অন্ধক্ষণ জমাট বাধে ভোরের আলোয়।
তবু কোন কোন খিঁড়কি ভেদ করে না আলোর ঝলকানি!
গুমোট অন্ধকারে
নিরাশার বিষবাষ্প ছাড়ে এককালের আশাবাদী জোনাকী!
এখন ডানা ঝাপটায় না,
শুধু এপার ওপার পাড়ি দেবার
জ্বলজ্বলে ক্ষণ জ্বালিয়ে রাখে নিশিদিন।
ব্যস্ততার নাভিশ্বাসে কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া-
একমুঠো ভাতের আকাঙ্ক্ষাকে বামুনের চাঁদ বানায়!
তবু থেমে থাকে না ...
স্থবির হয় না কিছুই ।।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ঘাণি টেনে চলে;
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অভিশপ্ত মায়াকান্না জোড়া কচি উদর।
সহজ প্রাণ সহজ মানুষ সহজেই বিস্মৃত!
অভিশাপ অন্য প্রাণের নয়, নয় মানুষের।
যেন স্বয়ং বিধাতার আপন দেবমূর্তি
অভিশপ্ত প্রসাদ বিলিয়ে যায়-
অন্ধরাতে ঘাসফুলের নরম বিছানায়,
রক্ত জল করা ইট সুড়কির ফুটপাথে।
অন্ধকার কেটে আবারো দিনের আলো হাসে,
ফুল হয়, ফল হয়, পাখি গায়;
আপন নেশায় হুইস্কিতে বুদ হয়
বড় বড় মানুষের আশীবার্দের জীবন।
শুধু, শুধু ওই ছোট্ট খিড়কি ভেদে আলো আসে না,
কৃষ্ণের লীলা হয়ে ভুখা কৃষ্ণগহ্বর বেঁচে থাকে আমরণ,
বিধাতা একদিন আলো ফোটাবে- এই আশায় .....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




