গুপ্ত বংশের উৎপত্তি সম্পর্কে আমি যদ্দুর জানি যে, প্রাচীণ কালে ব্রাহ্মণ পুরুষরা বিবাহ বর্হিভূত উপায়ে যেসব সন্তান জন্ম দিতেন তাদের বংশীয় পদবী হতো গুপ্ত।
সনাতনী হিন্দু সমাজে তাদের বংশ মর্যাদা ব্রাহ্মণের নিচে ক্ষত্রিয়ের ওপরে। বংশ মর্যাদায় যদিও বিবাহ বর্হিভুত বা জারয হলেও ব্রাহ্মণের পুত্র হওয়ায় সমাজে তাদের মর্যাদা বেশ ছিল। এখনো আছে। নইলে কালো বিড়ালের রঙে রঞ্জিত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত মন্ত্রী হন কি করে। যাক সেই কথা।
মহাজোট সরকারের ক্ষমতার পড়ন্ত বিকালে মন্ত্রী হলেন সুরঞ্জিত সাহেব তাও আবার রেলমন্ত্রী। যদিও তার জেলায় কোন রেল লাইন নাই। মন্ত্রী হয়েই তিনি ঘোষণা দিলেন রেলওয়েতে কালো বিড়াল তিনি খুঁজে বের করবেনই। আবার আবিষ্কার করলেন খায়দায় ইসমাইল, মোটা হয় নজিরুদ্দি' নামক ছুটকিও।
সে যাই হোক দাদা সুরঞ্জিতের আমলে রেলওয়ের এক বিন্দু উন্নয়ন না হলেও তার বা তার এপিএসের ভালই উন্নতি হয়েছে। আমরা যদি দাদার কথাই সত্য ধরে নিই তাহলেও বলতে হয় তার এপিএস ৭০ লাখ টাকা নিয়ে গাড়ীতে ঘোরেন। তাহলে তিনি নিশ্চয়ই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক।
আর যদি সে টাকা সুরঞ্জিত সাহেবের ঘুষের টাকার খবরকে সত্য বলে ধরে নেই তাহলে গুপ্ত সাহেবের ব্লাকক্যাট কেলেঙ্করির প্রশ্ন ওঠে। গুপ্ত সাহেব তারই অধীনস্থ কয়েকজন কর্মচারি দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছেন। তারা কি পারবেন মন্ত্রীর ঘুষের টাকা হলে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে রিপোর্ট দিতে।
সে যাই হোক গুপ্ত সাহেবের ব্ল্যাকক্যাট কেলেঙ্করির সুরাহা চাই। এসব কালো বিড়াল যাতে আর রাতের আঁধারে রেলওয়েতে হানা দিতে পারে সে দিকেও খেয়াল রাখা উচিত। তা না হলে কমলাপুরসহ দেশের বড় বড় রেল স্টেশন ও জংশনগুলোতে মানুষ নয় শুধু কালো বিড়ালই দেখা যাবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




