somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইনসমনিয়াকাল ইউফোরিক ফোবিয়া (পুনঃ পোষ্টকৃত)

২১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

...আমার তো হয়া গ্যাছে ইনসমনিয়া, রাইত-বিরাইতে বিছানের এইপাশ-ওইপাশ তোলপাড় কইরাও কুনো ঘুম চোখে আনবার পারিনা। কত কি ভাবনা, নামাজে খাড়াইলে যেমুন একসুমায় মাথায় গিজগিজ করতো- ঠিক তেমুন আমারে নিপতিত করে এক কল্পনার রাইজ্যে, নয়তো সমুদ্রে, নয়তো আমি প্রেমীক হয়া যাই, ভালোবাসতে বাসতে কারে জানি নাকাল কইরা দিই ব্যাপক কথার ফুলঝুরি দিয়া।

কত কি কইরা দেখলাম, শান্তি পাইলাম না কুনোহানে। ধর্মের বেবাক আচার ভুয়া বিশ্বাস করি, আর এইসব ভাবি, আমি রাজা হয়া যাই, হয়া যাই গুন্ডা অথবা নিজেরে প্রতিস্থাপিত করি কুনো মহৎ প্রানের লগে, নয়তো এই রাইত-বিরাইতে চক্কুনি মাছের লাহান খালি পুষ্করিনির জলে সন্তরন কইরা বেড়াই, বাত্তি জ্বালাই, কলম-খাতা লয়া ফাল পাড়ি, আর এইসব ভাবি য্যান এই শরৎকাল- একরকমের মৈথুনপ্লাবি ঋতু, মাতাল দুপুরে ছড়ায়া দেয় পাগলা রেনু, অথবা হইতে পারে এইটা রোগাশ্রয়ী ঋতু, ঐসব বৃক্ষের লাহান যাগো শইলে বাসা বান্ধে পরগাছা।

প্রত্যেকদিন আমারে ডাইকা যায় কুলবধু, কোকিলের স্বরে আমারে ছাইড়া দিতে কয় বিষয়-আশয়। আমি কেমনে জানি মৈথুন-মাতাল দিনের বেলা কাবার দেই, রাইত হয়, প্যাঁচায়া প্যাঁচায়া বাত্তির রেখা অন্ধকারের গতর খাবলায়া রাখে, এইসব দেখি, আর বিছনায় পইড়া রাজা হয়া যাই, কল্পনার দেশে হান্দায়া বেবাক মানুষরে নিয়া আসি আমাগো শরৎকালে।

এই যে আমার শইলে এখন জ্বর জ্বর লাগে, যারে আমি মুনে করসিলাম কুলবধু, যে কোকিলের মতো ডাকছাড়ে, অহন মুনে লয় এইডা শীতলা দেবী। জ্বর আইলো যহন তহন মুনে পইড়া গ্যালো গেরাম জুইড়া তড়কা-বাদলার ফনা ফানোক সাপের লাহান মাথা নাড়ে এইদিক-ওইদিক, গরু-মানুষ খুঁইজা ছোবল মারে, এই যেমুন আমারে ছুঁইয়া গ্যাছে ভাবি, যদিও মুনে লয় এইটা তড়কা না, তাই বুঝতাছি দাঁত বসাইতে পারবো না, সাইরা যাইবো।

আমার মুনে লয় এইসব নিরামিষ অনুভুতির একমাত্র কারন আমার বিষয় ব্যার্থতা, যেইহানে আমি বাঁইচা আছি মিছা কথা কয়া, মুনে লয় ফাঁস হইলে আসল খবর, মুখ দ্যাহামু ক্যামনে ওই অবুঝ বাপের সামনে?
তবে যেইডাই হোক, আমার মাথায় যে দর্শন খেলে সেইটার কাছে সে নেহাৎ ফুলবাগানের আগাছা, তাতে কি, একদিন সে-ই আমার সামনে আইবো, আমার কলিজা খুইলা দিমু, চিবায়া খাইবো...
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×