সফদার ডাক্তার আর কাকে বলে! মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বিনীত নিবেদন রাখছি--হয় এই মহাবিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেশের শীর্ষ কোন মেডিকেল কলেজে সুযোগ্য পদে নিয়োগ দিন। না হলে যদি মনে করেন , তার এই পদ পদবী ঠিক নয়--বা ভুয়া তাহলে ব্যাবস্থা নিন। এর ব্যাপারে যদি ডিজি হেলথ মহোদয় ব্যাবস্থা নিতে না পারে, তবে এনাকেই ডিজি নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। দেখুন তিনি দিনাজপুরেই পাচটি জায়গায় রোগী সেবা দিচ্ছেন। সময়ই বলা যায় কুলাতে পারছেন না। একই সঙ্গে তিনি স্ত্রীরোগ, মেডিসিন,শিশুরোগ, অত্যাবশ্যক ওষুধ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। আবার সার্জারিরও ডাক্তার। বোঝা যায়, তিনি অপারেশনও করে থাকেন। এই ধরণের ডাক্তারদের কারণে কি অবস্থা হয়--তা নীচের রিপোর্ট পড়লে ধারনা করা যায়।
এই
শিশুটির বয়স মাত্র ১২। এ বয়সে তার হেসেখেলে বেড়ানোর কথা। আর দশটা শিশুর মতো পড়াশোনা করে বড় হয়ে ‘কী হতে চাই’ স্বপ্নে বিভোর হওয়ার কথা। কিন্তু নিজের ডান হাত খুইয়ে এখন সে হাসপাতালের বিছানায়।
তবে নিজের দোষে নয়, এতিমখানার স্বাস্থ্য সহকারী ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পিতৃহারা শিশু সুমন কাজীর ডান হাতটি কনুই থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। সম্প্রতি মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর শহরতলির কোমরপুরে অবস্থিত মুসলিম মিশন এতিমখানায়।
ফরিদপুর ট্রমা সেন্টারে চিকিত্সাধীন সুমন প্রথম আলোকে জানায়, ১২ জুন দুপুরে জোহরের নামাজের জন্য ওজু করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায় সে। এতে তার ডান হাত ভেঙে যায়। পরে মিশনের স্বাস্থ্য সহকারী সুমনের চিকিত্সা করেন। তিনি এক্সরে বা কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই সুমনের ভেঙে যাওয়া হাতের অংশ শক্ত করে বেঁধে প্লাস্টার করে দেন। এর পর থেকে সুমনের হাতের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। ওই দিন রাতে এবং পরদিন অর্থাত্ ১৩ জুন সকালে হাতে তীব্র ব্যথার কথা সহকারীকে জানায় সুমন। কিন্তু সহকারী তাকে কোনো চিকিত্সা না দিয়ে বকা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন। সুমন বলে, ‘এজন্য ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি।’
ঘটনার তিন দিন পর গত ১৫ জুন সুমন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের চিকিত্সকেরা সুমনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন চিকিত্সার পরও সুমনের অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় চিকিত্সকেরা ১৭ জুন অস্ত্রোপচার করে।
বুঝুন অবস্থা। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা। সবাই ডাক্তার হয়ে যাচ্ছে। ছবির ডাক্তার নাসিমুল আবার আর এম ও মানে রেসিডেন্সিয়াল মেডিকেল অফিসার জাতীয় একটা পদবীও লাগিয়েছে। এম আর এস-মাইন রেসকিউ সুপারিনটেডেন্ট। সব ভাওতাবজি। ডিগ্রি আর অভিজ্ঞতার তার সীমা নাই। সব জানে সে। আমরা মাঝে মধ্যেই চিকিৎসক সমাজ নিয়ে খুব সোচ্চার হই। অবশ্যই তা ঠিক কাজ। সমাজে জবাবদিহি চাই। কিন্তু এই ধরণের ডাক্তারদের ব্যপারে সোচ্চার হই না। এরা সমানে ডাক্তারি করছে। এর চেম্বার সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায় তৃণমূলে ডাক্তার কত দরকার। সরকার গ্রামে বাধ্যতামূলক ডাক্তার পাঠানোর ব্যাবস্থা নিলে এটা বন্ধ হতে পারে। তৃনমূলে ডাক্তার খুবই দরকার। এটা ডাক্তার সমাজকে বুঝতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




