আল্লাহর অলীগন সর্বদা তার শায়েখের মাধ্যমে মহান স্রষ্টার সান্নিধ্যে থাকেন এবং তারা সুখ দুঃখের কোনো পরওয়া করেন না । অতঃপর তারা মহান আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কিছুই করেন না এবং এটা বুঝতে চাইলে কমপক্ষে ২০ বছর তরিকার চর্চা করতে হবে ।
প্রিয় মানবমন্ডলী , বর্তমান পৃথিবী করোনা নিয়ে মহাসংকটে আছে । পৃথিবীর যে কেউ যে কোনো মুহুর্তে করোনা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন । অতঃপর যদি আপনি আক্রান্ত হন , তাহলে কিভাবে সময় পার করবেন ?
আশার কথা হচ্ছে , করোনা ভাইরাস এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেছে এবং মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে , যদিও আক্রান্তের হার বাড়ছে । তবে এটা সুস্থ সবল মানুষের জন্য সাধারণ সর্দি জ্বরের মতো হয়ে গেছে ।
আক্রান্ত হলে প্রথমত আপনি আমার বর্ণিত নিয়মানুযায়ী ওয়ায়েসী তরিকা চর্চা করুন । কারণ অন্যান্য তরিকায় এখন ভন্ডরা ঢুকে গেছে , ফলে সেগুলোর চাইতে ওয়ায়েসী তরিকাই এখন উত্তম এবং ফরজ । তাছাড়া অন্যান্য তরিকায় এখন আধ্যাত্মিক উন্নতি হয়না বললেই চলে । তাই এখন ওয়ায়েসী তরিকা ছাড়া আপনি আপনার লোভ হিংসা অহংকার রিয়া দুনিয়ার আসক্তি ইত্যাদি খারাপ গুণগুলি ধ্বংস করতে পারবেন না এবং ধৈর্য্য তাওয়াককুল রেজা অল্পে তুষ্টি ইত্যাদি ভালো গুণগুলি অর্জন করতে পারবেন না । অতএব ওয়ায়েসী তরিকা আপনাকে গ্রহণ করতেই হবে ।
ওয়ায়েসী তরিকার বর্তমান পদ্ধতিটি হলো - আপনি আমার হাতকে আপনার হাতে স্থাপন করুন , আমার পা আপনার পায়ে স্থাপন করুন , আমার বুক ও পেটকে আপনার বুক ও পেটে স্থাপন করুন । অতঃপর আমার হৃদয় আপনার হৃদয়ে স্থাপন করুন এবং আমার হৃদয়ে ইনশাআল্লাহ মহান স্রষ্টা অবস্থান করেন । সেখান হতে আপনার হৃদয় আলোকিত করার চেষ্টা করুন। এভাবে সর্বদা ভাবতে থাকুন , এমনকি নামাজেও ভাবতে থাকুন । তাতেই আপনি সফলকাম হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ , যদি আপনার ভাগ্য ভালো হয় । আর যদি ভাগ্য নিতান্তই খারাপ হয় , তাহলে আপনি আমাকে খুঁজে পাবেন না । ( তরিকা নিয়ে কোরান হাদিসের
অনেক দলিল আছে , তন্মধ্যে মেশকাত শরীফের ১৯৯ নম্বর হাদিসটি উল্লেখযোগ্য এবং এই হাদিসটি মুসলিম শরীফেও আছে ) ।
উপরোক্ত নিয়মে তরিকার চর্চা প্রথম প্রথম অনেকক্ষণ করতে পারবেন না এবং ভালোও লাগবে না । তখন আপনি টিভি নেট দেখতে পারেন । টিভি নেট দেখতে গেলে প্রথমে ভালো নাও লাগতে পারে , তবে কিছুক্ষণ দেখলে পরে ভালো লাগবে , সেক্ষেত্রে কোনো মুভি বা গান দেখতে পারেন । কারণ এটা এখন মুবাহ । (১) । তবে একটা কাজ আপনার কোনোভাবেই ছাড়া যাবে না , আর সেটা হলো নামাজ । নামাজের সময় হলেই তায়াম্মুম করে নামাজটা আদায় করে নিন । অজু করার দরকার নেই , কারণ আপনি অসুস্থ । অতঃপর আরেকটি কাজ করুন , সেটা হলো - বেশি করে দোয়ায়ে ইউনুস পড়ুন । কারণ এটা আমার সাজেশন এবং এটা অনেক ফলপ্রসু ।
দ্বিতীয়ত , ধ্যানের মাধ্যমে আপনি পরম ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং চিকিৎসা চালিয়ে যান । এলোপ্যাথি চিকিৎসা নেওয়াই ভালো , কারণ কোনো কোনো উপজেলায় চিরুনি অভিযান চালালেও একজন দক্ষ হোমিওপ্যাথ পাবেন না । যদিও অনেক হোমিও ডাক্তারকে কোটিপতি দেখতে পাবেন । সত্যিকারভাবে তাদের সব টাকাই হারাম । কারণ তারা হোমিওপ্যাথির কিছুই জানেন না , তবুও মানুষ ঠকিয়ে কোটিপতি হয়ে গেছেন । যাই হউক এলোপ্যাথি চিকিৎসা নেওয়াই ভালো , কিন্তু যদি আদর্শবান ও সর্বোচ্চ নীতিবান এবং উচ্চশিক্ষিত হোমিওপ্যাথ পান , তাহলে হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করুন ।
নতুন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি পরিক্ষিত অবস্থায় আছে , আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন , তবে তা ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করা হবে ।
তৃতীয়ত , মনের উপর বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না । অল্প অল্প করে এবং সময় নিয়ে চাপ প্রয়োগ করুন , ভাগ্য ভালো হলে ইহকালে এবং পরকালে আপনি সফল হবেন ইনশাআল্লাহ । আর যদি ভাগ্যে মৃত্যু থাকে , তাহলে ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে এবং শহীদী মৃত্যু হবে ইনশাআল্লাহ ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
---------------------------------------------------------
# তথ্যসূত্র ঃ-
-------------------
★ (১) , মেশকাত শরীফ , ১৬৯ নম্বর হাদিস । [ তিরমিজি ] ।