পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই নিশ্চয় এমন কোটা অনুমোদিত...যদি তাই হয় তবে আগে কেন প্রতিবাদ না করে এখন আবার ফলাফল বেরিয়ে যাওয়া পরীক্ষা বাতিলের দাবী তোলা হচ্ছে...
একটি পরীক্ষার নীতিমালা মেনে নিয়েই পরীক্ষার হলে গিয়ে বসেছেন পরীক্ষার্থীরা...আর যেই ফলটা নিজের পক্ষে আসল না সেই চেতিয়া উঠলেন...সুতরাং এখন আর ফলাফল বাতিলের সুযোগ নেই...যদি ফলাফল তৈরিতে কোনরূপ অসদুপায় অবলম্বন করা হয় যার প্রামাণিক ভিত্তি আছে তবেই কেবল আন্দোলন ডেকে প্রতিবাদ করে এর একটা ব্যবস্থা করা সম্ভব...
কিন্তু ঘটনা যদি হয় এমন যে কতগুলো নিয়ম যা আগেই বলা হয়েছে এবং সজ্ঞানে তা মেনে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়েছে...এখন একান্তই নিজের স্বার্থে চারুকলার ভাস্কর্য ভাঙলাম...আমাদের উচিৎ ওদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়া...
পুনঃমূল্যায়নের সুফল কী আমি জানি না...পুনঃমূল্যায়নেও তো সেই একই ফল আসবে...
হ্যাঁ, কোটা প্রথার বিরোধী আমিও...তবে এতোটা বিশাল আয়োজনে না...উপজাতি কোটা আর প্রতিবন্ধী কোটা আবশ্যক...বিশেষ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও...কিন্তু ব্যাপার যেটা দাঁড়িয়েছে...যেন সাধারণ পরীক্ষার্থীরাই কোটার আওতায়...
আর আন্দোলন?? হ্যাঁ, এইটার দরকার আছে...যাতে অতি শীঘ্রই এই বৈষম্যমূলক কোটার সামাঞ্জস্যতা ফিরে আসে...
মুক্তিযোদ্ধাদের গালে জুতার ব্যবহারের স্লোগান সম্পর্কে এখনও আমি কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র পাইনি...তাই এ ব্যাপারে কথা আর না বলি...আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের উপযুক্ত সম্মান আর স্বীকৃতি চাই, কোন করুণা নয়...
এ কথাও সত্যি, আন্দোলনের মাঝে ওঁত পেতে থাকা ইতরজাত প্রতিক্রিয়াশীলরা হুল ফুটাচ্ছে...আন্দোলনের দাবী যথার্থ তবে অতি উৎসাহ প্রসূত সহিংস নগ্নতাকে ধিক্কার জানাই...
সকল আন্দোলনের উদ্দেশ্য আগামীকে সুগম আর সুনিশ্চিত করা...
ফেসবুক লিংকঃ Click This Link