কৈশোর উত্তীর্ণ হ্রদয়ের মাখামাখিতে যে প্লাতুনিক আকুতি, সামান্য ছুয়াছুয়িতে সমুদ্র জয়ের যে অনাবিল সুখ, না সে ধরনের উপলব্দি এখন আর নেই| তিন বছর ছুটিয়ে প্রেম করার পর মেয়েটা ছেলেটার কাছ থেকে কোন আশ্বাস না পেয়ে ফিরে গিয়েছিল ঢাকায়, এবং টিচার হিসেবে জয়েন করে ভার্সিটিতে...কিছুদিন পর মেয়েটা জানালো বিয়ে করেছে |
অতঃপর কেউ কারো খবর রাখেনি...moved on উভয়েই...চার বছর পর ইমেইল...i'm in london...একটা কনফারেন্সে এসেছি...আগামি সপ্তাহে চলে যাবো...দেখা করবে?
পুরনো স্ফুলিঙ্গ কি তবে এক পশলা জ্বলে উঠবে...জ্বললে জ্বলবে আপত্তি নেই সাগরের...রি্সপন্স করে -let me know where and when...টেলিফন নাম্বার ও ইঙ্কলুড হয়...কিছুক্ষনে্র মধ্যে কল আসে...পরিচিত কন্টস্বর...মগজের আঙ্গিনায় হাই ব্লিপ মারে...ভালোআছির আদান প্রদান...বিকেলেই দেখা করা যায় অফিসের পর...
বিকেল আসে...সেই পরিচিত embankment...থেইমসের গা ছুয়ে ওরা পা ফেলে...সময়ের ব্যবধানে হাত ধরাধরিটা অনুপস্থিত...বদলে গেছ অনেক...
-বদলাবো না? মেয়ের রিস্পন্স...বিয়ে করলাম...বাছছা নিলাম...আর তুমিতো মহারাজ সময়কে এক্কেবারে হাতের মুটোয় ধরে রেখেছ...
তাই?...রেস্তুরেন্টে ঢুকে ওরা...পরিচিত, ওটা ছিলো ওদের রেগুলার...
-জানো, এই স্যুপ টা মিস করেছি ভীষণ...
-আর আমাকে? একটু ও না?
-বাহ, তোমাকে মিস করতে যাবো কেন? আমার হাজব্যান্ড...বাচ্চা আছেনা?
-i see...বাচ্চা কোথায় রেখে আসলা?
-দেশে...বাবার কাছে
-কোথায় উঠেছ এখানে? হোটেলে?
-না...ইউনিভারসিটিই ব্যবস্থা করেছে, হলে...
-সাড়ে ন টা, অথচ এখনো সূর্য ডুবেনি...ইংলান্ডের সামারটা আমার কখনো খারাপ লাগতো না...নাতিশিতশনো এই দিন গুলো কি মজার না?
-মজার বটে বাট প্রিকন্ডিশনটা হলো মজার কেউ পাশে থাকা...যেমন এই মুহুরতে...আচ্ছা মনে আছে...আমাদের ফার্স্ট স্নগিংটা ঐ যে রেইলিং...ওখানে...
-না, আমার ঐ সব মনে নেই...
-বিয়ের পর তাহলে আপনারা এভাবেই অতীতকে অস্বীকার করেন?
-হ্যা...কি লাভ ঐ সব রোমন্তন করে...কন্টে ক্ষোভ - জানো you're responsible for my rush decision...
-am i?
-yes you're sir!...তুমিতো কমিটমেন্টে যেতে চাইলে না...তাই দেশে ফেরার পর ফ্যামিলির চয়েছ কেই কবুল করলাম...anyway, যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন ও সব নিয়ে ঝগড়া করে লাভ নেই...
শীত শীত করছে...চলো ফিরি...
-চলো...মিলিনিয়াম ব্রিজ দিয়েই থেইমস পার হই...মনে আছে ফার্স্ট কখন জড়িয়ে ধরেছিলে?...ওই wobbly bridge দিয়ে Tate Gallery তে যাওয়ার সময়...
-নাহ...ওসব মনে নেই! বলেই পরক্ষণে সীমা সাগরকে জড়িয়ে ধরে...তুমি জানো এই ব্রিজ দিয়ে পার হতে আমার ভয় লাগে...
-জানি বলেইতো তোমার স্পর্শ পেতে এই ব্রিজে উঠলাম...
-শয়তান পুরুষ!
-শয়তানীটা তাহলেতো ভালোরকম ম্যানিফেস্ট করতে হবে বলেই সাগর সীমাকে আরো কাছে টানে...নীচে থেইমসের ঘোলাটে পানির ছোট ছোট ঢেউ...wobbly ব্রিজের মধ্যপথে এক জোড়া কপোত কপোতী আদিম তৃষ্ণা নিভারনে মত্ত হয়ে উঠে...এই পাগল হয়ে গেলা নাকি? দেখছনা মানুষ যাচ্চে...চলো... রুমে চলো...
ওরা ব্রিজ পার হয়...হল কতদূর...রাস্তা কি শেষ হবে না...আদিম তৃষ্ণায় কাতর নারী ও পুরুষ এখন এক আদিম আস্তানা খুজে...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১২