
রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের সব স্থানেই প্রচন্ত মশার আক্রমণ বেড়েছে,আর এই মশার আক্রমন থেকে বাঁচতে আমরা যে মশা নিদারন
কয়েল ব্যবহার করছি,একবারো কি ভেবে দেখেছি সে কয়েল আমাদের কত ক্ষতি করছে।দেখুন কয়েল আমাদের কি কি ক্ষতি করছেঃ
দেখুন আমাদের হয়ত জানা নেই বদ্ধ ঘরে মশার কয়েল জ্বালানো আর প্রায় ১০০টি সিগরেট পান করা একই সমান কথা। যেভাবে
সিগরেটের কারনে আমাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হয় ঠিক সে একই ভাবেই মশার কয়েলর কারনে আমাদের ক্যান্সার সহ নানা ধরনের
রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।আগে আমরা জানতাম শুধু মাত্র তামাকেই ক্যান্সার হয়,কিন্তু আসলে এখন যা দেখছি মশার কয়েলেও
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।কোনও কোনও জরিপ বা বিশেষজ্ঞদের মতে,একটি মশার কয়েলের ধোঁয়ায় থাকা রাসায়নিক, ১৩৭টি সিগারেটে থাকা নিকোটিনের চেয়েও ক্ষতিকর। অনুমোদনহীন এসব কয়েলে ‘'অ্যাকটিভ ইনটিগ্রেডিয়েন্ট’' যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার, শ্বাসনালীতে প্রদাহসহ বিকলাঙ্গতার মতো ভয়াবহ রোগও হতে পারে।এমনকি গর্ভের শিশুও এসব ক্ষতির শিকার হতে পারে। খাদ্যে ফরমালিন এবং পানিতে আর্সেনিকের প্রভাব যেমন দীর্ঘমেয়াদি, তেমনি এসব কয়েলের বিষাক্ত উপাদান মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের বাসা তৈরি করছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেছেন এই ধরনের রাসায়নিকের যথেচ্ছ ব্যবহার সব বয়সী মানুষের জন্যই কিন্তু মারাক্তক ক্ষতিকর। তবে শিশুদের ওপর এটি খুব দ্রুত প্রভাব বিস্তার লাভ করে থাকে।
শুধু তাই নয় বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিনিয়ত এই ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শ শুধু তাৎক্ষণিকভাবেই না সুদূরপ্রসারী ক্ষতিও করে। জটিল রোগব্যাধি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে মারাত্মকভাবে।
ঠিক একই ভাবে সাম্প্রতিক কালীন, তাইওয়ান এবং চিনে এই সংক্রান্ত একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে মশার কয়েল এবং মশা তারানো ধূপের সম্পর্ক রয়েছে।অন্যদিকে চিকিৎসক সালভিও জানিয়েছেন বদ্ধঘরে একটি মশার ধূপ জ্বালানো প্রায় ১০০টি সিগরেট খাওয়ার সমান।গবেষণায় জানা গেছে, এই ধূপকাঠিগুলি টক্সিক, কারণ এতে সিসে, লোহা এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে। তিনি বলেন, মশার ধূপে ‘পাইরেথ্রিন’ নামে একটি কীটনাশক থাকে, যা ফুসফুসের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে ধোঁয়া-বিহীন মশার ধূপের ওই উপাদানগুলো কম থাকলেও, সেগুলো থেকে বিশাল পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হয়। এটিও ফুসফুসের পক্ষে ক্ষতিকর।
যদিও প্রশ্ন উঠতেই পারে, মশা রিপেলেন্ট ম্যাট এবং লিকুইডেটরগুলো কি নিরাপদ? যদিও এই দুইয়ের ওপর এখনো গবেষণা হয়নি, তা-ও সালভি জানিয়েছেন, এই গ্যাসিয়াস পলিউশন ফুসফুসে তীব্র জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।

তাই মশার উপদ্রব বা আক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচতে প্রথমত আমাদের ঘরের দরজা এবং জানালায় মশার-নেট লাগানো উচিত এবং দিনে বা রাতে যখনই আমরা ঘুমাতে বিছানায় যাইনা কেন তখনই আমাদের মশারি টানিয়ে ঘুমনো উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




