somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুভ জন্মদিন ডঃ মুহম্মদ ইউনুস!

২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৮ শে জুন, ২০১৪
শ্রদ্ধেয় ডঃ মুহম্মদ ইউনূস ভাই,

আজ আপনার ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪০ সালের এই দিনে আপনি এই ধরিত্রীর আলো প্রথম দেখেছিলেন। পত্রের শুরুতে তাই আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনাকে ভাই বলে সম্বোধন করছি তাই একটু অবাক হচ্ছেন। অবাক হবার কিছু নেই। আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন আর আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। সে যুক্তিতে আপনি আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই। সারা বাংলাদেশে আমারমত আপনার অসংখ্য ছোটভাই ছড়িয়ে আছে। তারা আপনাকে বড় ভাই হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আপনাকে স্যার বলে সম্বোধন করতে পারতাম কিন্তু স্যার সম্ভাষণে আত্মীয় ভাবটা ফুটে উঠে না। এরচেয়ে ভাই ডাকটার মধ্যে একটা আত্মীয়তার সুবাস আছে। আপনাকে যে আত্মীয় মনে করি। অনেক কাছের মানুষ ভাবি। কেন ভাবি? তার জন্যই এই চিঠি।


আপনি আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদেশ থেকে ডিগ্রীগ্রহণ শেষে আপনি ১৯৭২ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান পাঠদান করতে। ১৯৭৪ সাল। দেশে ভয়াবহ দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এই দূর্ভিক্ষ আপনার মনে গভীর দাগ কাটে। গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করার ব্যপারে আপনি চিন্তাভাবনা শুরু করেন। আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে এই উপলব্ধি হোসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন আশির দশকে চিন্তা ভাবনা করেছিল তা আপনি অনেক আগেই ৭০ এর দশকে চিন্তাভাবনা করেছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গ্রাম জোবরা গ্রাম। এই হচ্ছে সেই গ্রাম যে গ্রাম থেকে আপনি ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ শুরু করেন। এরপর দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া। সেই পাড়ি দেয়ার ইতিহাস সবাই জানে। একসময় মহাজনী সুদ এই দেশে প্রচলিত ছিল। প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থা তখনো গ্রামে প্রবেশ করেনি। মেয়ের বিয়ে দেয়া, দুধেল গাই কেনা বা জমির সার কেনার জন্য অর্থ লাগলে মহাজনই ছিল একমাত্র ভরসা। সেই মহাজনী সুদে সর্বসান্ত হওয়া সালেহা, রাবেয়াদের গল্প আমাদের অজানা না। সেই মহাজনি সুদের বিরুদ্ধে আপনার গ্রামীণ ব্যাংক শক্ত অবস্থান নিয়েছিল। গ্রামীণ মহিলাদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের দলপতি নির্ধারণ করে ক্ষুদ্র ঋণ দেবার পদ্ধতি সত্যি প্রশংসার দাবিদার।

আগে গ্রামের সালেহা রাবেয়ারা একজন আরেকজনের চুল টানাটানি করে ঝগড়া করত। কিন্তু আজ তারা ছোট দলে সংঘবদ্ধ হয়ে একজন আরেকজনের বিপদে পাশে দাঁড়ায়। কিস্তির টাকা যাতে সময়মত দিতে পারলো কিনা বা কিস্তির টাকা সঠিক জায়াগায় ঠিকমত ব্যয় করলো কিনা তা দেখভাল করে। তাদের মধ্যে দলগতভাবে কাজ করার স্পৃহা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী নেতৃত্বের বীজ বপিত হয়েছে। এখন সালেহা-রাবেয়ারা চুলাচুলি বাদ দিয়ে একজন আরেকজনের মাথার উকুন বেঁছে দেয়। আগের সেই মহাজনি সুদ অনেকাংশে দূর হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী হয়েছে। এর স্বীকৃতি পেতে আপনাকে অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০০৬ সালে বিশ্বদরবার আপনাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে। আমাদের দেশের জন্য আপনি বিরল সম্মনা বয়ে নিয়ে আসলেন। ইউরোপের অনেক দেশ বাংলাদেশের নাম শুনে নাই তারাও আজ আমাদের চিনলো আপনার কল্যাণে। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আপনি আমাদের এই বিরল সম্মান এনে দিলেন। আপনাকে নিয়ে ‘জোবরা টু অসলো’ শিরোনামে ডকুমেন্টারি প্রচারিত হল। এই ডকুমেন্টারি এবং আপনাকে দেখে এখন আমরাও স্বপ্ন দেখি নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার। আমরাও স্বপ্ন দেখি আপনারমত আমরাও দেশের জন্য সম্মনা বয়ে নিয়ে আসার। এবার তবে আমার কথায় আসি।

২০০৬ সালে আপনি যখন নোবেল পুরস্কার পেলেন তখন আমি সবেমাত্র এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রথমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ভবন আপনার নামানুসারে করা হয়েছে। তা দেখে আমি বেশ আপ্লুত হই। আমি যখন জোবরা গ্রাম বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই তখন আমার সবসময় মাথায় খেলতো আমাকে একটা কিছু করতে হবে। এখান থেকে কিছু একটা শুরু করতে হবে। কিন্তু কি শুরু করবো তা ভেবে পাচ্ছিলাম না। বন্ধুদের বলতাম এই জোবরা গ্রাম থেকে ডঃ মুহম্মদ ইউনূস ভাই গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ শুরু করেছিলেন তারপর তিনি নোবেল পুরস্কার পান এই উদ্যোগের জন্য। আমাকেও কিছু একটা শুরু করতে হবে এখান থেকে। কিন্তু কি সেটা তা ধরতে পারছিলাম না।

চট্টগ্রাম আমার জন্য নতুন একটা এলাকা। সেখানে আমার কোন আত্মীয় নেই। আয়ের কোন সুযোগ ছিল না। বিকাল বেলা বেকার বসে থাকতাম। তখন বিকাল বেলা জোবরা গ্রামসহ আশে পাশের গ্রাম ঘুরতাম। কিন্তু কি করবো তা ভেবে উঠতে পারছিলাম না। চট্টগ্রামে থাকাকালীন আমি তিনটি কাজের উদ্যোগ নেই। এই তিনটি কাজের উদ্যোগের মধ্যে একটি কাজে আমি ইতিমধ্যে বেশ ভালো সাফল্যে পাই। চ্যানেল আইতে আমার সেই কাজ নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি প্রচার করেছিল। জোবরা গ্রামের ছেলে-মেয়েদের দেখতাম বিকাল বেলা খেলার সময় নানা ধরনের ছড়া বলত। এই ছড়া শুনে মনে হল এই ছড়াতো আমিও ছোটবেলায় একসময় বলতাম। কিন্তু এই ছড়াগুলো এখন আর আগেরমত শুনি না। তাছাড়া আমার দাদি ছিল ছড়ার জাহাজ। তিনি কথায় কথায় আমাদের অনেক ছড়া এবং শোলক শুনাতেন। দাদি মারা যাবার পর সেগুলো অনেক মিস করতাম। জোবরা গ্রামের ছোট ছেলে-মেয়েদের মুখের ছড়া শুনে আমার খেয়াল হল এগুলো সংগ্রহ করা দরকার। সেই থাকে লোকছড়া সংগ্রহের পথচলা।

এভাবে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪০০ ছড়া সংগ্রহ করেছিলাম। এরপর ২০১১ সালে আমার এই ছড়া সংগ্রহ নিয়ে চ্যানেল আই একটা ডকুমেন্টারি প্রচার করে। আমি বেশ অনুপ্রাণিত হই। যাক ইউনূস ভাই এর এলাকা থেকে ভালো একটা কাজের আইডিয়া পেলাম। এরপর একটা সংগঠনের উদ্যোগ নেই এই লোকছড়াসহ লোকসংস্কৃতির নানান উপাদান সংগ্রহ ও প্রচারের জন্য। আমাদের সংগঠনের নাম লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি। এই সংগঠন নিয়ে আমার নানান ধরনের পরিকল্পনা আছে। আপনার নতুন আইডিয়া সামাজিক ব্যবসা সেই সামাজিক ব্যবসায়ে লোরককে একসময় রূপ দেবার চিন্তা আছে। কিন্তু ভয় হয় গ্রামীণ ব্যাংকের মত আমাকেও একসময় এখান থেকে সরে যেতে হয় কিনা। তবে আমাকে যদি লোরক থেকে কখনো সরানোও হয় আমার কোন আফসোস থাকবে না। কারণ এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমার নাম স্মরণ করা হবে। আর লোরক বড় হোক সেটাই আমি চাই কার নেতৃত্বে বড় হল সেটা বড় কথা না। আমি জোবরা গ্রাম থেকে আরো দুইটি কাজের আইডিয়া নিয়ে এসেছিলাম। সময় স্বল্পতার কারণে তা আর করা হয়নি। ইচ্ছা আছে সেগুলো আবার শুরু করার। সেই কাজগুলো একটু সংক্ষেপে বর্ণনা করি।

'আমাদের পৃথিবী’ নামে একটা সংগঠন খুলেছিলাম। এই সংগঠনের কাজ ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পাতা কুড়াতে আসে তাদেরকে শিক্ষিত করে তোলা। আমাদের সাতজনের মত ছাত্র-ছাত্রী ছিল। তাদেরকে প্রতিদিন এক পিস করে সিঙ্গারা বা সমুচা খাওয়াতাম। যাতে খাবারের লোভে তারা যেন অন্তত স্কুলে আসে। কিন্তু পড়াশোনার ব্যস্ততা এবং আমাদের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে এই উদ্যোগ একমাসের মাথায় ভেস্তে যায়। আরেকটা উদ্যোগ ছিল তা হল আমি বিভিন্ন জ্ঞানমূলক বা সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে বিভিন্ন লেখা লিখে রেলস্টেশনে, হলে হলে টানিয়ে দিয়ে আসতাম। কিন্তু লেখক হিসেবে নিজের নাম গোপন রাখতাম। আর এই লেখাগুলো টানাতাম খুব গোপনভাবে। সক্রেটিস যেমন রাস্তার মোড়ে মোড়ে তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে তরুণদের উদ্ধুদ্ধ করত। আমিও তরুণদের মাঝে সমাজের বিভিন্ন অসংগতির সম্পর্কে তরুণদের ভাবনার প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে উদ্ধুদ্ধ করতাম। তাই লেখক হিসেবে ছদ্মনাম দিয়েছিলাম জুনিয়র সক্রেটিস। সেই লেখাগুলো নিয়ে অনেক নাটকীয়তা ঘটেছিল। কে এই লেখাগুলো টানাচ্ছে তা কেউ ধরতে পারছিল না। আমিও সেই সময়গুলো বেশ উপভোগ করেছিলাম। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসার পর আর সেই ধরনের ছদ্মনামে লেখা চালানো হয়নি।

এই লোরকের উদ্যোগ নেবার পিছনে আপনার অনেক অনুপ্রেরণা আছে। আপনি হয়ত সশরীরে অনুপ্রেরণা দেননি কিন্তু আমি নিজেই নিয়ে নিয়েছি। আমি অনেককেই বলি ভালো কাজ করতে চাও কিন্তু আইডিয়া পাচ্ছ না তাহলে আগে জোবরা গ্রামে ঘুরে আস। এখানকার আলো বাতাস তোমাকে ভালো কাজ করার আইডিয়া দিবে। আপনি আমাদের কিছু করার স্পৃহা হয়ে কাজ করেন। পরিশেষে বলতে চাই, আমি যেন আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারি তার জন্য আর্শীবাদ করবেন। আপনার মত যেন দেশ ও দশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারি। আপনার জন্মদিনে আপনাকে আবারো শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

ইতি
আপনার একজন ভক্ত ও ছোট ভাই
আলামিন মোহাম্মদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×