অবস্থা এমন যে , যদি কোনো ফেরেশতা এসেও সরকারের সমর্থকদের বলে - সঠিক ভোট না করলে তোমাদের সামনে ভীষণ বিপদ । তবুও সরকারের সমর্থকরা ক্ষমতার মোহে বিশ্বাস করতে চাইবে না । কিন্তু মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আন্দোলনের জজবা আসতে শুরু করেছে , যদি বিএনপি সঠিকভাবে এগোয় , তাহলে সফল হতে পারবে ইনশাআল্লাহ ।
এখন বিএনপির উচিত কর্মী সমর্থকদের ধর্ম পালনে ভীষণভাবে উৎসাহিত করা । কারণ এতে আন্দোলনের শক্তি বেড়ে যাবে কোটি গুণ । মধ্যমভাবে ধর্ম পালন করতে হবে এবং অবশ্যই পূর্ব কালের সুফিদের অছিলা দিয়ে প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যান করতে হবে । কারণ এভাবে ধ্যান না করলে কোনদিনও সত্যের নিকটবর্তী হতে পারবে না। অতঃপর কিছু সময় বিরতি দিয়ে কর্মীদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুতির সময় দেওয়া অত্যাবশ্যক । কারণ এটা মানবাধিকার । আর মানবাধিকার লংঘনকারীরা কখনোই ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারবে না । একটা ভালো সময় বিরতি দিন এবং প্রস্তুত হতে বলুন ।
পরবর্তীতে বিএনপির কর্তব্য হচ্ছে - সকল ধর্মীয় দলকে পরিত্যাগ করা এবং পারলে একাকী আন্দোলন করা । তবে কোনোভাবেই ধর্মীয় দলকে সাথে নেওয়া যাবে না । কিন্তু ধর্মীয় দল গুলি একসাথে আন্দোলন করতে চাইলে কোনো সমস্যা নেই , তবে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা করে আন্দোলনে মিলিত হওয়া যাবে না । আজকে গনতন্ত্র ধ্বংসের জন্য শুধু সরকারি দল একাকী অপরাধী নয় , সমানভাবে বিএনপিও দায়ী , কারণ সারা পৃথিবী বিএনপিকে উপদেশ দিলো ধর্মীয় দলকে ছাড়তে , অথচ বিএনপি কর্ণপাত পর্যন্ত করলো না । অতঃপর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পালা করে রাজপথে উপস্থিত থাকবেন । বর্তমান সময়ে তো দলের হাইকমান্ডরা আন্দোলনে উপস্থিত থাকে না , তারা ঘরে বসে কমান্ড দেয় । এটা ভীষণ অন্যায় ।
বিষয়টা এমন যে , রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থরা বলে আমরা দেশ সেবায় জীবন দিতে প্রস্তুত , কিন্তু সুষ্ঠু ভোট করে বিরোধী দলে গিয়ে , পুনরায় জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করতে রাজি না । কারণ এখানে জীবনের ঝুঁকি আছে , তার মানে হলো নেতারা মিথ্যাবাদী । নেতাদের ফিলোসোফি হচ্ছে ডাকাতি করে দান করা, আর এর মানে হলো এই নেতারা জান্নাতের গন্ধও পাবে না ।
হে সাধারণ মানুষ ধর্ম পালন করুন এবং সঠিকভাবে পালন করুন , নেতারা ভীষণভাবে ধরা খাবেন । তাই সাধারণ মানুষকে বলছি হৃদয়ের গহীন থেকে ইখলাসের সহিত মধ্যমভাবে ধর্ম পালন করুন এবং দেশের প্রয়োজনে আন্দোলন করুন , আশা করা যায় আন্দোলনে মৃত্যু হলে পরকালে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ ।
সুষ্ঠু নির্বাচন এবং পূর্ণ গনতন্ত্র শুধু বিএনপির একার চাওয়া নয় , বরং সকল সুনাগরিকের চাওয়া , দেশে সুষ্ঠু ভোট হউক , ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হউক , স্থায়ীভাবে নির্বাচন পদ্ধতি ঠিক হউক , প্রয়োজনে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু হউক , মোটকথা গনতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করুক , তবেই মাতৃভূমির স্থায়ী উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ । এর ব্যাতিক্রম হলে বড়ো ধরনের আন্দোলন বা গৃহযুদ্ধ হয়ে দেশের সমস্ত অর্জন নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে । তাই সবাইকে বলছি ডাকাতি করে দান করতে যাবেন না । তাহলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না । কারণ ইতিহাস বড়ো নিষ্ঠুর এবং ভয়ংকরভাবে নিষ্ঠুর । বেশি অতীতে যেতে হবে না , বরং নিকট অতীতের বিশ্বকে দেখুন এবং শিক্ষা নিন ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।