আমি যখন ছোটো ছোটো বাচ্চাদের স্কুলে যেতে দেখি, অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কত কিছুর জানার আছে। মানব জন্ম নিয়ে একটা ঘরে আটকে আছি কয়েক যুগ ধরে। পৃথিবী টাকেও জানা হচ্ছে না বোঝা হচ্ছেনা সৃষ্টি সুখের রহস্য। আমি যখন শিশু, আমার মনে পড়ে এক স্কুল ছুটির ক্ষণে আরও দুই বন্ধু মিলে উঠে গেলাম পাহাড়ে। সেই বন্ধুদের নাম আমার মনে নেই। ওরা কোথায় থাকে কি করে আমি জানিনা। মানুষের অনুভূতি গুলো এমনই, যাকে মনে পড়ে তার আর কোনো অস্তিত্ব থাকেনা, অস্তিত্ব থাকলেও তাদের খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। আর কটা দিন পরেই চুল সাদা হয়ে গেলে অপেক্ষা করবো নানা অসুখ বাধার শরীরে। অস্তিত্ব মিলিয়ে যাবার অদ্ভুত অপেক্ষা করবো। আমি যখন পুরোনো কাউকে দেখি হঠাত চমকে উঠি কিভাবে সময় পেরিয়ে গেলো। কিভাবে আমি বড় থেকে বুড়ো হবার সংকল্পে বেড়ে উঠছি।
মানুষের এই অদ্ভুত অতীত, বর্তমানের আর ভবিষ্যতের- স্বাদ টা কি সবার জন্য একই রকম! ভোরে যখন ঘুম ভেঙ্গে বের হই, দেখি হাজার মানুষ ছুটছে, আবার সন্ধ্যে হলে পাখির মতই ফিরে আসছে, কিছু মানুষ গভীর রাতেও বাড়ি ফিরতে পারেনা। তাদের কষ্ট দেখেও শিউরে উঠি। দুটো দানা পেটে জুটানোর জন্য যে অমানুষিক পরিশ্রম মানব জীবন করে চলছে, চারিদিকে বেঁচে থাকার তীব্র তাড়না। যুদ্ধে প্রায় পুরো পরিবার কেই নামতে হয় ভোর বেলায় হাজারো মানুষের ভিড়ে নির্বাক ঠায় দাঁড়িয়ে যানবাহনের আশায়।
এইযে একই রকম জীবন তবে কিভাবে আমরা আলাদা হলাম? ঘুরে ফিরে কালে ভদ্রে সকল মানুষ শিশু থেকে বৃদ্ধ একই গল্প, একই গান, একই সুর আর তীব্র যন্ত্রণা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



