...আমার তো হয়া গ্যাছে ইনসমনিয়া, রাইত-বিরাইতে বিছানের এইপাশ-ওইপাশ তোলপাড় কইরাও কুনো ঘুম চোখে আনবার পারিনা। কত কি ভাবনা, নামাজে খাড়াইলে যেমুন একসুমায় মাথায় গিজগিজ করতো- ঠিক তেমুন আমারে নিপতিত করে এক কল্পনার রাইজ্যে, নয়তো সমুদ্রে, নয়তো আমি প্রেমীক হয়া যাই, ভালোবাসতে বাসতে কারে জানি নাকাল কইরা দিই ব্যাপক কথার ফুলঝুরি দিয়া।
কত কি কইরা দেখলাম, শান্তি পাইলাম না কুনোহানে। ধর্মের বেবাক আচার ভুয়া বিশ্বাস করি, আর এইসব ভাবি, আমি রাজা হয়া যাই, হয়া যাই গুন্ডা অথবা নিজেরে প্রতিস্থাপিত করি কুনো মহৎ প্রানের লগে, নয়তো এই রাইত-বিরাইতে চক্কুনি মাছের লাহান খালি পুষ্করিনির জলে সন্তরন কইরা বেড়াই, বাত্তি জ্বালাই, কলম-খাতা লয়া ফাল পাড়ি, আর এইসব ভাবি য্যান এই শরৎকাল- একরকমের মৈথুনপ্লাবি ঋতু, মাতাল দুপুরে ছড়ায়া দেয় পাগলা রেনু, অথবা হইতে পারে এইটা রোগাশ্রয়ী ঋতু, ঐসব বৃক্ষের লাহান যাগো শইলে বাসা বান্ধে পরগাছা।
প্রত্যেকদিন আমারে ডাইকা যায় কুলবধু, কোকিলের স্বরে আমারে ছাইড়া দিতে কয় বিষয়-আশয়। আমি কেমনে জানি মৈথুন-মাতাল দিনের বেলা কাবার দেই, রাইত হয়, প্যাঁচায়া প্যাঁচায়া বাত্তির রেখা অন্ধকারের গতর খাবলায়া রাখে, এইসব দেখি, আর বিছনায় পইড়া রাজা হয়া যাই, কল্পনার দেশে হান্দায়া বেবাক মানুষরে নিয়া আসি আমাগো শরৎকালে।
এই যে আমার শইলে এখন জ্বর জ্বর লাগে, যারে আমি মুনে করসিলাম কুলবধু, যে কোকিলের মতো ডাকছাড়ে, অহন মুনে লয় এইডা শীতলা দেবী। জ্বর আইলো যহন তহন মুনে পইড়া গ্যালো গেরাম জুইড়া তড়কা-বাদলার ফনা ফানোক সাপের লাহান মাথা নাড়ে এইদিক-ওইদিক, গরু-মানুষ খুঁইজা ছোবল মারে, এই যেমুন আমারে ছুঁইয়া গ্যাছে ভাবি, যদিও মুনে লয় এইটা তড়কা না, তাই বুঝতাছি দাঁত বসাইতে পারবো না, সাইরা যাইবো।
আমার মুনে লয় এইসব নিরামিষ অনুভুতির একমাত্র কারন আমার বিষয় ব্যার্থতা, যেইহানে আমি বাঁইচা আছি মিছা কথা কয়া, মুনে লয় ফাঁস হইলে আসল খবর, মুখ দ্যাহামু ক্যামনে ওই অবুঝ বাপের সামনে?
তবে যেইডাই হোক, আমার মাথায় যে দর্শন খেলে সেইটার কাছে সে নেহাৎ ফুলবাগানের আগাছা, তাতে কি, একদিন সে-ই আমার সামনে আইবো, আমার কলিজা খুইলা দিমু, চিবায়া খাইবো...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




