বর্তমান বাংলাদেশে হিরো আলম একটি পরিচিত এবং চর্চিত নাম । তিনি মূলত ইউটিউব থেকে আলোচিত সমালোচিত হয়ে বর্তমানে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন । তিনি দুই দুইবার সংসদ নির্বাচন করেছেন । গত ১ ফেব্রুয়ারী বগুড়ার দুইটি আসনে উপনির্বাচন করেন । একটি আসনে অল্প ব্যবধানে হেরে যান । বলা হচ্ছিল - তাকে কৌশলে হারানো হয়েছে ।
সরকার যদি হিরো আলমকে কৌশলে হারিয়ে থাকে , তাহলে বিএনপির কথাই সত্য প্রমাণিত হলো । বিএনপি বহুদিন ধরে বলছে যে , এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব । আসল সত্য ইহাই । সরকার চাচ্ছে - কম গনতন্ত্র এবং বেশি উন্নয়ন । এটা একটা অত্যন্ত খারাপ ফিলোসোফি । অসৎ ইনকাম দিয়ে বড়ো বড়ো বিল্ডিং বানানো কখনোই ভালো ফিলোসোফি হতে পারে না ।
ভালো ফিলোসোফি হচ্ছে - হারাম ইনকাম দিয়ে তিন বেলা পোলাও মাংস খাওয়ার চাইতে দুই বেলা মোটা চালের ভাত , লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়াই সর্বোত্তম । অর্থাৎ জীবন দিবো কিন্তু মিথ্যা দিয়ে উন্নয়ন করবো না । কারণ মিথ্যা ধোঁকাবাজি দিয়ে উন্নয়ন করলে চিরজাহান্নামী হতে হবে । যারা মিথ্যার মাধ্যমে উন্নয়ন করছে , তারা মৃত্যুর পরেই টের পাবে । বর্তমান সরকার তো এখন ইনশাআল্লাহ বলাও ছেড়ে দিয়েছে ।
যাইহোক - আগামীতে হিরো আলম হয়তো আবার নির্বাচন করবে । সুষ্ঠু ভোট হলে আশা করা যায় , হিরো আলম জিতবে ইনশাআল্লাহ । তবে তার যেটি করা উচিত , সেটি হলো - লেখাপড়া করা। এখন থেকে নিয়মিত পড়ালেখা করে যতদূর যাওয়া যায় । গ্র্যাজুয়েশন করতে পারলে ভালো , তবে কমপক্ষে SSC বা HSC পাশ করা কর্তব্য ।
হিরো আলম অসংখ্য মানুষের মোটিভেটর ( পজিটিভ উদ্দীপনা ) । হিরো আলমের সবকিছু নেগেটিভ থাকলেও সে সর্বদা সবকিছু পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে এবং এখনও যাচ্ছে । মহান আল্লাহ সর্বদা তার কল্যাণ করুন । মহান আল্লাহর নিকট আমি চাই , হিরো আলম যেনো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে এবং রোজাসহ সকল মৌলিক ফরজ ও ওয়াজিব আমলগুলি আদায় করে । সে যদি পাশাপাশি হারাম অভিনয়ও করে , তবুও যেনো নামাজ রোজা ছেড়ে না দেয় । অতঃপর ৪০ বা ৫০ বছর বয়সে অভিনয় ছেড়ে যেনো পূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করতে পারে । মহান আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখুন এবং সফল মানুষ ও সফল মুমিন হিসেবে কবুল করুন ।
বর্তমানের ইসলামও এটাই । মানুষ টিভি নেট দেখবে এবং সাথে একনিষ্ঠ নামাজও শিখবে । এটা অভ্যাসের ব্যাপার এবং কিছু সময় লাগবে । কোনো মানবাধিকার লংঘন করা যাবে না । সামান্যতম মনোকষ্টও দেওয়া যাবে না । তবে কিছু পাপকার্য হতে পারে এই ফেতনার যুগে এবং এই একবিংশ শতাব্দীতে । হওয়াটাই স্বাভাবিক । কিন্তু হাল ছাড়লে চলবে না । নামাজ রোজা ছাড়া যাবে না। কাঠমোল্লারা কাফের বললেও মন খারাপ করা যাবে না এবং কাঠমোল্লাদের সাথে তর্ক করারও দরকার নেই । তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে এভয়েড করতে হবে । তাইলেই সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ। এভাবে চলতে পারলে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাতের ওয়াদা ইনশাআল্লাহ ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।