somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলার পথের কিছু কথা ১১

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ময়মনসিংহ ১
ঘটনাটি আমার ডাক্তার বন্ধুর কাছে শুনা। তার ইন্টার্নীর সময় সে ফেস করে। তার প্রফেসরের কাছে আসে একটি পরিবার। যদি কোন চিকিৎসা করা যায়। তাদের বাসায় একজন লজিং মাস্টার থাকতো। পরিবারের বড় ছেলেটিকে সে পড়াতো আর তার সাথেই একই রূমে শেয়ার করতো। একটা পর্যায় সেই ছেলেকে অনৈতিক কাজে অভ্যস্ত করে মাস্টার। পরিবার যখন জানতে পারে তখন বছরখানে সময় পার হয়েছে। ততদিনে ছেলেটি তার সত্ত্বা হারিয়ে ফেলেছে। নিজেকে মেয়ে ভাবে। মেয়েদের মত আচরণ অভ্যস্ত হয়ে পরেছে।

ঢাকা ১
প্রথম পাসপোর্ট করি ২০০৪ সালে। ভেরিফিকেশন এর জন্য বাসায় পুলিশ আসে দুই জন। ভেরিফিকেশন এর পর তারা আর উঠে না। এ কথা সেই কথা পারে কিন্তু উঠে না। তাদের বিভিন্ন অজুহাতে বুঝতে পারি তাদের টিপস লাগবে। তাও দেই কিন্তু তাদের মনঃপুত না হওয়ায় তাদের একজন আম্মাকে উদ্দেশ্যে বললো "ও ভাবি এ কি হরলেন, এর চাইয়া ঝারুইদা দুইডা বারি দিতেন মোগো"।
এখনো স্মরন হলে নিজের কাছে লজ্জা লাগে।

ঢাকা ২
আগের হাতে লেখা পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ। সবকিছুই নতুন ভাবে করাতে হবে। ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ ফোন দিয়ে কাগজপত্রসহ কাফরুল থানার সামনে দেখা করার জন্য বললো। কাফরুল থানার সামনে দাড়ালাম নির্ধারিত সময়ে। ফোন দিলাম, বললো অপেক্ষা করেন আসছি। প্রায় দুই ঘন্টা পর তার ফোন। PSC Convention Hall এর সামনে দেখা করতে বললো। আবার ফোন দিলাম, বললো একটু সামনে রাস্তার অপজিটে একটা ছোট চায়ের দোকান আছে সেখানে যেতে। দোকানের ভিতরে নিয়ে বসালো। কাগজপত্র দিলাম। বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করলো। আমার ফরম দেখিয়ে বললো উপরের স্তরের স্যারদের সই করাতে হবে। আর একজন দেখিয়ে তার সাথে কথা বলতে বলে। দোকান থেকে বের হয়ে দেখলাম অনেকেই আমার মত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য কাগজপত্র নিয়ে আসছে। আমাকে সেই অফিসার একটু আড়ালে নিয়ে বললো "দেন", বলি "কি দিবো?' "কিছু খরচপাতি", বলি "সেইটাতো ব্যাংকে জমা দিয়েছি"। সে তখন প্রথম জনকে ডেকে নিয়ে আসলো। প্রথম জন এসে বললো "ভাই আপনে শিক্ষিত মানুষ, এটা বুঝেন না কিছু খরচপাতি লাগে ভেরিফিকেশনের জন্য?", বলি "ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা দিবো কেন, বাসায় ডিজিএফআইর লোক আমার ভেরিফাই করেছে, তারাতো টাকা চায় নাই, ঠিক আছে আপনি যখন ফোন দিছিলেন তখন বললে টাকা নিয়ে আসতাম"। "ভাই, এগুলা আগে বলতে হয়, বুঝেন না? উপরে খরচপাতি আছে"। কিছুক্ষন আমার দিকে অফিসার তাকিয়ে থেকে বলেন "যান"।

পটুয়াখালী ১
বাচ্চা ছেলে, ক্লাশ ৪ না ৫ এ পড়ে। একটা কঠিন নেশা ছিল তার। রঙ্গবেরঙ্গের ডাকটিকিট জমানো। কিছু টাকা জমা করতে পারলেই দোকানে ছুটে যেতো ডাকটিকিট কেনার জন্য। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে ডাকটিকিট বিনিময় করতো।পরে কিভাবে যেন একটা লোকের সাথে পরিচয় হয় ডাকটিকিট সূত্র ধরে। মাঝে মাঝে ছেলেটিকে বিনা মূল্যে ডাকটিকিট দিতো। পরে তাকে বাসায় আমন্ত্রন জানায় ডাকটিকিট নেওয়ার জন্য। ছেলেটি সরল বিশ্বাসে দেখা করে। কিন্তু লোকটি তার ললসা চরিতার্থ করে ছেলেটিকে দিয়ে। পরবর্তিতে ছেলেটি ট্রমার মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে।

বাচ্চাদের কখনো একা ছাড়বেন না। শত ভালো লোক হোক।
[/sb
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৯
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×