somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি এক নব্য রাজাকার, আমার বিচার করো

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ আমি রাজাকারের মতো কথা বলবো। বলতে পারেন আমি একটা ডিজিটাল রাজাকার। নব্য যুদ্ধাপরাধী বলুন তাতেও ক্ষোভ নেই। আমার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করুন তাতেও আপত্তি নেই। কেউ যদি আমার সঙ্গে কথা বলা আমার সঙ্গে চলা ফেরা করতে না চান তবুও আমি আজ বলবো। কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হয়নি এই ক্ষোভে এ্যাক্টিভিস্টরা নাকি শাহবাগ স্কায়ার ঘোষণা করেছে। দারুন-অভূতপূর্ব ঘটনা। কতটা হুজুগে মাতাল আমরা তার প্রমাণ এই স্কায়ার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমিও চাই। অবশ্যই চাই। এবং চাই তাদের ফাঁসি হোক। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে এটা যেমন সুখের কথা তেমনি দুখের কথা স্বাধীনতা আমাদের কি দিয়েছে। শুধুই একটা স্বাধীন ভূ-খণ্ড। শাসকের শোষন, বিত্তবানদের দুর্নীতি। এখনো ক্ষমতাবানরা আমাদের মা-বোনের ইজ্জত নিচ্ছে। এখনো সংখ্যা লঘুরা মার খাচ্ছে অহরহ। ধনী আরো ধনী হচ্ছে আর গরিব মরছে না খেয়ে। গণতন্ত্রের নামে চলছে দুই রহমান পরিবারের রাজতন্ত্র। জবাবদিহিতার রাজনীতি মরেছে ১৬ই ডিসেম্বর থেকেই। যারা কাধে কাধ মিলিয়ে, ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধ করলো তাদের মধ্যে কেনো আজ বিভাজন। কেনো একে অন্য বলছে তুই রাজাকার। আমার দেশে বিশ্বজিতের মতো নিরীহ মানুষকে মরতে হয় দিবালোকে শাসক শ্রেণীর চাপাতির আঘাতে। সাগর-রুনিকে জীবন দিতে হয় সত্য কথা বলার জন্য। অভ্যন্তরিন ষড়যন্ত্রে জীবন দিয়েছে অর্ধ শতাধিক সেনা কর্মকর্তা। কোথায় ছিলেন এ্যাকটিভিস্টরা। তখন তো কোনো স্কয়ার ঘোষণা করলেন। দেশ যখন একটা অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবমান তখন কোথায় আপনাদের এ্যাক্টিভিটিজ। কোথায় একটা ধর্ষণের প্রতিবাদে তো শাহবাদ স্কায়ার গঠন করলেন না। নাকি এখন নারী ধর্ষণ জায়েজ হয়ে গেছে। নাকি বিশ্বজিৎদের প্রকাশ্যে হত্যা করাটা স্বাধীনতার সুফল। লজ্জা লাগে আমাদের এই আতলেমি দেখলে। এমন ভাব ধরেন একেক জন যেন, সবাই চে, সবাই লেলিন, সবাই মাও সেতুং। ডুগডুগি বাজিয়ে গান গাইলেই লাল আন্দোলন হয় না। আজ যদি দেশটা পাকিস্তান থাকতো তাহলে সেদিন যারা মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছিলেন তাদের ফাঁসি লটকাতে ৪২ বছর সময় নিতো না তারা। সত্যি আজ বলতে ইচ্ছা হচ্ছে আমি নব্য রাজাকার।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×