একেবারে হাফ বিল্ডিং ছোট দোকানের পাশে দাড়িয়ে দেখেছি লাল রং এর পাখি গুলো উড়তে, সন্ধ্যে ছুঁই ছুঁই লগ্নে একতারা হাতে সেই ছেলেটি " আমার আমি মরে গেছি" গানটি গাইতে গাইতে পশ্চিম দিকে চলে গেল।
সামনে অনেক বড় কংক্রিটের দেওয়াল, দেওয়ালের ঐ পাশে হৈ হুল্লার শব্দ, ছোট্ট একটা ছেলে আগরবাতি হাতে দেওয়ালের উপর দাড়িয়ে আছে।
সেখান থেকে জয়দেবপুর মোশারফ টাওয়ারের গা ঘেষে আরো পশ্চিমে চলে গেলাম, রাস্তায় সাড়ি সাড়ি অটো রিক্সা গুলো দাড়িয়ে, সামনে খুপরির দোকানগুলোতে সাদা আলো, সকালে দুইজনের মৃত্যুর সংবাদটা আবার মনে পড়ে গেল দাড়িয়ে থাকা হুকুমের গোলামদের দেখে।
অনেকটা দুর এসে ছয়তলা বিল্ডিংএর গা ঘেষে আরো একটা বিল্ডিং আবিষ্কার করলাম, তবে এটাও একটা হাফ বিল্ডিং, এটা বিরাণ ঘর এখন, কিছুদিন আগেও এখানে কুরআনের আসর বসতো, সকালের দোয়েল পাখি গাছের নিচে বসে শীস দিতো, বুলবুলি গুলো টিনের ছাঁদের উপর বসে পাহাড়া দিতো সকালের সূর্যটাকে, বই গুলোতে মনোযোগের চোখ গুলো পাহাড়া দিতো, কিন্তু একটা সাইরেনের শব্দ সব উল্টাপাল্টা করে দিলো, চল্লিশটা প্রাণকে খাঁচায় বন্ধি করে স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করে দিলো,
এখন দারুল আরকামে শিহাব চোরার আনাগোনাই বেশি, বই গুলো এতিমের মত পড়ে আছে, কুরআনের আলোচনা চার দেওয়ালে বন্ধি, শহিদুলের মত অন্যের বাড়িতে ঘুমায়, কিন্তু তারপরও আমাদের আকাশে চাঁদের আলো রাতে, সূর্য সকালে বলে যায় "সেই দিন আসবে পাখির ডানায় চড়ে, তৈরি হও তুমি তোমার মত করে।