মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো ও তা’যীম মুবারক করো এবং ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে সর্বদা।’
ভারতে মুসলমান শতকরা ৪০ ভাগ আর হিন্দুও ৪০ ভাগ অর্থাৎ মুসলমান ও হিন্দু সমান সমান।
তারপরেও মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপলক্ষে ভারতে মুসলমানদেরকে কোনো ছুটি দেয়া হয় না।
তাহলে কি করে বাংলাদেশে মাত্র ২ ভাগেরও কম হিন্দুদের বিতর্কিত জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজার ছুটি ‘সরকারি ছুটি’ হতে পারে?
সত্যি এ বিষয়টি মুসলমানদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। অগত্যা যদি ছুটি দিতেই হয় তবে ঐচ্ছিক দিতে হবে।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানে ২৮ (১) ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে- “কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না।” -এ অনুচ্ছেদে বৈষম্য না করার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বৈষম্যের অর্থ বুঝতে হবে। কোনো ছাত্র ভালো পড়া লেখা করে যদি ৯৭ পায় আর কোনো ছাত্র যদি ২ পায় তাহলে এ দু’ছাত্রকে সমানভাবে উত্তীর্ণ করা বা দু’ছাত্রের প্রতি একই ধরনের আচরণ করাই বৈষম্য।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অন্যভাবে বলতে গেলে শতকরা ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের প্রতি যে মূল্যায়ন তথা আচরণ সে একই আচরণ বা মূল্যায়ন হিন্দুদের প্রতি করাই বড় বৈষম্য বা মুসলমানদের প্রতি বড় বৈষম্যমূলক আচরণ। কাজেই এসব কথা মুসলমানদের বুঝতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ভারতে মুসলমান জনগোষ্ঠী শতকরা ৪০ ভাগ আর হিন্দু জনগোষ্ঠীও শতকরা ৪০ ভাগ অর্থাৎ ভারতের মুসলমান জনসংখ্যা হিন্দুদের সমান-সমান হওয়ার পরও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পালনে কোনো ছুটি দেয়া হয় না। অথচ এ দিন- খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পর যিনি, উনাকে সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিছুই সৃষ্টি করতেন না, যিনি হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ; কিন্তু সে উপলক্ষে ভারতে কোনো সরকারি ছুটি দেয়া হয় না। তাহলে বাংলাদেশে শতকরা মাত্র ২ ভাগেরও কম হিন্দুদের বিতর্কিত জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজার ছুটি কি করে ‘সরকারি ছুটি’ হতে পারে? অগত্যা যদি ছুটি দিতেই হয় তবে ঐচ্ছিক ছুটি দিতে হবে। সরকারি ছুটি দেয়ার অবকাশ কোথায়?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার সময় কুল-মাখলুকাতে মহা শান-শওকাত, জাঁকজমক ও মহা সমারোহের সাথে উৎসবের কথা সর্বজনবিদিত। কাজেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিন সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ বা ঈদে আ’যম হিসেবে পালন মুসলমানদের ঈমান তথা পবিত্র দ্বীনি বিশ্বাস উনার সাথে একান্তভাবে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু তারপরেও ভারতে মুসলমানদের জন্য এ দিনে কেনো সরকারি ছুটির ব্যবস্থা নেই। অপরদিকে পবিত্র দু’ঈদে মাত্র দু’দিন এবং পবিত্র শবে বরাত ও পবিত্র আশূরা মোট এ চার দিন সব মুসলমানের জন্য সরকারি ছুটি বরাদ্দ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ভারতের মুসলমান জনসংখ্যা হিন্দুদের সমান-সমান হওয়ার পরও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পালনে কোনো ছুটি দেয়া হয় না। তাহলে বাংলাদেশে মাত্র ২ ভাগেরও কম হিন্দুদের বিতর্কিত জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজার ছুটি কি করে সরকারি ছুটি হতে পারে? যদি ছুটি দিতেই হয় তবে ঐচ্ছিক ছুটি দিতে হবে। কাজেই সরকারি ছুটি দেয়ার অবকাশ কোথায়? এ রকম বিষয়ে রাষ্ট্র দ্বীনইসলাম উনার এদেশে সরকারি ছুটির কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং এসব দিনে অর্থাৎ জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজায় হিন্দুদের ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থা করে সরকারের উচিত মুসলমানদের ধর্মীয় ছুটিগুলো আরো বর্ধিত করা তথা রাষ্ট্র পবিত্র দ্বীনইসলাম উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও প্রাধান্য দেয়া।