চীন এশিয়া এবং এশিয়ার বাইরে বাণিজ্য এবং পরিবহন করিডোর নির্মাণের জন্য বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল এবং পাকিস্তানে সমুদ্র বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রাস্তা নির্মাণে জন্য কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে।
চীন বাংলাদেশে ৭৫০ একর জায়গার উপর একটা শিল্প এলাকা গড়ে তুলছে, যেখানে শুধুমাত্র চীন উদ্যোক্তারা শিল্প স্থাপন করতে পারবে। এখানে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিদেশে রফতানি হবে। এই শিল্প-কারখানাগুলোতে হাজার হাজার বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে।
এই বিশেষ শিল্প এলাকা গড়ে তোলার জন্য চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান চাইনা হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথ ভাবে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল অথরিটি (BSEZA) গঠন করেছে। এর ৭০ ভাগ মালিকানা চীনের এবং ৩০ ভাগ মালিকানা বাংলাদেশের। এই শিল্প পার্কটি চট্টগ্রামে স্থাপিত হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে এটা পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু করবে।
এছাড়াও চীন আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশে সড়ক, অবকাঠামো প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এই বিনিয়োগ হবে খুবেই সহজ শর্ত ঋণের মাধ্যমে। সুদের হার হবে সর্বোচ্চ শতকরা ২ ভাগ এবং ২০ বছর মেয়াদি।
তবে শ্রীলংকাতে হাম্বানটোটা বন্দর নির্মাণ নিয়ে চীন এবং শ্রীলংকা উভয় দেশ সমালোচিত হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, এত বিপুল ঋণ গ্রহণের ফলে শ্রীলংকা ঋণগ্রস্ত দেশে পরিণত হয়েছে। আর এই কৌশলগত বন্দরটি নিয়ন্ত্রণ করছে চীন, যা ইন্ডিয়ার মাথা ব্যথার কারণ।
বাংলাদেশে চীন শিল্প পার্ক গড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। বাংলাদেশে ভূমি অধিগ্রহণ খুবই জটিল এবং ধীরগতি প্রক্রিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৪