ময়মনসিংহ ১
ঘটনাটি আমার ডাক্তার বন্ধুর কাছে শুনা। তার ইন্টার্নীর সময় সে ফেস করে। তার প্রফেসরের কাছে আসে একটি পরিবার। যদি কোন চিকিৎসা করা যায়। তাদের বাসায় একজন লজিং মাস্টার থাকতো। পরিবারের বড় ছেলেটিকে সে পড়াতো আর তার সাথেই একই রূমে শেয়ার করতো। একটা পর্যায় সেই ছেলেকে অনৈতিক কাজে অভ্যস্ত করে মাস্টার। পরিবার যখন জানতে পারে তখন বছরখানে সময় পার হয়েছে। ততদিনে ছেলেটি তার সত্ত্বা হারিয়ে ফেলেছে। নিজেকে মেয়ে ভাবে। মেয়েদের মত আচরণ অভ্যস্ত হয়ে পরেছে।
ঢাকা ১
প্রথম পাসপোর্ট করি ২০০৪ সালে। ভেরিফিকেশন এর জন্য বাসায় পুলিশ আসে দুই জন। ভেরিফিকেশন এর পর তারা আর উঠে না। এ কথা সেই কথা পারে কিন্তু উঠে না। তাদের বিভিন্ন অজুহাতে বুঝতে পারি তাদের টিপস লাগবে। তাও দেই কিন্তু তাদের মনঃপুত না হওয়ায় তাদের একজন আম্মাকে উদ্দেশ্যে বললো "ও ভাবি এ কি হরলেন, এর চাইয়া ঝারুইদা দুইডা বারি দিতেন মোগো"।
এখনো স্মরন হলে নিজের কাছে লজ্জা লাগে।
ঢাকা ২
আগের হাতে লেখা পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ। সবকিছুই নতুন ভাবে করাতে হবে। ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ ফোন দিয়ে কাগজপত্রসহ কাফরুল থানার সামনে দেখা করার জন্য বললো। কাফরুল থানার সামনে দাড়ালাম নির্ধারিত সময়ে। ফোন দিলাম, বললো অপেক্ষা করেন আসছি। প্রায় দুই ঘন্টা পর তার ফোন। PSC Convention Hall এর সামনে দেখা করতে বললো। আবার ফোন দিলাম, বললো একটু সামনে রাস্তার অপজিটে একটা ছোট চায়ের দোকান আছে সেখানে যেতে। দোকানের ভিতরে নিয়ে বসালো। কাগজপত্র দিলাম। বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করলো। আমার ফরম দেখিয়ে বললো উপরের স্তরের স্যারদের সই করাতে হবে। আর একজন দেখিয়ে তার সাথে কথা বলতে বলে। দোকান থেকে বের হয়ে দেখলাম অনেকেই আমার মত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য কাগজপত্র নিয়ে আসছে। আমাকে সেই অফিসার একটু আড়ালে নিয়ে বললো "দেন", বলি "কি দিবো?' "কিছু খরচপাতি", বলি "সেইটাতো ব্যাংকে জমা দিয়েছি"। সে তখন প্রথম জনকে ডেকে নিয়ে আসলো। প্রথম জন এসে বললো "ভাই আপনে শিক্ষিত মানুষ, এটা বুঝেন না কিছু খরচপাতি লাগে ভেরিফিকেশনের জন্য?", বলি "ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা দিবো কেন, বাসায় ডিজিএফআইর লোক আমার ভেরিফাই করেছে, তারাতো টাকা চায় নাই, ঠিক আছে আপনি যখন ফোন দিছিলেন তখন বললে টাকা নিয়ে আসতাম"। "ভাই, এগুলা আগে বলতে হয়, বুঝেন না? উপরে খরচপাতি আছে"। কিছুক্ষন আমার দিকে অফিসার তাকিয়ে থেকে বলেন "যান"।
পটুয়াখালী ১
বাচ্চা ছেলে, ক্লাশ ৪ না ৫ এ পড়ে। একটা কঠিন নেশা ছিল তার। রঙ্গবেরঙ্গের ডাকটিকিট জমানো। কিছু টাকা জমা করতে পারলেই দোকানে ছুটে যেতো ডাকটিকিট কেনার জন্য। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে ডাকটিকিট বিনিময় করতো।পরে কিভাবে যেন একটা লোকের সাথে পরিচয় হয় ডাকটিকিট সূত্র ধরে। মাঝে মাঝে ছেলেটিকে বিনা মূল্যে ডাকটিকিট দিতো। পরে তাকে বাসায় আমন্ত্রন জানায় ডাকটিকিট নেওয়ার জন্য। ছেলেটি সরল বিশ্বাসে দেখা করে। কিন্তু লোকটি তার ললসা চরিতার্থ করে ছেলেটিকে দিয়ে। পরবর্তিতে ছেলেটি ট্রমার মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে।
বাচ্চাদের কখনো একা ছাড়বেন না। শত ভালো লোক হোক।
[/sb
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৯