somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ কোন ধরনের মধ্যযুগিও বর্বরতা ! ! সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় আহত ৫ এ.আই.ইউ.বিয়ান ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রবিবার ১০ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে চারটায় বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সংলগ্ন সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নামধারী কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এ.আই.ইউ.বির CSE ডিপার্টমেন্টের শেষ বর্ষের আবীর নামের একজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার সাথে থাকা একই ডিপার্টমেন্টের আরো ৪ জন শিক্ষার্থী সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষে আহত হন।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন ভাসমান চা-বিক্রেতার ভাষ্যমতে, আজ বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে আবীর ও তার কয়েকবন্ধু মিলে সাউথ-ইস্ট ও এ.আই.ইউ.বি সংলগ্ন একটি টং থেকে সিগারেট কিনতে গেলে দোকানীর সাথে খুচরা ফেরতের ব্যাপারে আবীরের তর্ক বাধে। এসময় পাশে দাড়িয়ে থাকা সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির দুস্কৃতিকারী শিক্ষার্থী বেশধারী কিছু ব্যক্তি আবীরকে লক্ষ্য করে অনাকাঙ্খিত মন্তব্য ছুড়ে দিলে তিনি প্রতিবাদ করেন এবং তর্কে জড়িয়ে পড়েন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাউথ ইস্ট-এর দুস্কৃতিকারীরা উত্তেজিত হয়ে আবীরের গায়ে হাত তোলে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের চলাকালে সন্ত্রাসীরা টং দোকানদারের সহযোগীতায় রামদা বের করে আবীরকে উপর্যপুরি আঘাত করলে তিনি হাতে, পিঠে ও গলার কাছে গুরুতর আঘাত পান। সংখ্যাধিক্যের ও অতিউত্সাহের বশবর্তী হয়ে ঐমুহুর্তে সাউথ ইস্টের আরো কিছু শিক্ষার্থীও আবীরের সাথে বন্ধুদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে ঘটনাস্থল সংলগ্ন এ.আই.ইউ.বির EEE ক্যাম্পাসে এই খবর পৌছলে উত্তেজিত এ.আই.ইউ.বিয়ানরা তত্খনাত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে দুষ্কৃতিকারীরা দৌড়ে সাউথ ইস্টের ক্যাম্পাসের ভেতর ঢুকে পড়ে। একে একে এ.আই.ইউ.বির CSE, BBA ও Campus 7 থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় কামাল আতাতুর্ক সংলগ্ন পুরো এলাকা সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রশুন্য হয়ে পড়ে।

ঘটনার পর রহস্যজনক ভাবে সাউথ ইস্ট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের মেইন গেট বন্ধ করে দুস্কৃতিকারীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়। এতে করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এ.আই.ইউ.বিয়ানরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে গুলশান থানা থেকে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়েও কিছু করতে না পেরে এ.আই.ইউ.বি অথিরিটির সহায়তা কামনা করে। পুলিশের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে AIUB Office of Student Affairs এর স্পেশিয়াল এসিস্ট্যান্ট সানিয়াত রহমান জিসান ও ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অফিস এক্সেকিউটিভরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত এ.আই.ইউ.বিয়ানদের নিবৃত্ত করেন ও ইলেকট্রিক্যাল ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন।

আহত আবীর ও তার বন্ধুদেরকে ভার্সিটি ম্যাডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাসায় ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। CCTV footage, মোবাইলে ধারণকৃত ছবির ভিত্তিতে প্রকৃতঅপরাধীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে এ.আই.ইউ.বি অথরিটি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলো। এব্যাপারে এ.আই.ইউ.বি অথরিটি মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অফিস সুত্রে জানা যায়।

AIUB-তে বর্তমানে বিভিন্ন অনুষদে প্রায় সাড়ে দশ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। প্রশাসনিকভবন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি ক্যাম্পাসের সবগুলোই বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে অবস্থিত। দেশের প্রথম সারির এবং বনানীস্থ সবচাইতে বড় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্বেও এ.আই.ইউ.বিয়ানরা সব সময়েই প্রতিবেশী ছোট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সহাবস্থানে থেকে এসেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মাধ্যমে একটি মহল এ.আই.ইউ.বিয়ানদের সেই সহাবস্থান সূচক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে উস্কানি দিচ্ছে বলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা জানান। আগামী ডিসেম্বরে বসুন্ধরার নির্মাণাধীন নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাওয়ার আগে এমন ঘটনা আরো ঘটলে এবং আজকের ঘটনার জন্যে দোষী সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করলে অচিরেই এ.আই.ইউ.বিয়ানরা সব ধরনের সহাবস্থান ভুলে গিয়ে যথাযথ ভুমিকায় অবতীর্ন হতে দ্বিধা করবেনা বলেও শিক্ষার্থীরা হুশিয়ারী দেন।
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×