somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাপিত্ত ছড়া ঝর্ণায় বেড়াতে গেলাম l ছবি ব্লগ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কিছুদিন আগে নাপিত্ত ছড়া ঝর্ণায় বেড়াতে গেলাম। চট্টগ্রাম একে খান থেকে জনপ্রতি ৮০ টাকা করে একে খান থেকে নয় দুয়ারী বাজারে।
বিপত্তি বাধলো গাড়ির সুপারভাইজার আমাদের নয় দুয়ারী বাজারে নামাতে ভুলে গিয়েছিলো, আমাদের কে আরো অনেক দূরে নামায়। ফলাফল জন প্রতি ২০ টাকা খরচ করে আবার ফিরতি পথে নয় দুয়ারী বাজারে আসতে হয়েছে।

কথিত আছে এই এলাকায় এক লোক তার মায়ের নামে একটি মসজিদ করেছিলো যার নয় টি দরজা ছিলো। একসময় তার মসজিদ টি করার পরে লোক টি তার মাকে বলেন "মা তোমার দুধের ঋণ শোধ করে দিলাম মসজিদ করার মাধ্যমে"
এই কথার পরেই রাতারাতি মসজিদ টি গায়েব হয়ে যায়।

যাই হউক বাজারে নেমেই কিছু পাউরুটি কিনে নিলাম, পরে ঝর্ণায় গিয়ে দেখি একটির মেয়াদ আছে অন্যটির নেই। খুব সাবধান থাকবেন কিছু কেনাকাটার সময়, মানুষ এখন সব স্থানেই ধুর্ত আর প্রতারক হয়েছে।


বাজার থেকে পাহাড়ের পথে হাটতে হাটতে তোলা। ধান ক্ষেতে মুগ্ধ হওয়া।


আরও কিছু দূরে এগোতে রঙ পরিবর্তন হচ্ছে।


এ সুন্দরের কোনো তুলনা নেই।


এই সেই ঝিরিপথ, সাবধান না হলে বিপদ।

কিছু উপদেশ, চেষ্টা করবেন ভালো গ্রিপের জুতো পরে যেতে। নয়তো এই পিচ্ছিল পথে খালি পায়ের গ্রিপ পাবেন না।
আর ঝর্ণায় প্রবেশ পথে ২০ টাকা টিকেট, ইজারা যারা নিয়েছে তারা মানুষ গুনে বনে প্রবেশ করায় এবং বের হবার সময় চেক করে কেউ থেকে গেলো কিনা। আসলেই সিস্টেম টা ভালো লেগেছে।


এই ঝর্নার রাস্তায় দু দিকে দুটো ঝর্ণা গিয়েছে, এটা হচ্ছে বাঘবিয়ানী ঝর্ণা।


বাঘবিয়ানী ঝর্ণার আরও কিছু ছবি।

আমরা বাঘবিয়ানী ঝর্ণার গিয়ে বুঝলাম গুগুলে দেখা নাপিত্তছড়া ঝর্ণার সাথে এটার মিল নাই। তখন বুঝলাম এবং জানলাম এটা বাঘবিয়ানী ঝর্ণা নাপিত্তছড়া না। তাহলে নাপিত্ত ছড়া কোথায়? আমরা আবার পিছনে ফিরে এসে ডান দিকের পথে পেলাম সেই কাংখিত নাপিত্তছড়া ঝর্ণা।


মনে হচ্ছে ঢাউশ আকৃতির পেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বহমান ঝর্ণা ধারা।

আমাদের টিমে ৬ জন লোক ছিলেন, একজনের হাতে ছিলো খমক। এবং আরেক জন অসাধারণ কন্ঠ শিল্পী ছিলেন যার গান শুনলে আপনারা বিমোহিত হবেন আশা করি। ঝর্ণা ধারায় পুরো টুরিস্ট সমগ্র আমাদের জয়েন করলেন, ভিডিও তে দেখুন।

আরও কিছু গান আছে দেখতে এবং শুনতে পারেন।

আরেকটি নিন যদি ইচ্ছে হয়।


পরিশেষে বলতে চাই, ওখানে গিয়ে স্থানীয় দের সাথে খারাপ আচরণ করবেন না। মদ অথবা মাদক খোঁজ করবেন না। এখন ওখানে এসবে খুবই কড়াকড়ি। ভালো গ্রিপের জুতো পরুন। এখানে খালি পায়ে অথবা অফিসের ফ্ল্যাট জুতোর জন্য এই রাস্তা নয়।
হঠাত বন্যায় এখানে পানি অনেক উপরে উঠে যায় যার প্রমাণ আমরা পেয়েছে ভেসে আশা শত শত গাছের গুড়ি দেখে, তাই ভরা বরষায় না যাওয়াই ভালো। শিশু অথবা বৃদ্ধ না নেয়াই উত্তম। এই ঝর্ণা পথে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে শুধু অজ্ঞতার কারণে। তাই এ ধরণের পাহাড়ে যাওয়ার আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নিন।

আমারা ধিরে সুস্থে আড্ডা দিতে দিতে ৪ ঘন্টায় গিয়েছে এসেছি আরও ৪ ঘন্টায়। খুবই ধিরে সুস্থে হাটুন। তাড়াহুড়ো করলে বিপদ হতে পারে। ভালো গ্রিপের জুতো পড়ার পরেও একদম সমান ভালো জায়গায় পরে গিয়েছিলাম। শ্যাওলা বুঝে হাটার চেষ্টা করবেন।

পর্যাপ্ত পানি এবং নাস্তা সাথে রাখবেন। পলিথিন, পানির বোতল যেখানে সেখানে ফেলবেন না।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×