হক্কানি অলীদের মাজার এবং ভন্ডদের মাজার এক নয় । দেওয়ানবাগী একজন ভন্ড ছিলো , তাই তার মাজার ভাঙ্গায় হক্কানি অলীদের অনুসারীরা এবং সাধারণ মানুষ খুশি হয়েছেন । দেওয়ানবাগীর মতো ভন্ড হলো হিজবুত তাওহীদের ইমাম সেলিম , একে ধ্বংস করাও সব মুসলিমের দায়িত্ব । সেলিম পুরো দলটাকেই জাহান্নামি বানিয়েছে । সেলিমের ইমাম বায়েজিদ পন্নীও ছিলো দেওয়ানবাগীর চাইতে বড়ো শয়তান ।
যাইহোক , আমি সবাইকে বলবো হক্কানি অলীদের জীবনী পড়ুন এবং দেখুন তারা কতটুকু শরিয়ত মান্য করেছেন , শুধু ফরজ ওয়াজিব মান্য করেই ক্ষান্ত হন নাই , সকল ধরনের সুন্নত মুস্তাহাব মান্য করেছেন । হারাম এমনকি মকরুহ মুবাহ বিষয়েরও ধারেকাছে যান নাই । সত্য সুফিরা যতটুকু শরিয়ত ও মানবাধিকার মান্য করতেন এবং বিনয়ীভাবে চলতেন , অন্য কোনো মুসলিম দল তাদের ধারেকাছে গেলেও , আমি তাদের দলভুক্ত হবো । যা কস্মিনকালেও সম্ভব না । আর দেওয়ানবাগী সেলিম পন্নী এরা শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসলমানই না । অর্থাৎ ভন্ড ও হকের মাঝে মানদন্ড হলো শরিয়ত । যারা পূর্ণ শরিয়ত মান্য করবে আপনি তাদেরকেই বিশ্বাস ও মান্য করবেন ।
দুঃখজনক হলো , হক্কানি অলীদের মাজারেও শরিয়ত বিরোধী কাজ হচ্ছে । যা বন্ধ করে দেওয়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ । মাজারে সেজদা করা হচ্ছে , মদ গাঁজা হিরোইন সেবন করা হচ্ছে , মাজারের বিভিন্ন বস্তুকে সিজদা করা হচ্ছে , মাজারকে কিবলা বানানো হচ্ছে , আরো নানা ধরনের কুফরি শিরক করা হচ্ছে । এসব শয়তানি এবং শয়তান মাজারের কেন্দ্র এবং আশপাশ থেকেও সরানো ফরজ ।
আরেকটি কথা হলো - মাজারের টাকা দান করতে হবে ভালো কাজে এবং টাকা ব্যাবহারও করতে হবে ভালো কাজে । কোনোভাবেই কোনো ব্যাক্তি ও পরিবার এই টাকা নিয়ে ব্যাবহার করতে পারবে না , এটা সরকার নিশ্চিত করবে ।
হাদিসে আছে উঁচু কবর ভেঙ্গে দিতে হবে । আপনি হাদিস শোনাচ্ছেন আল্লাহর হক অলীদেরকে , যারা পৃথিবীর সব দলের থেকে বেশি হাদিস মান্য করেছেন । হাদিসের অর্থ বোঝা মোটেই সহজ না । কিছুটা উসুলে হাদিস পড়লে বুঝবেন । হক অলীগন একেকজন উলিল আমর , তাই তাদের কথা মানতে হবে এবং তাদের বর্ণিত হাদিসের কথাও মানতে হবে । অতএব হক অলীদের মাজারে ভাংচুর না করে বরং সেখান থেকে কুফরি শিরক দূর করুন এবং তাদেরকে অছিলা দিয়ে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করুন , ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে ।
( মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


