খেলা দেখা বাদ দিসি অনেক দিন, এখানে একজন প্লেয়ার জনপ্রিয়তা পেলেই মনে করে জায়গা টা বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ধরে রাখবে। সেই ফলাফলে দেখা যায় যেই টিম জিততেই থাকতো, সেই টিম এখন হারে শুধুই হারে আফগানিস্তানের সাথেও হারে। জীবনের এমনিতেই চিন্তার শেষ নাই। ডিপ্রেশনের ঠিকানা নাই। তার ওপর খেলা দেখে নিজেরে আরও কষ্ট দেয়ার মানে হয়, মুশফিকের ক্যাচ মিসের কারণে ম্যাচ হারা আজকে নতুন না। অনেক বছর ধরেই ঘটে আসছে। কিন্তু এখন ওনার বোধদয় হয়েছে। নতুন কেউ উঠবে যে এমন ও না। হঠাত করেই আপনি নতুন কাউকে টিমে আনতে পারবেন না। যে কটা বছরে নতুন কাউকে বসানো যেতো সে সময় পেরিয়ে গিয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম কেনিয়ার মতন হারিয়ে যেতে পারে। আফগানিস্তানের সাথে হারি আমরা। ধুকতে থাকা শ্রীলংকার সাথেও হারি। কত গুলো লর্ডশীপ বসে আছেন, তাদের সরাতে চাইলেও সকালে কান্না করবেন, তাদের আত্মীয় সরে যাবেন বোর্ড থেকে, প্রধাণ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সব ঠান্ডা হবে তারা আবার খেলবেন। আমরা যেহেতু ম্যাচ হারতেই থাকি তবে নতুন দের এনে পরীক্ষা করা হউক। নতুন কাউকে এনে হারলে তো সমস্যা নাই। সেই এশিয়া কাপে দুই রানে হারার পরে মনে পড়েনা কোনো ধরণের খেলাই ১০ মিনিটের বেশী দেখেছি, ম্যাচ জিতলে হাইলাইটস দেখসি শুধু। নিউজিল্যান্ড টিম কে দেশে এনে নিজেদের মতন পিচ করে কয়েক বার হোয়াইট ওয়াশ করে নিজেদের প্লেয়ার দের এমন ওপরে তুলেছি যে তারা ওখান থেকে আর নামতেই চায় নাই। একবার মাশরাফী কে বিশ্বকাপ খেলতে দেয়া হয় নাই ইনজুরির কারণে, মনে আছে তখন কি পরিমাণ হল্লা হয়েছে দেশে? ম্যাশ তো বলেই বসলো ইনজুরি হলেও খেলতে কোনো সমস্যা নাই সেই কি কান্না জুড়ে দিলো মিডিয়া জুড়ে। খেলা ধুলা আবেগ দ্বারা হয় না। যার ফল আমরা ভালো করতে করতে আবার হারিয়ে গেলাম। জন্মের পরে যখন ক্রিকেট আমাদের কি লজ্জ্বার কারণ ছিলো এখনো তা রয়ে গেলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




