়ে শ-য়ে রমিছার গল্প। যাদের অনেকেই হয়তোবা চরম পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাটার সাথে লড়াই-সংগ্রাম করে কোন রকম টিকে রয়েছে অথবা কালের শ্রোতে হারিয়ে গিয়েছে সেই কবেই। সত্যিই সমাজে রমিছাদের গল্প শুনবার লোকের বড় অভাব, তাদের মুখে হাসি ফোটানো তো অনেক দূরের কথা।
(বয়ানটি বরিশালের ভাষা হতে শুদ্ধ চলিত বাংলায় অনূদিত করবার চেষ্টা করা হয়েছে, রমিছা নাম এবং ছবি কাল্পনিক যা কিনা ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×