somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিরো আলমের লেখাপড়া করা উচিত

২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান বাংলাদেশে হিরো আলম একটি পরিচিত এবং চর্চিত নাম । তিনি মূলত ইউটিউব থেকে আলোচিত সমালোচিত হয়ে বর্তমানে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন । তিনি দুই দুইবার সংসদ নির্বাচন করেছেন । গত ১ ফেব্রুয়ারী বগুড়ার দুইটি আসনে উপনির্বাচন করেন । একটি আসনে অল্প ব্যবধানে হেরে যান । বলা হচ্ছিল - তাকে কৌশলে হারানো হয়েছে ।



সরকার যদি হিরো আলমকে কৌশলে হারিয়ে থাকে , তাহলে বিএনপির কথাই সত্য প্রমাণিত হলো । বিএনপি বহুদিন ধরে বলছে যে , এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব । আসল সত্য ইহাই । সরকার চাচ্ছে - কম গনতন্ত্র এবং বেশি উন্নয়ন । এটা একটা অত্যন্ত খারাপ ফিলোসোফি । অসৎ ইনকাম দিয়ে বড়ো বড়ো বিল্ডিং বানানো কখনোই ভালো ফিলোসোফি হতে পারে না ।



ভালো ফিলোসোফি হচ্ছে - হারাম ইনকাম দিয়ে তিন বেলা পোলাও মাংস খাওয়ার চাইতে দুই বেলা মোটা চালের ভাত , লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়াই সর্বোত্তম । অর্থাৎ জীবন দিবো কিন্তু মিথ্যা দিয়ে উন্নয়ন করবো না । কারণ মিথ্যা ধোঁকাবাজি দিয়ে উন্নয়ন করলে চিরজাহান্নামী হতে হবে । যারা মিথ্যার মাধ্যমে উন্নয়ন করছে , তারা মৃত্যুর পরেই টের পাবে । বর্তমান সরকার তো এখন ইনশাআল্লাহ বলাও ছেড়ে দিয়েছে ।



যাইহোক - আগামীতে হিরো আলম হয়তো আবার নির্বাচন করবে । সুষ্ঠু ভোট হলে আশা করা যায় , হিরো আলম জিতবে ইনশাআল্লাহ । তবে তার যেটি করা উচিত , সেটি হলো - লেখাপড়া করা। এখন থেকে নিয়মিত পড়ালেখা করে যতদূর যাওয়া যায় । গ্র্যাজুয়েশন করতে পারলে ভালো , তবে কমপক্ষে SSC বা HSC পাশ করা কর্তব্য ।



হিরো আলম অসংখ্য মানুষের মোটিভেটর ( পজিটিভ উদ্দীপনা ) । হিরো আলমের সবকিছু নেগেটিভ থাকলেও সে সর্বদা সবকিছু পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে এবং এখনও যাচ্ছে । মহান আল্লাহ সর্বদা তার কল্যাণ করুন । মহান আল্লাহর নিকট আমি চাই , হিরো আলম যেনো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে এবং রোজাসহ সকল মৌলিক ফরজ ও ওয়াজিব আমলগুলি আদায় করে । সে যদি পাশাপাশি হারাম অভিনয়ও করে , তবুও যেনো নামাজ রোজা ছেড়ে না দেয় । অতঃপর ৪০ বা ৫০ বছর বয়সে অভিনয় ছেড়ে যেনো পূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করতে পারে । মহান আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখুন এবং সফল মানুষ ও সফল মুমিন হিসেবে কবুল করুন ।



বর্তমানের ইসলামও এটাই । মানুষ টিভি নেট দেখবে এবং সাথে একনিষ্ঠ নামাজও শিখবে । এটা অভ্যাসের ব্যাপার এবং কিছু সময় লাগবে । কোনো মানবাধিকার লংঘন করা যাবে না । সামান্যতম মনোকষ্টও দেওয়া যাবে না । তবে কিছু পাপকার্য হতে পারে এই ফেতনার যুগে এবং এই একবিংশ শতাব্দীতে । হওয়াটাই স্বাভাবিক । কিন্তু হাল ছাড়লে চলবে না । নামাজ রোজা ছাড়া যাবে না। কাঠমোল্লারা কাফের বললেও মন খারাপ করা যাবে না এবং কাঠমোল্লাদের সাথে তর্ক করারও দরকার নেই । তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে এভয়েড করতে হবে । তাইলেই সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ। এভাবে চলতে পারলে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাতের ওয়াদা ইনশাআল্লাহ ।



( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×