জাতীয় প্রেসক্লাব ও ইউনিয়ন কার্যালয় দখলকারীদের বেঈমান সম্বোধন করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ''যারা বেঈমানি করেছেন আপনারা তাদের চিহ্নিত করেছেন। বেঈমান, দালাল, মীরজাফর এরা কিন্তু বেশিদিন টিকে না। তাদের পরিণতি অত্যন্ত খারাপ ও ভয়াবহ হয়। তাদের মানুষ সবসময় ঘৃণার চোখে দেখে। বেঈমানি করে কোনো লাভ হবে না। সত্য ও গণতন্ত্রের পথে থাকুন। আমি কোনো সময়ে বেঈমানদের সঙ্গে হাত মেলাইনি। ভবিষ্যতেও বেঈমানদের জায়গা আমার কাছে হবে না।''
বেগম জিয়ার কথা শুনে বাঙলার মানুষ কিছুটা জোক মনে করলেও আমরা করবো না। কারণ তিনি যেসব উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। কানা যখন লাঠি হারিয়ে ফেলে তখন সে একটু বিপথগামী হবে এটায় স্বাভাবিক। এতোদিন তিনি দেশবিরোধী একদলের সাথে মিশে নিজেকে হাওয়াই ভাসিয়ে হাওয়া ভবন থেকে দেশটাকে হাওয়া বানিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তেমনি বিধাতা তাকে হাওয়াই মিশিয়ে দিয়েছেন। আজ তার দল দিন দিন হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। নেতা-নেত্রীরা হাওয়াই মিশে যাচ্ছে। হাওয়া ভবনের লোকেরা আজ নেহি পাত্তা হে, দেশ বিদেশে স্বার্থ ভোগ করে আরাম-আয়েশে আয়েছে রয়েছেন। খালেদা নিজেও জানেন না সেইসব চামচামিরা আজ কোথায় ? তিনি তার দলীয় সমর্থন সেইসব পা-চাটা সাংবাদিকদের নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছেন। আসলে কেন করছেন তা সাংবাদিক পেশা জগতের সকলেই জানেন তাদের চরিত্র সম্বন্ধে। তারা ছিল সাংবাদিক নামে কলংক। দেশবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত ছিলেন। আপনি আওয়ামীপন্থি সাংবাদিকদের বেঈমান বলেছেন। তিনি কখনো বেঈমানদের সাথে নাকি হাত মেলান না এটা যদি সত্য হয় তাহলে জাতীয় বেঈমানদের সাথে কিভাবে হাত মেলান। সেইসব রাজাকার আলবদর, আল-শামস্ যারা আমার মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছিল। দেশের সেইসব মানবসম্পদ বুদ্ধিজীবী শ্রেণীদের হত্যা করেছিল তাদের সাথে তিনি কিভাবে হাত মেলান তা বুজে আসে না। কি ডাহা মিথ্যা কথা। দেশের বুদ্ধিজীবী শহীদদের নিয়ে তিনি যে নতুন খেলা শুরু করেছেন তা বাঙালী জাতি প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। বাংলার মানুষ আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সেইসব দেশবিরোধী বেঈমানদের রুখে দিতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০০