এই ব্লগের কয়েকজন বলেছেন আমার এত দু:খ কেন? তো আমার দুরবস্থা দেখে আজ সন্ধ্যায় ঈশ্বর কিছুটা দয়াপরবশ হলেন। আমার কাছে তার দূত পাঠালেন। বললেন, তোমার দুর্দশা দূর করার জন্য তোমার কাছে দুটি জিনিস পাঠাচ্ছি। এর মধ্য থেকে একটি জিনিস তোমায় বেছে নিতে হবে। আমি প্রশ্ন করলাম কি জিনিস?
ঈশ্বর বললেন, বই অথবা প্রেমিকা?
আমার প্রফাইলেই আছে, আমি খুব যুক্তিবাদী মানুষ। দুটো জিনিসের সুবিধা অসুবিধা যাচাইয়ে তৎক্ষণাৎ বসে গেলাম:
ক) বই পড়তে পড়তে কোথাও যদি খটকা লাগে বা না বুঝতে পারি আমি এই ব্লগের বন্ধুদের কাছে জানতে চাইব ----- প্রেমিকার বেলায়?
খ) ধরুণ বিছানায় শুয়ে আমি একমনে আমার বই পড়ছি, ঠিক তখনি আমার মা চলে এলেন আমার রুমে -------- আমি এতটুকু বিব্রত হব না।
গ) কোনো বই পড়া শুরু করার আগে আমার মনে কখনও প্রশ্ন জাগবে না, আমার আগেও বইটা কেউ পড়েছিল কি না? কিন্তু প্রেমিকা ??????? ঈশ্বর আমি আর ভাবতে পারছি না।
ঘ) ধরুণ, একটানা দুইদিন ধরে বইটা পড়লাম। তারপর বিরক্তি ধরল, তখন আমি খুব সহজেই বইয়ের যে পাতাটা পড়ছিলাম সেখনে বুক মার্ক দিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে যেতে পারি------টিভি দেখতে পারি, সিনেমা দেখতে পারি - এমনকি আর একটি কমিক স্ট্রিপও পড়তে পারি। সবচেয়ে বড় কথা, ফিরে এসে আবার অর্ধেক পড়া বইটা বিছানা থেকে তুলে বাকিটুকু শেষ করতে পারি। কিন্তু ---------
ঙ) আমার কোনো বন্ধুর সাথে একই বিছানায় পাশাপাশি শুয়ে একই বই শেয়ার করতে পারি ------- আমার একটুও হিংসা হবে না।
চ) বইটা আমি খুব দ্রুত পড়ে শেষ করতে পারি - এজন্য আমাকে ক্যারেক্টরলেস বা লুজার শুনতে হবে না।
ঈশ্বরের দেয়া প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে আমি যখন প্রায় সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেছি তখনই ঈশ্বর নমুনা দুটো পাঠালেন : একটি শুকনো কড়কড়ে বই আর একটি রক্ত মাংসের মানুষ। মানুষ তো নয় ---- যেন দেবী। আমি ভুলে গেলাম, ভুলে গেলাম, ভুলে গেলাম --------- সব যুক্তি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




