সেইদিন দেখলাম ফালু না কার জানি সাথে তার স্ত্রীরও থাকা যত সয়সম্পত এবং ব্যবসা বানিজ্য বা বিজনেস সব হয়ত অব্যধ পথে উপার্জিত তাই বাজেয়াপ্ত করার গোষণা দেয়া হয়েছে।তাছাড়াও পেপার পত্রীকাতে পড়েছি বা শুনেছি,বাংলাদেশের রাজাকার এবং তাদের
সন্তানদের থাকা সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।না দুঃখীত আসলে আপনেরা যা ভাবছেন তা নয় আপনেরা হয়ত ভাবছেন তাদের সয়সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাতে আমার মাথা ব্যাথা কোথায় ? না তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত নিয়ে
আমার কোন ধরনের মাথা ব্যথা নেই, কেননা যে যেমন পাপ করবে সে সেরকম শাস্তিও ভোগ করবে আর এটাই স্বাভাবিক।
কিন্ত মাথা ব্যথাও সচেতনটা অথবা না বুঝে বুঝার জন্যও আরেকটা মাথা ব্যথা হওয়ার মত বিষয় আছে;আর সেটা হল আজ কয়েকদিন থেকেই পত্রিকায় একটা বিষয় লক্ষ করেছি আর সেটা হল,,সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সাহেবের যত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আছে বা ছিল সকল সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে তিনি ছেলেদের ও পালিত মেয়েদের নামে দেয়া হয়েছে।এটাই অবশ্য নিয়ম এবং মরে যাওয়ার আগে নিজের সম্পত্তি ছেলে মেয়ে বা আত্মিয়স্বজনদের দিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু কথা হলো মাননীয় বাংলাদেেশের দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক আপনেরা কি একটু হাতিয়ে দেখেছেন যে আসলে তিনি এত সয়সম্পদ করলেন কিভাবে ? অথবা কোথায় পেলেন ?
এটা সত্যি যে উনি দীর্ঘ নয় বছর দেশের ক্ষমতায় ছিলেন ও রাস্ট্রপতি ছিলেন এবং তিনি একজন সাবেক সেনা প্রধান তাছাড়াও তিনি এককালীন প্রধান সামরিক প্রশাসক ও একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন।এছাড়াও বিদেশেও তার বিজনেস ছিল । সবই ঠিক আছে বা এতকিছু
করার পর যে কোনো সাধারন মানুষও হয়ত অনেক টাকার মালিক হয়ে যেতে পারেন।কিন্তু তার পরেও বলা বাহুল্য ইদানিং বাংলাদেেশের দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক যে ভাবে দেশের সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সচ্চার হয়ে উঠেছেন সেটা আমাদের এই মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্য একটা ভালো লক্ষণ আর আমি সেদিক থেকে বিবেচনা করে যদি আপনেরা সাবেক প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি জনাব এরশাদ
সাহেবের সকল,স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিষয় একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখতেন তাতে মনে হয় আমাদের এই দেশটির জন্য উন্নয়নের আরো
একটা অগ্র যাত্রা হত। পাশাপাশি বিষয়টাও দেশের সাধারন মানুষের কাছে দৃষ্টান্তমূলক হয়ে থাকতো । প্লীজ মাননীয় দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক আপনেরা বিষয়টা একটু ভেবে দেখবেন কি ?
আইন আদালত এবং বিচার বিভাগ সবার জন্য সমান প্রজোয্য । বিচারকের চোখ কিন্ত বন্ধ সে কিছু বুঝেনা দেখেনা । সে শুধু জানে
ন্যায় আর অন্যায়।ন্যায়কে ন্যায়ের পক্ষে আর অন্যায়কে অন্যায়ের পক্ষে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৭