somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলার পথের কিছু কথা ১৩

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা ১
সরকারী হাসপাতালে আয়া হিসাবে কাজ করতেন তিনি। অবসরে এককালীন ১৯ লক্ষ টাকা পান পাশাপাশি অবসরকালীন ভাতাও পান এখন। একটা ব্যাংকে টাকাটা ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে রেখেছেন। যখন রাখেন তখন ত্রৈমাসিক রেট ছিল ৭.৫%। যা পেতেন তা দিয়ে ভালো ভাবেই চলে যেত। মাঝে সেখান থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নাতির বিয়েতে খরচ করেন। এর মাঝে তিনি আবার অসুস্থ হন জটিল কি এক রোগে। আবার লক্ষানেকের মত টাকা উত্তোলন করেন। গত এপ্রিল থেকে ত্রৈমাসিক রেট নির্ধারন করা হয় ৫% যেহেতু "প্রম" আবদার করেছেন। তাই অবসরপ্রাপ্তীর সেই ডিপোজিট দিয়ে যা আয় হচ্ছে তা নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অব্স্থা। সরকারী সঞ্চয়পত্র কেনারও নানান ঝামেলা। টাকাটা তিনি লাগাবেন। কিন্তু এই সময় টাকা একবার হাত থেকে বেড়িয়ে গেলে আর ফেরত পাবার সম্ভবনা খুবই কম। এতগুলো টাকা কিন্তু ভ্যালু কত কম!

ঢাকা ২
অফিসে এক বয়স্ক চাচা আসেন তার মনিবের পক্ষ থেকে। কথায় কথায় জানতে পারলাম তার চার মেয়ে। সবাইকেই বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মেঝ মেয়ের হাজবেন্ড একটা বাচ্চা রেখে মারা যান। সেই মেয়েকে নিয়ে তিনি জীবনের এই সময়টা পার করছেন।

ঢাকা ৩
গলির এক বাসার সামনে এক মহিলা এপার্টমেন্ট এর বয়স্ক দারোয়ানকে চার্জ করছে "আমাকে দেখে কি ফ্ল্যাটের মালিক মনে হয় না? আপনি আমাকে দেখে সালাম দেন না কেন?"

বরিশাল ১
জিয়া নামে এক ড্রাইভার ছিলেন আব্বার অফিসে। তিনি সেই ৯০-৯১ সালের চুলের স্টাইল ফলো করতেন সব সময়। ৯০-৯১ সালে আমি তখন নতুন নতুন স্কুলে যাওয়া শুরু করেছি। সরকারী কলোনীতে থাকি। মাঝে মাঝে দেখতাম জিয়া আংকেলরা কলোনীতে মিছিল বের করতেন। "কেউ খাব কেউ খাবেনা, তা হবে না তা হবে না, স্বৈরাচারীর কালো হাত গুঁড়িয়ে দাও গুঁড়িয়ে দাও"। সরকারী চাকুরি নিয়মিত করনেরও আন্দোলন করা হত। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা আর হয় নাই।

তার সাথে শেষ আলাপ ২০০৩ সালে।তখন অফিসের কাজে বরিশাল থেকে ট্রাক নিয়ে এসেছেন ঢাকায়। সেই চুলের স্টাইল। সেই হাসি হাসি মাখা মুখ। বছরখানেক পর আব্বার কাছে শুনি তিনি ট্রাক অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছেন। অফিসকর্মীরা তাদের সাধ্যমত জিয়া আংকেলের পরিবারকে সহায়তা করেন। কিন্তু তার পরিবার সরকার এর কাছ থেকে কোন সহায়তা পান না। যেহেতু তিনি নিয়মিত কর্মী ছিলেন না। অথচ কোটি টাকার সরকারি গাড়ি দায়িত্ব নিয়ে চালিয়েছেন।

তিনি একবার ডিভি লটারিতে অংশগ্রহন করেন এবং ডিভি লটারি পান কিন্তু এইচ এস সি পাশ না হওয়া তিনি ভিসা পান না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×