পৃথিবীর পরিবেশ উত্তপ্ত । পাপ এবং অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে পৃথিবী । ইসলামি শরিয়তে একজন নারী যে সমস্ত পুরুষের সামনে যেতে পারেন , বর্তমানে তাদের দ্বারাই যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছেন । আবার , ইসলামি শরিয়তে একজন পুরুষ যে সমস্ত নারীকে দেখতে পারেন , বর্তমানে সেসমস্ত নারীর দ্বারাই যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছেন । ইউরোপ আমেরিকায় এসব ঘটনা একেবারেই স্বাভাবিক এবং ধীরে ধীরে এটা সবজায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে ।
এটার কারণ হচ্ছে তাগুতি শক্তির ব্যাপক প্রসারতা । অতীতে এমন সময় হলে নবী রাসুল আসতেন । নবী রাসুলের যুগ শেষ হয়ে গেছে । এখন মুজাদ্দিদের যুগ । বর্তমান মুজাদ্দিদ এই তাগুতি শক্তি বন্দী করবেন ইনশাআল্লাহ । তবে তাগুতি শক্তি এতটা ব্যাপকতা লাভ করেছে যে , তিনি খুব সামান্যই বন্দী করতে পারবেন ।
এই সময়ে পূর্ণ পর্দা মানলেও অবৈধ যৌনতা রোধ করা সম্ভব না । কারণ পর্দার ভিতরে থেকেও নিজেদের মধ্যে এটা চলবে । তারপরেও পর্দা চালিয়ে যেতেই হবে ইনশাআল্লাহ । আসলে এখন অশ্লীলতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে । তালেবান শত চেষ্টা করেও অশ্লীলতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে পারবে না । যদিও নারীদের সমস্ত স্বাধীনতা কেরে নিয়েছে তালেবান । আসলে অশ্লীলতা মানুষের রক্তের সাথে মিশে গেছে । একমাত্র ইমাম মাহদি এটা পুরোপুরি ঠিক করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।
তাহলে মুসলমানরা এখন কি আমল করবে ? স্পষ্ট কথা , পাপ কাজ সংঘটিত হলেও হতাশ হওয়া যাবে না । চেষ্টা করতে হবে সেখান থেকে ফিরে আসার এবং পাশাপাশি মৌলিক ফরজ ও ওয়াজিব আমলগুলি করে যেতে হবে । বড়ো বড়ো সুন্নত আমলের চাইতে ছোট ছোট সুন্নত আমল তথা নফল ইবাদতে বেশি মনযোগ দিতে হবে । অত্যধিক নফল ইবাদত করতে হবে । ব্যাক্তিগত সুদ খাওয়া যাবে না , কারণ তা কিয়ামত পর্যন্ত হারাম । তবে ব্যাংকিং করা যাবে । ধর্ম প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ করা যাবে না । তবে সততা ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করা যাবে এবং করতে হবে । অভিনয় শিল্পীরাও উপরোক্তভাবে চললে , ইনশাআল্লাহ তারাও পরকাল মুক্তি পাবে ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।