অবশ্যই ঈদে মিলাদুন্নবী সাঃ হলো একটি উত্তম বিদআত । যা অনেক বুজুর্গ পালন করেছেন । আর যেহেতু বুজুর্গগন এটা পালন করেছেন , সেহেতু এটা পালনে কোনো সংশয় থাকা উচিত না । আল কোরানের ১০ নম্বর সুরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর রহমতের জন্য আনন্দিত হওয়ার জন্য বলেছেন । আর রাসুল সাঃ হলেন সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত । তাছাড়া সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসুল সাঃ নিজে তার জন্মদিন পালন করেছেন সোমবার রোজা রাখার মাধ্যমে । অতএব এই মিলাদ অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো সংশয় থাকা উচিত নয় । সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো সত্য বুজুর্গগন এটা পালন করেছেন ।
এখন প্রশ্ন হলো - বুজুর্গদের কেনো আনুগত্য করতে হবে ? এটার উত্তর তখনই বুঝবে , যখন তুমি বুজুর্গদের সংস্পর্শে কয়েক মাস বা কয়েক বছর সময় কাটাবে । আল্লাহর কসম করে বলছি - বুজুর্গদের সংস্পর্শ ছাড়া তুমি হেদায়েতের কিছুই বুঝবে না । যদি কারো ভাগ্যে হেদায়েত থাকে , সে অবশ্যই কোনো সত্যি বুজুর্গের সংস্পর্শ লাভ করবে । সমস্যা হলো - বর্তমানে প্রকাশ্যে কোনো সত্যি বুজুর্গ নেই । সত্য বুজুর্গগন এখন গোপনে আছেন । সত্য বুজুর্গদের অন্তর হবে নির্মল এবং তাদের হৃদয়ে কোনো জিদ হিংসা লোভ অহংকার থাকবে না । বরং সকল ভালো গুণে গুণান্বিত হবে তাদের হৃদয় । বর্তমানে যাদেরকে দেখা যায় , তারা ব্যবসায়ী এবং আধ্যাত্মিকতার কোনো গন্ধই তাদের মাঝে নেই ।
কেউ তোমাকে চিনির স্বাদ বুঝাতে পারবে না । নিজে খেয়ে দেখলে তবেই বুঝতে পারবে। তেমনি বুজুর্গদের সংস্পর্শ ছাড়া ইসলামের কোনো স্বাদই তুমি বুঝবে না । সাধারণত তুমি যে ইসলামকে সুস্বাদু মনে করছো , আসলে তা তীব্র সন্দেহযুক্ত এবং মুনাফেকি । এই ইসলাম পালন করে তুমি চিরজাহান্নামী হয়ে যাবে । জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চাও এবং জান্নাতে যেতে চাও , তবে সত্য সুফি খুঁজতে থাকো , আকাশ পাতাল তন্নতন্ন করে খুঁজো , যদি ভাগ্যে হেদায়েত থাকে , তবে সত্য সুফি খুঁজে পাবে ইনশাআল্লাহ । আমি এক ভন্ডকে চিনি, যে তার মুরিদকে বিভিন্ন মৃত লোকের সাথে সাক্ষাৎ করায় এবং কথা বলায় । শত শত মিথ্যা বলে কবিরাজি করে । যদিও সে ইসলামের সামান্য জ্ঞান পর্যন্ত জানে না । অতঃপর মহান আল্লাহর নিকট কাঁদো এবং সত্য সুফি খুঁজো , ভাগ্য ভালো হলে খুঁজে পাবে ইনশাআল্লাহ । আর সত্য সুফিগনই হলেন নবীদের ওয়ারিশ ।
প্রিয় মুসলিম রাসুল সাঃ এর জন্মদিনে আনন্দ করা এবং ইবাদত করা খুবই পূণ্যের কাজ , কারণ রাসুল সাঃ এর মাধ্যমেই সমস্ত সৃষ্টি পরকাল মুক্তির পথ পেয়েছে । রাসুল সাঃ না আসলে হয়তো আমরা চিরজাহান্নামী হয়ে যেতাম এবং আল্লাহকে চিনতে পারতাম না । মহান আল্লাহ রাসুল সাঃ এবং তার পরিবারকে সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং সকল সৃষ্টি রাসুল সাঃ এর অছিলায় কল্যাণ লাভ করুক , কেননা রাসুল সাঃ হলেন সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরুপ ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।