কপাল খারাপ হইলে উটের উপর বসি থাকলেও পায়ে কুত্তা কামড় দেয়।
আগের একাউন্ট রিপোর্ট খায়া বন্ধ হইছিল সেখান থেকে আমার কোন প্রকার শিক্ষা গ্রহণ হয় নাই। যার ফলস্বরূপ সকাল-সকালে আবার নতুন করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ওয়ারনিং পাইলাম। এই ওয়ানিং-এর কারণ "কমিনিউটি এন্ড টেরোরিস্ট" নিয়ম নীতি ভাঙ্গা।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে ৩০ দিনের জন্য ফেসবুক লাইভ এবং কোন প্রকার এ্যাডভেটাইজ রান করতে পারবো না। এবং এর পরবর্তীতে যদি কোন প্রকার রুলস এন্ড রেগুলেশন ভাঙ্গি তাহলে আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হবে।
মূলত বর্তমান সময়ে কোন এক দল কোন এক দেশ তাদের আওতায় নিয়েছে, তো আমার জানা ছিলো না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বেন করেছে এবং স্বীকৃতি দেয় নি। তাই এই আলোচনায় তাদের নাম ছাড়া এভাবেই এগুতে হবে। তো ওই দল নিয়ে কারো একটা পোস্ট দুটো বাক্য লিখে মন্তব্য ছিলাম যার ফলস্বরূপ কর্তৃপক্ষ আমার একাউন্টে ওয়ারনিং সাইনবোর্ড ঝুঁলিয়ে দিল।
না কোন প্রকার খারাপ কথা লিখিনি, যদি লিখতাম তবে মেনে নিতে কষ্ট হত না। তাদের নাম এবং দেশের নাম লেখায় যদি এভাবে ওয়ারনিং দেয়া হয় তবে বুঝতে হবে কতটা ক্ষোভ থাকলে এমনটা ঘটতে পারে। কমেন্টে লিখাগুলো লিখেছিলাম বাংলায়, তো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে তারা তাদের প্রযুক্তি এতটাই উন্নত করেছে যে পৃথিবীর যে কোন ভাষা তারা অনুবাদ করতে পারে এবং আমার লেখা পরে তারা বুঝতে পেরেছে আমি ওই দুটো বাক্য ব্যাবহার করে তাদের সাথে একা-ত্ব-তা বা এক মত পোষণ করেছি।
ভাবছি এখন থেকে মুরাদ টাকলা হয়ে লিখালিখি করবো। হয় তো জুই-ক্কা কাকুর প্রযুক্তি তা ধরতে নাও পারে। এই লিখা থেকে তার অনেকটাই ব্যবহার শুরু করলাম আর কি। না কি "ফির হেরা ফেরি"- সিনেমার তোতলা তিওয়ারি ছেঠ হব ভাবছি। আট্টা টোটলার টটা টি টেটেটুক টিটেট টড়টে টারবে। (আচ্ছা তোতলার কথা কি ফেসবুক ডিটেক্ট করতে পারবে?)
ফেসবুকে কি করা যাবে, কি করা যাবে না তার একটা নীতিমালা পড়তে বলছে। সকাল থেকে পড়লাম এবং বুঝলাম বস ইজ অলওয়েজ রাইট। কোন প্রকার মানুষ বা সম্প্রদায় মনে আঘাত পায় এমন কোন আচার করা যাবে না। সেটা যতই সত্য হোক না কেন। কেউকে হেও করে আঘাত দিয়ে এখানে কিছু বলা নিষেধ। যার সাথে আমি একমত হলেও যারা নীতিমালা বানিয়েছেন তারা নিজেরাই একমত কি না তা আমার সন্ধেহ হচ্ছে।
কিছু ফ্যাক্ট নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম কিন্তু যেখানে স্বাধীন মতামত প্রকাশ নিষিদ্ধ সেখানে নিজের পিছনে নিজেই বাঁশ দেয়ার কোন মানে হয় না।
খুব আতংকে আছি এই ভেবে, কি করা যাবে এবং কি করা যাবে না কারণ সরকার এবং ফেসবুক কারো ধার ধারে না তাই আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত তাদের কথা মত না চলায়। ফেকবুক এবং সরকারের ভাব মুর্তি ক্ষুণ্য হয় এমন কোন কাজ করিবো না।
কাল থেকে ভাল ছেলে হয়ে যাব, নিজেকে নিয়ে আরো বেশি ব্যাস্ত থাকবো। বাংলায় অনুবাদকৃত নিজ গোত্রের পবিত্র গ্রন্থ পড়া শুরু করেছি, প্রায় ৪ ভাগের ৩ ভাগ শেষ করেছি। দোয়া করবেন যেন বাকিটা বুঝেশুনে শেষ করতে পারি। কুরআন এবং ইসলাম না বলে নিজ গোত্র বলার কারণ হচ্ছে ইসলাম এবং কুরআন শুনলে কর্তৃপক্ষ এবং অনেকের আবার ওই সব মনে হয়। আগে বিশ্বাস করতাম না, যত বড় হচ্ছি, বয়স বাড়ছে ততই তাদের আসল রূপ বুঝতে পারছি। সে দিনও আসতে পারে যেদিন এখানে লিখা থাকবে, ভাই-লেন্সের কারনে এখানে কুরআনের বানী লিখা নিষিদ্ধ। যাই হোক কথায় আছে, যেমন দেশ তেমন বেশ। আমরা সবাই এখানকার নিয়ম অনুযায়ী চলবো।
আসুন ভালবাসা ছড়াই, দুনিয়ায় সব নেগেটিভিটি পাশ কাটিয়ে দুনিয়াকে গড়ে তুলি আনন্দময় ভালবাসার স্বর্গে।
বিঃদ্রঃ একটা বিষয়ে হেল্প লাগবে রেসটিকটেড ওয়ানিং কেন আসলো তা দেখার পরে কি করতে হবে? ইয়েস আই এগ্রি দিব নাকি ডিস-এ্যাগরি কোনটা ক্লিল দেব?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬