সেদিন এক মেয়ে সুইসাইড করেছিলো। ১৬ বছর বয়সী ঐ যুবতীটা ধর্ষিতা হওয়ার পর চার দেয়ালের বদ্ধ ঘরে নিজেকে কারাবন্দী রেখেছিলো আধামাস। নিজের বালিশটা কতটুকু অশ্রু গিলে নিয়েছিলো তাঁর চক্ষু থেকে! তা আমার জানা নেই। প্রতিদিনের নিঃশব্দ কান্নাগুলো তাঁকে কতবার মেরে ফেলেছে সেটাও জানিনা।
নিষ্ঠুর নিয়ম শুধু নিজেকে খুন করা। কিন্তু এই মেয়েটি ঘরের কোণার সেই চোট্টা রুমটার মধ্যে নিজেকে শতবার খুন করেছিলো। সুইসাইড করার আগের দিন মেয়েটি আমার সামনে এসে বুকেভরা কষ্ট আর অশ্রুময় চোখে আমাকে বলছিলো ------"ভাইয়া জীবন মানে কি?? তুমি জীবনকে কি হিসেবে দেখ??"
নিরুপায় হয়ে গেলাম আমি! কোন কোন প্রশ্নের উত্তর থাকেনা। এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে গেছি। আক্ষেপ!! এই পৃথিবী সকল প্রশ্নের উত্তর রেখেছে। এই প্রশ্নটার উত্তর রাখেনি।
ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের ডিকশনারি খুঁজে আমি তাঁকে এমন কোন উত্তর তাঁকে দিতে পারিনি। যেই উত্তরটা তাঁকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাবে। যেই উত্তরটা শুনেই মেয়েটি কান্না বন্ধ করে নতুন করে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাইবে। নিজের ব্যথাগুলো ভুলে যাবে।
রাতে মেয়েটার সুইসাইডের খবর পেয়ে হাত পা শীতল হয়ে গেলো।
আহ্.....! আমি যদি আজ তাকে জীবনের উত্তরটা দিতে পারতাম। তাহলে তাঁকে বাঁচানো যেতো। নিজেকে সবচেয়ে অপরাধী আর অসহায় মনে হয়েছিলো তখন! যখন চেয়ে দেখলাম তার রুমের ফ্যানটা তাকে নিষ্ঠুরের মত ঝুলিয়ে রাখছে।
নামিয়ে আনার পর আমার বড্ড ইচ্ছে করছিলো আমি তাকে জিজ্ঞেস করি।
"আপু মৃত্যু মানে কি?? তুমি মৃত্যুকে কি হিসেবে দেখ??"
-
সেদিন আমার এমন কোন উত্তর জানা ছিলো না। যেই উত্তরটা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতো পৃথিবীর বুকে।
জীবনটা এভাবেই চলে! চোখের সামনে মানুষগুলো পর হয়ে যেতে থাকে। পৃথিবীর নিষ্ঠুর নিয়মের বিপরীতে তাঁদের জন্য কিছুই করা যায় না। কিছুই না