গত পরশুদিন সকালে পত্রিকায় চোখ বুলাতে গিয়ে আবারো মর্মাহত হলাম। ফরিদপুরের মধুখালিতে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বলাৎকার দেখে ফেলায় সাত বছরের আরেক শিশু ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে ঐ শিক্ষক (!)
গত ০৯ মে দৈনিক ইত্তেফাকে একটি নিউজ প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিলো “আদরের নামে পায়ুপথে যন্ত্রনা দিতো মাদ্রাসা হুজুর, অতপরঃ গন ধোলাই” ঘটনাটি চট্রগ্রামের পটিয়ায়।
মাদ্রাসা নামের এসব ভয়ংকর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (!) আনাচে কানাছে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে সারা দেশ জুড়ে। মাদ্রাসাগুলোতে দিনের পর দিন ছেলে ধর্ষনের ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে দৃষ্টান্ত মুলক কোন পদক্ষেপ আমরা কেউ দেখিনা। কোন মনিটরিং নাই দেখবাল করার কেউ নেই। কিছুদিন আগে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যান মোতাবেক দেখলাম গত ১৫ মাসে মাদ্রাসায় ধর্ষনের শিকার হয়েছে ৬২ শিশু যাদেও মধে তিনজন মারা গেছে।
এসব বিষয় নিয়ে মামলাও খুব কম হয়। কারনে আইনে অস্পষ্ঠতা রয়েছে। বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় দেওয়া সংগায় শুধু নারীর কথা বলা হয়েছে। আবার দরিদ্র শিশুরা মাদ্রাসায় পড়ে বলে তাদের নানা অজুহাতে দমিয়ে রাখাও সহজ।
এখন একদল লোক দেখবেন বলা শুরু করবে মাদ্রাসা শিক্ষার বিরূদ্ধে আমরা কথা বলায় কাফের মোশরেক বলে গালি দেয়াও শুরু করবে। কেউ কেউ কাতেল করা ওয়াজেব মনে করে ফতুয়া দেয়াও শুরু করবে।
মাদ্রাসার নাম দিয়ে এসব বলাৎকারি প্রতিষ্ঠান কঠোর আইন করে নিয়ন্ত্রন করা হোক
ছবি সূত্রঃ অন্তর্জাল
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭