somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, সূরা ফাতিহার অর্থ ও তাফসীর ভালো করে পড়া ও ফিকির করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সূরা ফাতিহা’-এ ইরশাদ করেন, ‘(তোমরা দোয়া করো) আয় বারে ইলাহী! আমাদেরকে সরল পথ দান করুন। উনাদের পথ দান করুন; যাঁদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন। আর যারা গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত তাদের পথ দিবেন না।’প্রকৃতপক্ষে উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী মাওলানাদের সূরা ফাতিহা-এর ইলমও নেই।
তাই তারা ইসলামের নামে বিধর্মীদের দ্বারা প্রবর্তিত গণতন্ত্র, ভোট-নির্বাচন, হরতাল, লংমার্চ করছে, ব্লাসফেমী আইন চাচ্ছে, মৌলবাদ দাবি করছে।
অথচ সূরা ফাতিহাতেই রয়েছে যে, মুসলমানদের জন্য বিধর্মীদের তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ ও অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরী।
তাই উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, সূরা ফাতিহার অর্থ ও তাফসীর ভালো করে পড়া ও ফিকির করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আ’ইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা সমগ্র কুরআন শরীফ তো অবশ্যই এমনকি প্রতিনিয়ত পঠিত সূরা- সূরা ফাতিহা সম্পর্কেও তারা চরম অজ্ঞ। আর তাই সূরা ফাতিহা নিয়ে তাদের ফিকিরও নেই। এদের প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ‘তারা কি কুরআন শরীফ সম্পর্কে গভীর ফিকির করে না? নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে?’

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে, গুরুত্বের বিচারে ‘সূরা ফাতিহা’ এক অনন্য মযার্দাসম্পন্ন সূরা। কুরআন শরীফ আরম্ভ হয়েছে ‘সূরা ফাতিহা’ দ্বারা। অবতরণের দিক দিয়ে এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি সমগ্র কুরআন শরীফ-এর সংক্ষিপ্ত সারমর্ম। কুরআন শরীফ-এর অবশিষ্ট সূরাগুলো মূলতঃ ‘সূরা ফাতিহারই’ বিস্তৃত ব্যাখ্যা। গুমরাহীর পথ ছেড়ে সিরাতুল মুস্তাক্বীমের পথে পরিচালিত হওয়াই সমগ্র কুরআন শরীফ-এর মূল কথা। আর ‘সূরা ফাতিহাতে’ সে বিষয়টিই দোয়ারূপে সন্নিবেশিত করা হয়েছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণরূপে। আর তাই সূরা ফাতিহাকে বলা হয় উম্মুল কুরআন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এর সর্বাধিক পঠিত সূরা হিসেবে সে দোয়া সারা মুসলিম জাহান উচ্চারণ করছেন প্রতিনিয়ত, অহরহ- “আমাদেরকে সরল পথ দান করুন, সে সমস্ত ব্যক্তিত্ব উনাদের পথ দান করুন; যাঁদেরকে নিয়ামত দান করেছেন। তাদের পথ নয়, যারা গযবপ্রাপ্ত, বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নিয়ামতপ্রাপ্ত ও গযবপ্রাপ্তদের বর্ণনা কিন্তু কুরআন শরীফ-এই রয়ে গেছে। যাঁদেরকে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, উনাদের প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, যাঁদের প্রতি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অনুগ্রহ করেছেন, উনারা হচ্ছেন- নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ এবং ছালেহ।
আর গযব প্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত বলতে খাছ করে ইহুদী-নাছারাদেরকেই বলা হয়েছে। আর সাধারণভাবে সমস্ত বিধর্মীদেরকে বলা হয়েছে। সুতরাং ইহুদী-নাছারাদের পথ পরিহার করে নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ এবং ছালিহীনগণ উনাদের পথে পরিচালিত হওয়াই ‘সূরা ফাতিহা’-এর কথা। অর্থাৎ কুরআন শরীফ-এর শিক্ষা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উম্মাহকে এই আদর্শের আলোকে পথ চলার উদ্দীপনা জাগানোর দায়িত্ব নীতিগতভাবে বর্তায় আলিম সমাজের উপর। কিন্তু যুগপৎভাবে আশ্চর্যজনক এবং দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তথাকথিত আলিম সমাজ সে অনিবার্য কাজটিতে কেবল ব্যর্থই হচ্ছে না, সাথে সাথে তারা বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট হচ্ছে এবং নিজেরাও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মসজিদে সূরা ফাতিহা আওড়িয়ে, দোয়া কুনূত পড়ে, মঞ্চে উঠে তারাই তার খিলাফ করছে। নিয়ামত প্রাপ্তদের পথ চাইলেও তারা অনুসরণ করছে গযব প্রাপ্তদের পথ। অর্থাৎ ইসলামের নামে ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত গণতন্ত্র, নির্বাচন-ভোট করছে, ব্লাসফেমী আইন চাচ্ছে, মৌলবাদ দাবী করছে। কাট্টা মুশরিক-হিন্দু পাপাত্মা গান্ধীর হরতাল করছে, নাস্তিক মাওসেতুং-এর লংমার্চ করছে। যারা কিনা সন্দেহাতীতরূপে গুমরাহ, গযব প্রাপ্ত এবং বিভ্রান্ত। নাঊযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত তাদের অন্তরে সত্যিই তালা লেগে গেছে, মহর পড়ে গেছে। সুতরাং সত্যের খাতিরে, কুরআন শরীফ-এর নির্দেশে, সূরা ফাতিহার শিক্ষায় আমাদেরকে অন্তরে মহর বিশিষ্ট এসব নামধারী উলামাদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে এবং উলামায়ে হক্কানী-রব্বানী উনাদের সংস্পর্শে আসতে হবে। উলামায়ে হক্কানী-রব্বানী উনাদের ছোহবতে আসলেই কুরআন শরীফ নিয়ে ফিকির করার মানসিকতা তথা সূরা ফাতিহা মূল্যায়ন করার ক্ষমতা আমাদের অর্জিত হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী মাওলানাদের সূরা ফাতিহা-এর ইলমও নেই। তাই তারা ইসলামের নামে বিধর্মীদের দ্বারা প্রবর্তিত গণতন্ত্র, ভোট-নির্বাচন, হরতাল, লংমার্চ করছে, ব্লাসফেমী আইন চাচ্ছে, মৌলবাদ দাবি করছে। অথচ সূরা ফাতিহাতেই রয়েছে যে, মুসলমানদের জন্য বিধর্মীদের তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ ও অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরী। তাই উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, সূরা ফাতিহার অর্থ ও তাফসীর ভালো করে পড়া ও ফিকির করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×