শহীদ বিষয়ক এই লেখাটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত উপলব্ধির প্রকাশ। এই লেখাটি কোনোভাবেই আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান বা ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন নয়। বরং এটি আমার দার্শনিক উপলব্ধি এবং অবস্থান থেকে উপস্থাপিত।

পৃথিবীতে কিছু শব্দ রয়েছে, যেগুলো ভীষণভাবে দ্ব্যর্থবোধক ও বিভ্রান্তিকর — “শহীদ” শব্দটি তার মধ্যে অন্যতম। এই শব্দটি মূলত আত্মত্যাগের ধারণার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই আত্মত্যাগ সাধারণত কোনো দেশ, মতবাদ বা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় করা হয়। শব্দটি শুধুমাত্র বিজয়ীদের জন্য পরাজয়ীদের জন্য নয় সুতরাং এ থেকেও বোঝা যাচ্ছে “শহীদ” শব্দটি বস্তুনিষ্ট নয়।

“শহীদ” শব্দটি সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন তোলে “মতবাদ” শব্দটির উপর। মতবাদ বলতে বোঝানো হয় কোনো নির্দিষ্ট বিশ্বাস বা শিক্ষার পদ্ধতিকে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখানে “নির্দিষ্ট বিশ্বাস বা শিক্ষা”-র কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, এই আত্মত্যাগ কোনোভাবেই বস্তুনিষ্ঠ (objective) নয়। এটি পুরোপুরি ব্যক্তিকেন্দ্রিক (subjective) — যার ভিত্তি হলো ব্যক্তিগত বিশ্বাস, আবেগ, উপলব্ধি, মতামত ও কল্পনা। ফলে, এই আত্মত্যাগ মানবিক বা সার্বজনীন কোনো আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে না।

“শহীদ” হওয়ার ধারণাটিকে কায়েমি স্বার্থে ব্যবহৃত এক শ্রেণির মানুষ মিথ্যা গৌরব দিয়ে মহিমান্বিত করেছে, এবং একে এক প্রকার পুণ্যের কাহিনিতে পরিণত করেছে।
এই মিথ পৃথিবীর সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়েছে।
যতদিন না এই মিথ এবং “শহীদ” শব্দটির ভুল ব্যাখ্যা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে, ততদিন বিশ্ব সমাজে সত্যিকারের “শান্তি” দেখা যাবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


