এটা আমার নিজস্ব ব্লগে লেখা, ব্লগের লিংক আমি কলেজ জীবন যেরকম আশা করেছিলাম, সেটা ঠিক সে রকম হল না !
ভুমিকা
হাহ, কলেজ লাইফ।
স্কুলে থাকতে সবাই চিন্তা করত কবে কলেজে উঠবে, জীবনটা আরো রঙিন হবে, স্বাধীনতার পরিসর আরো বাড়বে। কিন্তু সবই মায়া, মরুভুমির মরিচীকা ছাড়া আর কিছুনা। কলেজে উঠলেই প্রথমে চিন্তা আসে কোন স্যারের কাছে যাব, কোন সময় যাব। তারপর লক্ষ্য করা কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব, যদি চান্স থাকে তাহলে আরো সামনে এগোতে পারা যায়। কিন্তু জীবনতো আর ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ এর মত না। সবাই কলেজে উঠে ভাবে আমি এখন স্বাধীন, আমাকে বাধার মত আর কেউ নেই। আমি বলব ভুল, তুমি এখনো স্বাধীন নও, বড় হয়েছ তাই তোমার খাচার পরিধি বেড়েছে। এখন টের পাবেনা যখন সেকেন্ড ইয়ারে পা দিবে তখন বুঝবে ঠেলা। হাহ, জীবনটা বুঝি এতই সোজা!
উপরক্ত কথা শুনে অনেকেই হয়তোবা ধারনা করতে পারেন আমি খুবই তেতো ধরনের ছেলে। সত্যি কথা আমি তেতো টাইপের ছেলে নই। আমির আর সবার মত হেসে খেলে চলতে চাই, কিন্তু কলেজ সম্পর্কে সবাই যে ধারনা প্রকাশ করে আমি সে ধরনের ধারনে রাখি না। উদাহরণ স্বরুপ, আগে আমি থাকতাম খুলনাতে। সেখানেই আমাদের স্থায়ী অবস্থান, আমাদের প্রতিবেশী এক মহিলাকে প্রায়ই দেখতাম তার ছেলে সম্পর্কে চিন্তা করতে, অবশ্যই দুশ্চিন্তা। কিন্তু সেই বড় ভাই খুবই ভদ্রছিল, সরাসরি কলেজ যেত আর তারপর বাসায় আসত। সময় কাটাবার জন্য বই পড়ত। কিন্তু তার মার ধারনা এই বই পড়ে পড়ে তার ছেলের বুদ্ধিমান মাথা নষ্ট হচ্ছে। এমনকি তাকে ‘কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স’ ম্যাগাজিন পড়তে দেখে মহিলাটি আমার মায়ের কাছে এসে ঘন্টাখানেক হা হুতাশ করলেন, তার ছেলে আজেবাজে বই পড়ছে বলে। আমার ছোটআপি সেই ভাইয়া থেকে দুই বছরের জুনিয়র ছিল, ছোটআপি প্রায়ই বলত, “দেখিস ঐ ছেলে একদিন বাসা ছেড়ে ঠিকই পালাবে।”
আপির ধারনাই ঠিক এইচ এস সি পাশ করার পর ঠিকই সে ভাইয়া পালাল। বাসায় শুধু একটা চিরকুট লিখেছিল, ‘আমি বিদায় নিলাম, আমাকে আর খুজোনা। সময় হলে ফিরে আসব।’ ফিরে এসেছিল ঠিকই সেটা আবার অনেক বড় ঘটনা।
সেখানে আমার সম্পর্ক কি ?
কথায় আছে আছেনা ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে’। সেই মহিলার সাথে থাকতে থাকতে আমার ইস্পাত স্নায়ু মা কিছুটা হলেও টলেছেন। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে রেগুলার মোবাইলে কল আসছে। আর দোয়ার সাথে সাথে অনেক উপদেশ আসছে।
ওহ, দুখিত! বলতে ভুলেই গিয়েছি। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় এসছি, আমি আমার ছোটআপি মানে আপির বাসায় থাকি। আপি স্বাধীনভাবে থাকতে চায়, কিন্তু অভিবাবক মহল থেকে চাপ আসে কিন্তু আপি কোন কথায় কান দেয়নি। তবে ঢাকা শহরে কোন মেয়ে মানুষকে একা থাকায় অনেকের আপত্তি আছে, তাই মা আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন, আগে আমার এক খালা আর আপুর এক বান্ধবী থাকত, কিন্তু খালা ফিরে আসায় আর তার বান্ধবীর বিদেশ চলে যাওয়ায় আমাকে খুলনা থেকে ঢাকায় আসতে হল।
যাক অনেক কথা মনে হয় হল। সত্যি কথা এই আমরা যারা কলেজে উঠে যেভাবে চলার কথা চিন্তা করি আসলে আমরা ঠিক সেভাবে চলতে পারিনা। আমরা ভাবি এক হয় আরেক। সত্যি কথা, আমি কলেজ জীবন যেরকম আশা করেছিলাম, সেটা ঠিক সে রকম হল না !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



