কারণ মেয়েটার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে অনেকগুলো দেয়াল। যা ডিঙ্গানোর ক্ষমতা নেই তাঁর। নিজের বালিশে মাথা গুজিয়ে কাঁদতে থাকে। নীরব কষ্টগুলো বুকে পুষে যন্ত্রণার নিঃশব্দ চিৎকার করে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো আশপাশের মানুষগুলোকে একদম বুঝতে দেয়না।
কতটা ব্যথা তাঁর ভিতরে লুকিয়ে আছে। কেউ একজন তাঁকে ছেড়ে চলে যাবে। তাঁকে তা মেনে নিতে হয়। দাঁতে দাঁত কামড়ায়ে মেয়েটা নীরব হয়ে পড়ে থাকে ঘরের কোণে। বাহিরের পৃথিবীকে চেয়েও দেখেনা। প্রতিদিন প্রিয় মানুষটাকে না পাওয়ার হিসেব কষতে থাকে।
চোখের সামনে পৃথিবীকে পর হয়ে যেতে দেখেও কিছু বলতে না পারার মত বেদনা আর নেই। এই নিষ্ঠুর অনিয়মটা মেয়েটি নিতে বাধ্য হয়। খুব কাছের প্রিয় মানুষটা কত সুন্দরভাবে "আই লাভ ইউ" শব্দের ভিতরে আটকে রেখেছিলো। কিন্তু আজ নিষ্ঠুর হয়ে যাওয়া সেই মানুষটা "আই হেট ইউ" শব্দটা বলে চলে যাবে। মেয়েটার কিছুই করার থাকেনা। বড্ড বেশী নিষ্ঠুরতা।
মনের মানুষকে হারানোর শোকে মেয়েটা এলোমেলো হয়ে যায়। অগোছালো জীবন আর উদাসী মন নিয়ে বেঁচে থাকে। মাঝে মাঝে প্রিয় মানুষটাকে স্মরণ করে নীরব হয়ে কাঁদে। সেই কান্না কেউ কোনদিন দেখেনা। সেই কান্নাটা বুকের ভিতরে পুড়িয়ে দেয়। মেয়েরা বুকে চাপা কষ্টের পাহাড় নিয়ে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে।
কান্নারত মেয়েটার সাথে মোবাইলে কথা বললে বুঝার ক্ষমতা নেই আসলে মেয়েটা কাঁদে। কষ্টগুলোকে বুকে চেপে খুব শান্ত গলায় বলতে পারে "ভালো আছি"। মোবাইলের ওপাশের মানুষটা একদম বুঝতে পারবেনা মেয়েটা কাঁদতেছে।
মেয়েটা চায় তাঁর কান্নার ভাষা কেউ বুঝুক। কেউ তাঁকে আবারো বলুক "তুমি কাঁদছো"। মেয়েটা ভীষণ কেঁদে বুক ভাসায়। কিন্তু কেউ বুঝেনা সেই ভাষা। প্রতিদিন এভাবে কান্না লুকানোর মাঝে চাপা পড়ে থাকে কষ্টের বিশাল সাগর। আসলে মেয়েদের কান্নার ভাষা বুঝার ক্ষমতা কোন ছেলের'ই নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩