বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, যিনি কবি
প্রতিভা নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ক্লাস
ফোরে পড়া অবস্থায় কোন পুর্ণাঙ্গ কবিতা
লিখেছিলেন। প্রথম কবিতাটির ইতিহাসটিও মজার,
একদিন ক্লাসের বন্ধুরা শিক্ষককে বলে দিলো " গুরুজি
নজরুল ভাল কবিতা লিখতে পারে, গুরুজি তখন বাঁকা
চোখে চশমার ফাঁক দিয়ে নজরুলের দিকে তাকিয়ে
বলেছিল "কবি সাহেব তাহলে আপনি আমাকে একটা
কবিতা শুনানতো দেখি, কাজী নজরুল তখন ভয়ে ভয়ে তার
লেখা প্রথম কবিতাটি আবৃতি করে শুনালো,
ভোর হলো দোর খোল
খুকুমণি ওঠো রে
ঐ ডাকে জুঁই শাঁখে
ফুল খুকি ছোট রে।
খুলি হাল তুলি পাল
ঐ তরী চলল
এইবার এইবার
খুকু চোখ খুলল।
গুরুজি তখন কেঁদেছিল, নজরুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে
বলেছিল "তুই একদিন অনেক বড় কবি হবি"
শিক্ষক সেদিন সোনা চিনেছিল। কার প্রতিভা কোথায়
লুকিয়ে আছে তা আগের শিক্ষকগণ বুঝতে পারতো,
সেভাবে অনুপ্রেরণাও দিতো। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষক
আর ছাত্রের মাঝে বানিজ্যিক সম্পর্ক। কিছু শিক্ষক
ক্লাসের পড়াতেই সীমাবদ্ধ যারা এক্সট্রা
প্রতিভাগুলোকে সবসময় নেগলেট করে। অনেক শিক্ষকতো
ছাত্রছাত্রীদের কিছুকিছু কথার অর্থই বুঝেনা, না
বুঝেই জলন্ত প্রতিভাকে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।
সমাজের উন্নতির জন্য, জাতির উন্নতির জন্য সবার
আগে শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে, বানিজ্যিক সম্পর্ক
নির্মূল করে ছাত্রশিক্ষক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে,
যেন কোন ছাত্রছাত্রী পাছে শিক্ষককে গালী না দেয়।
কারন এটা সমাজের জন্য ভয়ংকর প্রতিরূপ।
জ্ঞানের রাজা জ্ঞান দিয়ে যাও,
শ্রদ্ধা নিয়ে সামনে আগাও,
দেশ তাকিয়ে তোমার দিকে
তুমি হারলে সবি ফিকে।