-ক্রিং ক্রিং ক্রিং
ফোন বাজতেই নীরব
বুঝতে পারলো পাগলীটা কল
করেছে। কল কেটে নীরব ব্যাক
করতেই নীড়া কল ধরেই
বলে উঠলো
-এই রাতে খেয়েছো?
পড়তে বসেছিলে নাকি মুভিই
দেখতেছিলে? এখন কি করছো?
-হু বাথরুমে আছাড় খাইছি আর এখন
সাতার কাটি!
-সোজা কথায় উওর দাও,
ফাইজলামো অফ অক্কে?
-হুম পাগলী খেয়েছি পড়েছি আর
তোমার কলের অপেক্ষাই
করছিলাম।তুমি কি করো
-শুয়ে শুয়ে এক আতেলের সাথে বক
বক করি
-আমি আতেল হলে তুমি আতেলের
বউ!
-আতেলের বউ হইতে আমার
ঠ্যাকা পড়েনাই হু!
-তাহলে আমার
সাথে কথা বলছো কেন এত গভীর
রাতে? কল কেটে ঘুমাও হু!
-ওলে বাবা ছোট্ট
বাবুটা দেখি রাগ করে! রাগ
করেনা বাবু
আসো আসো কোলে আসো তোমাকে ফিডার
খাইয়ে দেই।
-উহ আমার সুইটো পাগলীটা আই
লাব্বু, উম্মাহ।
-লাব্বু টু উওম্মাহ টু।
-উম্মাহ থ্রি ফোর ফাইভ সিক্স
সেভেন এইট নাইন কন্টিনিউ
ফরেভার।
-রাত
চারটা বাজে চুম্মা চুম্মি বাদ
দিয়ে ঘুমাও
সকালে কোচিং আছে।
---এক বছর পরঃ
আজো রাত চারটা বাজে। গত এক
বছরের প্রতিটা বিনিদ্র রাতের
মত ঘড়ির কাটার দিকে অসহায়
তাকিয়ে নীরব
ভাবছে মায়াবতী পাগলীটার
সাথে পুরনো সেই রাত
গুলো কিভাবে কেটে যেতো খুনসুটি করতে করতে!!
নীড়া যখন দেড় বছরের সম্পর্ক
মিথ্যে করে নতুন বিএফ
নিয়ে চলে গেলো তখন অসহায়
দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখেছে নীরব।
সেদিনের পর নীরবের
প্রতিটা রাত বিনীদ্র
কেটেছে পুরনো স্মৃতি আর
অনুভুতির মিছিলে।
হয়তো এভাবেই
কেটে যাবে নীরবের
বাকি জীবন টা!!
সত্যি বলতে শত কষ্ট পেলেও নীরব
নামক পরাজিত
ছেলে গুলো স্বার্থপর নীড়াদের
ভালোবাসার স্মৃতি কখনোই
মুছে দিতে পারেনা। বিনিদ্র
রজনীতে এই নীড়া নামক
মেয়ে গুলোর জন্যই
শুভকামনা করে যায় নীরব নামক
ক্যারেক্টার গুলো।
-ভালোবাসার
স্মৃতি কিংবা অনুভুতি গুলো না হয়
গভীর রাতের নিশ্চুপ
কান্না কিংবা মন খারাপের
অপরাহৃ অথবা নির্ঘুম প্রহর হয়েই
বেচেই থাকুক-
হয়তো নীরব নামক পরাজিত
ছেলেদের কাছে এটাই
ভালোবাসা। সবার
ভালোবাসা বেচে থাকুক
ভালো থাকুক সুখে থাকুক.......।l